বরাবর,
মাননীয় এম.পি. সাহেব,
চট্টগ্রাম-১৬,
বাঁশখালী।
জনাব,
আমি নিম্নে নামধারী আপনার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম -১৬ (বাঁশখালী)র একজন স্থায়ী বাসিন্দা ও আওয়ামীপন্থি হই। গত ২১/০৩/১৮ ইং পটিয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি আপনার বক্তব্য খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আপনার এন্টি গ্রুপের সমালোচনায় আমি খুবই মর্মাহত। কারণ আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি নিজের জীবন বাজি রেখে কেন্দ্র পাহারায় থেকে আপনাকে নির্বাচিত করেছিলাম। আপনি জনসভায় কি বক্তৃতা দিয়েছেন সেটা নিয়ে আমি মাথাব্যাথা করছিনা। আমার মনের দুঃখ হচ্ছে আপনি জনসভায় বলেছেন, "আমার নির্বাচনী এলাকা বাঁশখালীতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন ছাড়াও আমার বাঁশখালীতে ক্যান্সার আক্রান্ত, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের পরিবার, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ি পুনঃনির্মাণ ও বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল” হতে প্রায় ৬২ (বাষট্টি) লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। কিন্তু মাননীয় এম.পি. সাহেব ০৫/০১/১৪ ইং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন পর ০৭/০১/১৪ ইং ভোটকেন্দ্রে অবস্থানের অপরাধে জামাত-বিএনপি জোট আমার বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। আমি আপনার কাছে ১৮/০১/১৪ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছিলাম (যেহেতু নির্বাচনের পরে আপনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন)। সেখানে আপনি সহ দক্ষিণ জেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাঁশখালী যুবলীগ সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি কামরুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাব্বির ইকবাল, আমি সহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আপনি আজ অবধি আমার কোন খোঁজই নিলেননা সাহায্যতো দূরে থাক। মাননীয় এম.পি. সাহেব এখানে শেষ নয়, "বিগত ০২/০১/১৫ ইং আমাকে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে চাম্বল বাজারে শিবির ক্যাডাররা দা দিয়ে মাথায় কোপিয়ে আহত করে। সেদিন চট্টগ্রাম আইন কলেজ ভিপি রায়হানুল হক, বাঁশখালী ছাত্রলীগ সভাপতি এমরানুল হক, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল জামিল চৌধুরী সাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হক ফাহিম, পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা আতাউল্লাহ আল আজাদ, আকবর সহ অনেকে(বাঁশখালী হাসপাতাল) দেখতে যান। কিন্তু কোন বিচার ও অনুদান আজ অবধি পাইনি। অামি একটু অনুদানও পাইনি কিন্তু যারা নির্বাচনের সময় অাপনার বিরুধীতা করেছে তাদের অনেকে কিন্তু অনুদান পেয়েছে। তারপরেও কোনদিন আপনার বিরুধীতা করিনি। বর্তমানে আপনার অনেক কর্মী আপনাকে প্রকাশ্য গালিগালাজ করে, কিন্তু আজ অবধি একবারও গালি দিয়নি। কারণ আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনীত এম.পি.। আপনাকে গালি দেওয়া মানেই তো আমার দলকে গালি দেওয়া। বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে অপমান করা। এম.পি. সাহেব আমি নেতা হতে পারিনি, পারবও না! কারণ আমি তেল মারতে জানিনা। তারপরেও আমি গর্বিত আপনি নির্বাচিত হওয়ার পিছনে আমারও একটি ভোট ছিল।
জনাব,
আমি নিম্নে নামধারী আপনার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম -১৬ (বাঁশখালী)র একজন স্থায়ী বাসিন্দা ও আওয়ামীপন্থি হই। গত ২১/০৩/১৮ ইং পটিয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি আপনার বক্তব্য খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আপনার এন্টি গ্রুপের সমালোচনায় আমি খুবই মর্মাহত। কারণ আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি নিজের জীবন বাজি রেখে কেন্দ্র পাহারায় থেকে আপনাকে নির্বাচিত করেছিলাম। আপনি জনসভায় কি বক্তৃতা দিয়েছেন সেটা নিয়ে আমি মাথাব্যাথা করছিনা। আমার মনের দুঃখ হচ্ছে আপনি জনসভায় বলেছেন, "আমার নির্বাচনী এলাকা বাঁশখালীতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন ছাড়াও আমার বাঁশখালীতে ক্যান্সার আক্রান্ত, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের পরিবার, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ি পুনঃনির্মাণ ও বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল” হতে প্রায় ৬২ (বাষট্টি) লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। কিন্তু মাননীয় এম.পি. সাহেব ০৫/০১/১৪ ইং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একদিন পর ০৭/০১/১৪ ইং ভোটকেন্দ্রে অবস্থানের অপরাধে জামাত-বিএনপি জোট আমার বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। আমি আপনার কাছে ১৮/০১/১৪ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছিলাম (যেহেতু নির্বাচনের পরে আপনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন)। সেখানে আপনি সহ দক্ষিণ জেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাঁশখালী যুবলীগ সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি কামরুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাব্বির ইকবাল, আমি সহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আপনি আজ অবধি আমার কোন খোঁজই নিলেননা সাহায্যতো দূরে থাক। মাননীয় এম.পি. সাহেব এখানে শেষ নয়, "বিগত ০২/০১/১৫ ইং আমাকে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে চাম্বল বাজারে শিবির ক্যাডাররা দা দিয়ে মাথায় কোপিয়ে আহত করে। সেদিন চট্টগ্রাম আইন কলেজ ভিপি রায়হানুল হক, বাঁশখালী ছাত্রলীগ সভাপতি এমরানুল হক, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল জামিল চৌধুরী সাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হক ফাহিম, পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা আতাউল্লাহ আল আজাদ, আকবর সহ অনেকে(বাঁশখালী হাসপাতাল) দেখতে যান। কিন্তু কোন বিচার ও অনুদান আজ অবধি পাইনি। অামি একটু অনুদানও পাইনি কিন্তু যারা নির্বাচনের সময় অাপনার বিরুধীতা করেছে তাদের অনেকে কিন্তু অনুদান পেয়েছে। তারপরেও কোনদিন আপনার বিরুধীতা করিনি। বর্তমানে আপনার অনেক কর্মী আপনাকে প্রকাশ্য গালিগালাজ করে, কিন্তু আজ অবধি একবারও গালি দিয়নি। কারণ আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনীত এম.পি.। আপনাকে গালি দেওয়া মানেই তো আমার দলকে গালি দেওয়া। বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে অপমান করা। এম.পি. সাহেব আমি নেতা হতে পারিনি, পারবও না! কারণ আমি তেল মারতে জানিনা। তারপরেও আমি গর্বিত আপনি নির্বাচিত হওয়ার পিছনে আমারও একটি ভোট ছিল।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনায়,
মিনহাজুল ইসলাম,
ছাত্রলীগ কর্মী, বাঁশখালী।
0 মন্তব্যসমূহ