বেরীবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে, লোপাটের আশংকায় কৃষকরা হতাশ

বি,এন ডেস্কঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ৬৮ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বেরীবাঁধ নির্মানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকার কর্তৃক ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও বেরীবাঁধের কাজে নানা অনিয়ম ও অধিকাংশ স্থানে এখনো তুলনামুলক ভাবে মাটি ফেলা হয়নি। নীতিমালা অনুসরণ না করে ৯১ টি পিআইসির অধিকাংশ কমিটিই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে গঠন করায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে । বেরীবাঁধ নির্মাণে বিগত দিনের মতো এবারও লুটপাটের আশংকায় ভুগছেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে সরকার কর্তৃক বেরীবাঁধ নির্মানে বরাদ্ধের নীতিমালা, পিআইসির কমিটি ও তথ্য সংগ্রহে কর্তৃপক্ষের গড়িমসি সহ নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে হয়েছে। এদিকে সরকার নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে বেরীবাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের বেধে দেয়া সময় গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে । ফলে যথাসময়ে বেরীবাঁধ নির্মান না হওয়া ও বৈরী আবহাওয়ার আশংকায় কৃষকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে জগন্নাথপুর উপজেলা হাওর রক্ষা বেরীবাঁধ নির্মানে সরকার কর্তৃক কাবিটা বরাদ্ধ ১০ কোটি ৩০ লাখ এবং এডিপি বরাদ্ধ ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা মোট ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় । এতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় কাবিটা বরাদ্ধ ৯ কোটি ২০ লাখ ও এডিপি বরাদ্ধ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা । মোট ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং উদ্বৃত্ত থেকে যায় ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা । এ বরাদ্ধ বাস্তবায়নে শুরু থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও খামখেয়ালীপনার কারণে উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া ও মইয়া হাওরের অধিকাংশ বেরীবাঁধে কাজ শুরু না হওয়া ও কিছু কিছু বাঁধে কাজ ধীরগতিতে চলতে থাকে। তবে প্রকল্পের কমিটি গঠন নিয়ে কর্তৃপক্ষের লুকোচুরির অভিযোগও রয়েছে । অনেক কমিটি গঠনের পর রহস্যজনক কারণে বাতিল করা হয়েছে এবং অনেক স্থানের কমিটি রদবদল করার প্রমান পাওয়া গিয়াছে । এ কমিটিগুলোতে কৃষক কিংবা হাওরে কৃষি জমি না থাকলেও অসংখ্য প্রভাবশালী লোককে রাখা হয়েছে । আবার সরকার দলীয় কেউ কেউ ক্ষমতার দাপটে সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে কোন কোন কমিটিতে ঢুকে পড়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে । যার কারণে সরকারের মহতি ও কৃষিবান্ধব উদ্যোগ তাদের কারণে বেরীবাঁধ নির্মাণে প্রভাব বিস্তার ও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে । সরকার নির্ধারিত সময় ও নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় দরিদ্র জনগনকে স্ক্রীম বাস্তবায়নের সাথে জড়িত করার মাধ্যমে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব কর্তৃক পিআইসি কমিটিগুলো সম্পন্ন করে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে । এ উপজেলায় সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকায় ৬৮ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বেরীবাঁধ নির্মান হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও অনিয়মের কারণে অধিকাংশ পিআইসি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি) কমিটি কার্যাদেশ প্রদানে সময় ক্ষেপণ করায় অধিকাংশ বেরীবাঁধের স্থানগুলোতে তুলনামুলক ভাবে মাটি ফেলা হয়নি বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একাধিক সদস্য স্বীকার করেছেন।
এদিকে কৃষির উন্নয়নে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত টাকা ও বেরীবাধঁ নির্মানে বিভিন্ন অভিযোগ উত্তাপিত হলে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে যাওয়া হলে কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফয়সল আহমদের নানা অজুহাত ও গড়িমসির কারণে ১ সপ্তাহেও তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি । যার কারণে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা তথ্য সংগ্রহে বিভ্রান্তি ও ভোগান্তির শিকার হন ।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, অনেক স্থানে নামেমাত্র মাটি ফেলা হলেও নীতিমালাকে উপেক্ষা করে অতি নিকট থেকে মাটি কাটা হয়েছে। ফলে পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে । সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের পাশে সাইনবোর্ড সাটিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও একটি বাঁধেও তা লক্ষ্য করা যায়নি । অনেকেই সরকারের দেয়া বরাদ্ধ নামেমাত্র কাজ দেখিয়ে লোপাটের উদ্দেশ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষকরে পাইলগাঁও ইউনিয়নের ভাঙ্গাঁ বাড়ী বাধ নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ লক্ষ ২১ হাজার টাকা । এখানে যেভাবে কাজ হচ্ছে তা সন্তোষজনক নয় । বেরীবাঁধের স্থানে তুলনামুলকভাবে মাটি এখনো ফেলা হয়নি । স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মখলুছ মিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ । তিনি দাপট দেখিয়ে এলাকার বিভিন্ন কমিটিকে আত্মীয়করণ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে । তবে এই বাঁধের নিকটে সাইনবোর্ডের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি । বাঁধের পূর্বপাশে মাটি না থাকায় বাধঁটি খুবই ঝুকিপূর্ন হবে বলে কৃষকদের ধারণা। এরমধ্যে যে কোন সময় বৃষ্টিপাত হতে পারে । আর বৃষ্টি হলেই মাটির সংকটে পড়তে হবে তাদেরকে । এলাকাবাসীর দাবি কোন রকম লোটপাট সহ্য করা হবেনা । কমিটির দায়িত্বে যেই হোক না কেন কোন রকম গাফিলতির কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা আন্দোলনে যাবো । কমিটির সভাপতি ও পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলুছ মিয়া মুঠোফোনে বলেন বাঁধের কাজ চলছে । শেষ সময়ে কাজের দায়িত্ব পাওয়ায় একটু সময় লাগছে । একই ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ডান তীরের পি আই সি নং ৪৬ বেরীবাঁধে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা । কাজের মান নিন্মমানের । অতি নিকট থেকে মাটি কাটা হয়েছে । বাঁধে তেমন মাটি না পড়লেও কমিটির সভাপতি সুরুজ্জামানের দাবি কাজ হবে । আমি আ.লীগের ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে দলীয় প্রভাবে এ বাঁধের কাজ পেয়েছি । সুরাইয়া বিবিয়ানা প্রকল্প, কাতিয়া লঞ্চ ঘাট হইতে পূর্ব জালালপুর প্রকল্পে নীতিমালা অনুসরণ না করে সাইনবোর্ড না লাগানোসহ বাঁধের নিকট থেকে মাটি উত্তোলন করায় হুমকির আশংকা রয়েছে বাঁধের । চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরশ মিয়ার নলুয়ার হাওর পোল্ডার নং ১ এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। কাছ থেকে মাটি আনা হচ্ছে ও সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও বাঁেধর আশপাশে কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। এথানেও চলছে লোপাটের আশংকা। কমিটির সভাপতি আরশ মিয়ার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি । নলুয়ার হাওর হোল্ডার নং ১ এর উপ-প্রকল্প নং ২৯ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন নং ১২, নলুয়ার হাওর পোল্ডার ১ এর নং ১১ নং কাজে ধীরগতি ও পর্যাপ্ত মাটি এখনও পড়েনি ।
কলকলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নলজুর নদীর তীরে বেরীবাঁধ নির্মানে প্রায় ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হলেও উক্ত স্থানে পর্যাপ্ত মাটি ফেলার আলামত পাওয়া যায়নি । সেখানে সরকার দলীয় স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে আরো বরাদ্ধ বৃদ্ধির মাধ্যমে টাকাগুলো আত্মসাতের পায়তাঁরায় লিপ্ত রয়েছে । একই ওয়ার্ডের হিজলা পঞ্চরা খালে বেরীবাঁধ নির্মানেও চলছে গড়িমসি । আশারকান্দি ইউনিয়নের মোকাম বাড়ি খাল বেরীবাঁধে রয়েছে গাফলাতির অভিযোগ । সেখানেও কাজ চলছে ধীরগতিতে । নলুয়ার হাওর পোল্ডার নং ২ এর ৩৬ নং পিআইসির ডুবন্ত বেরীবাঁধের ভাঙ্গাঁ বন্ধ কাজের কোথায় ঝোলানো হয়নি সাইনবোর্ড । মাটি আনা হয়েছে অতি নিকট থেকে । কাজের দীর্ঘ প্রস্তের মাপ নিয়ে সংচয় থাকায় লোপাটের আশংকা রয়েছে । তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ রয়েছে । এ কমিটির সভাপতি সুন্দর আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে খুঁেজ পাওয়া যায়নি । একই ইউনিয়নের নলুয়ার হাওর পোল্ডার নং ২ প্রকল্প বাস্তবায়ন নং ১৪, পোল্ডার নং ১এর পিআইসি নং ৯২ এর কাজ হচ্ছে নামেমাত্র । নিকট থেকে আনা হচ্ছে বালি মাটি , সেখানেও পাওয়া যায়নি সাইনবোর্ড । নলুয়ার হাওর পোল্ডার ২ এর ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধ করার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা । সেখানে কাজে তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি । এছাড়া ৯১টি পিআইসির অধিকাংশ বাঁধের কাজ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে । কৃষকদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় পাউবো কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে এখন পর্যন্ত অনেক বেরীবাঁধের সঠিক জরিপ ও প্রাক্কলন ব্যয় মূল্যায়ন করা হয়নি। উপযুক্ত বেরীবাঁধ নির্মানে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তাদের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতা রয়েছে। বেরীবাধঁ নির্মানে সরকারের দেয়া বরাদ্ধে কোন রকম দুর্ণীতি চলতে দেয়া যাবে না । কৃষক বাচঁলে দেশ বাচঁবে এ কথাটি তারা ভুলে গেছেন । মাঠ পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাউকে দেখা যাচ্ছেনা বলেও কৃষকরা অভিযোগ করেন। অতি সম্প্রতি দায়িত্বে গাফিলতি ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর অফিসের কর্মকর্তা ফয়েজ উল্লাহকে শাস্তিমূলক বদলী হিসাবে ঠাকুরগাঁও-এ পাঠানো হয়েছে। এদিকে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় হাওর রক্ষা বেরীবাধঁ নির্মান কমিটি জগন্নাথপুর উপজেলার উদ্দ্যোগে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে একসভা অনুষ্টিত হয় । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে পাউবোর জগন্নাথপুর অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ও পিআইসির সকল সভাপতি ও সদস্য সচিবগন উপস্থিত ছিলেন । সভায় সঠিক মানের বেরীবাধঁ নির্মানে আরো সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় ।
এ বিষয়ে মোঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর আঞ্চলিক অফিসের নবাগত উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বেরীবাঁধ নির্মান কাজের সদস্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমার পূর্বের কর্মকর্তা সদ্য বদলী হওয়া ফয়েজ উল্যার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রাক্কলন তৈরীতে বিলম্ব হওয়ায় কার্যাদেশ প্রদানে বিলম্ব হয়েছে। বর্তমানে ৯১টি কমিটির মাধ্যমে কাজ চলছে । যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে । কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও হাওর রক্ষাবাধঁ নির্মান কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, স্থানীয় পাউবো অফিসের সাবেক কর্মকর্তার কাজে গাফিলতীর কারণে সঠিক সময়ে প্রাক্কলন তৈরী না হওয়ায় যথা সময়ে বেরীবাঁধের কাজ শুরু হচ্ছিল না। বর্তমানে বেরীবাঁধগুলোতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে এবং কিছু দিনের মধ্যেই সবগুলো বাধেঁর কাজ শেষ হবে। আমি প্রতিদিন হাওরে যাচ্ছি এবং কঠোরভাবে মনিটরিং করছি যাতে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সঠিক মানের বেরীবাধ নির্মান করা হয়। কমিটি ও কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে তবে কোন কাজে অনিয়ম হলে কেউ রেহাই পাবে না ।
উল্লেখ্য: গত বছর জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ হাওর নলুয়া ও মইয়াসহ ছোট বড় ১৫টি হাওরে হাওর রক্ষা বেরীবাঁধ নির্মান প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও হাওরের বেরীবাঁধ গুলোতে নামমাত্র মাটি ফেলে অধিকাংশ টাকাই লুটপাট করে নিয়ে যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা গঠিত পিআইসি ও ঠিকাদাররা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত নি¤œমানের বেরী বাঁধ ভেঙে জগন্নাথপুরের সবক’টি হাওরের আধাপাকা ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে নানা কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে কৃষকদের।এবার বোরো ফসল চাষাবাদের শুরুতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পড়েন কৃষকরা। হাওর থেকে দেরিতে পানি নামায় শুরু থেকে বোরো আবাদ ব্যাহত হতে থাকে। এর সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপরও কৃষকরা থেমে নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে বুক ভরা আশা নিয়ে কৃষকরা নেমেছেন চাষাবাদে।

সুত্রঃ নিউজ ভিশন ৭১

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ