বি,এন ডেস্কঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে দুই যুবককে গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে
হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় দুই নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার
ভোরে বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৮) ও একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. আবদুর রহিম রবিন (২০)। পুলিশ বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত আলীর বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। রবিন ছিল তার সহযোগী।
খবর পেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ ও বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দক্ষিণ একলাশপুর গ্রামের সুমনের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। মোহাম্মদ আলীর বাবা বলেন, গত ২-৩ মাস আগে তার ছেলের সঙ্গে সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই সময় মোহাম্মদ আলী সুমনকে চড়-থাপ্পড় দেয়। এতে সুমন মোহাম্মদ আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে।
মোহাম্মদ আলীর বোন শামছুন নাহার বলেন, শুক্রবার রাতে মোহাম্মদ আলী তার বাড়িতে পুকুর সেচ দিয়ে মাছ ধরেন। ওই মাছ নিয়ে এক বন্ধুর ঢাকার বাসায় যাওয়ার জন্য শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বাড়ি থেকে বের হন। মোহাম্মদ আলীকে মোটরসাইকেলে একলাশপুর বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছিল তার সহযোগী পাশের বাড়ির রবিন। এ সময় আগ থেকে একলাশপুর ভিআইপি সড়কের পাশে অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার্থে পূর্ব একলাশপুর গ্রামের সড়কের পাশে ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পেছন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় জীবন বাঁচাতে রবিন সড়কের পাশে একটি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মোহাম্মদ আলী তার ফুফুর বসতঘরে আশ্রয় নেন। ঘাতকরা ডোবার পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া রবিনকে গুলি করে। এতে রবিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। রবিনের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে খুনিরা মোহাম্মদ আলীর ফুফুর বসতঘরের দিকে যায়।
মোহাম্মদ আলীর ফুফু নুরজাহান বলেন, মোহাম্মদ আলী সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাদের বসতঘরে আশ্রয় নেওয়ার পর ৭-৮ যুবক পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বসতঘরের দুটি দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরের একটি কক্ষে খাটের ওপর আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আলীকে ৩-৪ যুবক এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। মোহাম্মদ আলী বারবার তাদের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে পায়ে ধরেও রক্ষা পায়নি।
মোহাম্মদ আলীকে কোপানোর সময় বাধা দিতে গেলে খুনিরা নুরজাহান, পান্না বেগম ও ফয়েজ আহমেদ আহত হন। খুনিরা মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে লোকজন স্থানীয় ভিআইপি সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ব একলাশপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, ভোরে উপর্যুপরি গুলির শব্দে তাদের ঘুম ভাঙে। এ সময় অনেক শিশু ও নারী ভয়ে চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে থাকেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মহি উদ্দিন আজিম বলেন, দুই যুবকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তিনি আর বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থল ও নিহতদের বসতবাড়ি গিয়ে দেখা গেছে পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ জাহান শেখ ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ৯টি মামলা ও সুমন ওরফে খালাশি সুমনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী। নিহত মোহাম্মদ আলী বেগমগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাটের (বর্তমানে কারাগারে আটক) সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, জোড়া খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
এদিকে মোহাম্মদ আলী ও রবিনের খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার সময় বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাটের উত্তরে কুতুবপুর গ্রামে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হচ্ছে- বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে নাহিদ (২১) ও চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর মহল্লার আবদুল মালেকের ছেলে নাজমুল রনি (১৯)। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
নিহতরা হলেন উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৮) ও একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. আবদুর রহিম রবিন (২০)। পুলিশ বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত আলীর বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। রবিন ছিল তার সহযোগী।
খবর পেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ ও বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দক্ষিণ একলাশপুর গ্রামের সুমনের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। মোহাম্মদ আলীর বাবা বলেন, গত ২-৩ মাস আগে তার ছেলের সঙ্গে সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই সময় মোহাম্মদ আলী সুমনকে চড়-থাপ্পড় দেয়। এতে সুমন মোহাম্মদ আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে।
মোহাম্মদ আলীর বোন শামছুন নাহার বলেন, শুক্রবার রাতে মোহাম্মদ আলী তার বাড়িতে পুকুর সেচ দিয়ে মাছ ধরেন। ওই মাছ নিয়ে এক বন্ধুর ঢাকার বাসায় যাওয়ার জন্য শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বাড়ি থেকে বের হন। মোহাম্মদ আলীকে মোটরসাইকেলে একলাশপুর বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছিল তার সহযোগী পাশের বাড়ির রবিন। এ সময় আগ থেকে একলাশপুর ভিআইপি সড়কের পাশে অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার্থে পূর্ব একলাশপুর গ্রামের সড়কের পাশে ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পেছন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় জীবন বাঁচাতে রবিন সড়কের পাশে একটি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মোহাম্মদ আলী তার ফুফুর বসতঘরে আশ্রয় নেন। ঘাতকরা ডোবার পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া রবিনকে গুলি করে। এতে রবিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। রবিনের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে খুনিরা মোহাম্মদ আলীর ফুফুর বসতঘরের দিকে যায়।
মোহাম্মদ আলীর ফুফু নুরজাহান বলেন, মোহাম্মদ আলী সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাদের বসতঘরে আশ্রয় নেওয়ার পর ৭-৮ যুবক পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বসতঘরের দুটি দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরের একটি কক্ষে খাটের ওপর আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আলীকে ৩-৪ যুবক এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। মোহাম্মদ আলী বারবার তাদের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে পায়ে ধরেও রক্ষা পায়নি।
মোহাম্মদ আলীকে কোপানোর সময় বাধা দিতে গেলে খুনিরা নুরজাহান, পান্না বেগম ও ফয়েজ আহমেদ আহত হন। খুনিরা মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে লোকজন স্থানীয় ভিআইপি সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ব একলাশপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, ভোরে উপর্যুপরি গুলির শব্দে তাদের ঘুম ভাঙে। এ সময় অনেক শিশু ও নারী ভয়ে চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে থাকেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মহি উদ্দিন আজিম বলেন, দুই যুবকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তিনি আর বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থল ও নিহতদের বসতবাড়ি গিয়ে দেখা গেছে পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ জাহান শেখ ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ৯টি মামলা ও সুমন ওরফে খালাশি সুমনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী। নিহত মোহাম্মদ আলী বেগমগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাটের (বর্তমানে কারাগারে আটক) সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, জোড়া খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
এদিকে মোহাম্মদ আলী ও রবিনের খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার সময় বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাটের উত্তরে কুতুবপুর গ্রামে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হচ্ছে- বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে নাহিদ (২১) ও চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর মহল্লার আবদুল মালেকের ছেলে নাজমুল রনি (১৯)। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
সুত্রঃ সমকাল
0 মন্তব্যসমূহ