বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালীতে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় একাধিক প্রার্থীর নাম বিভিন্নভাবে আলোচনায় আসছে। বিশেষ করে ১৯৯১ সালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সুলতানুল কবির চৌধুরী বিজয় হওয়ার পর, বার বারই পরাজয়ের গ্লানি টানটে হয়েছে আওয়ামীলীগকে। গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের টিকিট পেয়ে সহজেই মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী নির্বাচিত হন।দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বর্তমান বাঁশাখালী আসন থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকার বৈঠা হাতে পেতে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সিনিয়র নেতাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা উপস্থাপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। পাশাপাশি বাঁশখালী আওয়ামীলীগ দলীয় নেতকর্মী, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলালীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনে তাদের নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেছে।বর্তমানে বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতি গ্রুপ উপ-গ্রুপ সহ বহুদা গ্রুপে বিভক্ত। বিশেষ করে বর্তমান এম পি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ কবির লিটন, দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ-সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি ছাড়াও উপগ্রুপে রয়েছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. মুজিবুল হক, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নূর হোসেন, বাঁশখালী পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরীও গ্রুপ রয়েছে।বাঁশখালী আওয়ামীলীদের গ্রুপিং এর জের ধরে প্রতিটি এলাকা মহল্লায় একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা মামলা, সংঘাত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই গ্রুপিং এর শিকার হয়ে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তএই প্রসঙ্গে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, “বাঁশখালীতে এমপি মোস্তাফিজ ছাড়া কারও গ্রুপ সুবিধা করতে পারবেনা। অধিকাংশ নেতাকর্মী এমপি সাহেবের সাথে রয়েছে”।দক্ষিণজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদ হোসেন জানান, “বাশঁখালীতে আব্দুল্লাহ কবির লিটনের বিকল্প কোন প্রার্থী নেই। তিনি বাঁশখালী আওয়ামীলীগকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। বাকীরা আওয়ামীলীগের নাম বিক্রি করে সংগঠনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলেন, “বাঁশখালীর মানুষের সুঃখে দুঃখে পাশে এসে সাহয্য ও সহানুভূতি দিয়ে যাচ্ছেন দেশবরণ্য শিল্পপতি মুজিবর রহমান সিআইপি। তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি বাঁশখালীর মানুষের খবরাখবর রাখেন।”
সূত্রঃ সিটিজি ক্রাইম নিউজ
0 মন্তব্যসমূহ