স্টাফ রিপোর্টার,বাঁশখালী নিউজঃ
বাঁশখালী উপকূলীয় সমুদ্র সৈকতের মনোরম দৃষ্টিনন্দন ঝাউবাগান বিলীন হওয়ার পথে।দূর্বৃত্তরা প্রতিনিয়ত ঝাউগাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে।ফলে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী এ বাগান।একসময় মনোরম এ ঝাউবাগান দেখতে দূর-দূরান্তের হাজার হাজার মানুষের ঢল নামলেও এখন পর্যটকদের যেন আগ্রহ নেই।বাঁশখালীর ছনুয়া,বাহারছড়া,খানখানাবাদ,সরল ও গন্ডামারার বিস্তীর্ণ সাগর চরজুড়ে একসময় সারি সারি হাজার হাজার ঝাউগাছ ছিল।দিন দিন এসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।কমে গেছে সাগর পাড়ের এসব দৃষ্টিনন্দন গাছ।আবার যা আছে তাও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।দূর্বৃত্তরা এসব গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।ঝাউবনে ছিল বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালি।ছিল নানা প্রজাতির বানর-হরিণসহ পশুপাখিও।উপকূলীয় বনবিভাগ নামে এই প্যারাবন দেখভালের একটি সরকারি সংস্থা থাকলেও;বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী ঝাউবাগান রক্ষায় তাদের যেন কোনো মাথাব্যথা নেই।বাঁশখালীর উপকূলে বেঁড়িবাধ সংলগ্ন সুদীর্ঘ ৩৭কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত রয়েছে।সম্প্রতি উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ প্যারাবন বিলীন হতে চললেও;তা রক্ষায় প্রশাসনের কোনো
উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই।সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এই উপকূলে হতে পারে আধুনিক নয়নাবিরাম পর্যটন কেন্দ্র।কিন্তু সরকারের যথাযথ নজরদারির অভাবে এই সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিগত দিনে বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ দেওয়ার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।বাঁশখালী ইকোপার্কের পক্ষ থেকে কদমরসূল বন বিশ্রামাগার ও উপকূলীয় এলাকার বেশ কিছু শেড নির্মাণ করা হয়।কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকায় বর্তমানে সেগুলোও বসার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।অথচ কক্সবাজারের বিকল্প সমুদ্র সৈকত হিসেবে বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতকে রূপায়িত করতে পারলে সরকার অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতো তাতে কোনো সন্দেহ নেই।বাঁশখালীর ছনুয়া থেকে শুরু করে গন্ডামারা,সরল,বাহারছড়া,খানখানাবাদ এলাকার বিশাল সমুদ্র সৈকতে সারি সারি ঝাউবাগান যে কারও নজর কাড়ে।তাই বাঁশখালীর মনোরম ঝাউবাগান রক্ষায় দৃষ্টি দিতে বনবিভাগ ও সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী সর্বস্তরের জনসাধারণ।
0 মন্তব্যসমূহ