বাঁশখালীতে ১৩ হাজার পরিবার পাচ্ছে এই সুবিধা

বি,এন ডেস্কঃ
বর্তমান সরকার ঘোষিত ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল বিতরণের অংশ হিসেবে তৃতীয় দফায় বাঁশখালীর ১৩ হাজার ৩শ ৩৬ পরিবার এই সুবিধার আওতায় রয়েছে । এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ নির্বাচিত হবার আগের তালিকায় চাল বিতরণে অনেকে ভিন্ন কথা বললেও এটা মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তালিকা সংশোধন করার কোন সুযোগ না থাকায় নতুন তালিকা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় । বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নে ডিলারের মাধ্যমে উপরোক্ত পরিবারগুলো সরকার ঘোষিত চাল ক্রয় করছে । সূত্রমতে, সরকার ১০ টাকা কেজি দরে গরীবদের মাঝে চাল বিতরণের অংশ হিসেবে বাঁশখালীর পৌরসভা ছাড়া ১৪টি ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগ করা হয়। যারা বাঁশখালী খাদ্য অফিস থেকে প্রতি কেজি চাল ৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে ক্রয় করে তালিকাভুক্ত উপকারভোগীর মাঝে ১০ টাকা দরে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে। উপরোক্ত তালিকাভুক্ত পরিবার প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ১ম পর্যায়ে অধিকাংশ পরিবার ১০ টাকা দামে চাল ক্রয়ে ভিড় জমায়। বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নে ২ ডিলারের মাধ্যমে ৯শ ৭ জন, সাধনপুরে ২ ডিলারের মাধ্যমে ৮শ ৯ জন, খানখানাবাদে ২ ডিলারের মাধ্যমে ১ হাজার ২ জন, বাহারছড়ায় ২ ডিলারের মাধ্যমে ১১শ ৪২ জন, কালীপুরে ২ ডিলারের মাধ্যমে ১১শ ৩৫ জন, বৈলছড়িতে ২ ডিলারের মাধ্যমে ৫শ ২৬ জন, কাথারিয়া ১ ডিলারের মাধ্যমে ৭শ ৫জন, সরলে ২ ডিলারের মাধ্যমে ১২শ ৯৬ জন, শীলকূপে ১ ডিলারের মাধ্যমে ৬৭৭ জন, গন্ডামারায় ২ ডিলারের মাধ্যমে ১১শ ২৫ জন, চাম্বলে ২ ডিলারের মাধ্যমে ১১শ ৫৮ জন, শেখেরখীলে ২ ডিলারের মাধ্যমে ৭শ ২৮ জন, পুঁইছড়িতে ২ ডিলারের মাধ্যমে ১১শ ৫৭ জন, ছনুয়ায় ২ ডিলারের মাধ্যমে ৯শ ৭৩ জন এই সুবিধার আওতায় আনা হয়। তবে এই ব্যাপারে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুসারে সাধারণ জনগণ যাতে এই সুবিধা যথাযথ ভাবে গ্রহণ করতে পারে তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি এই নিয়মে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন সরকারের সকল কার্যক্রম সফল ভাবে বাস্তবায়নের জন্য দুদক দল মাঠে রয়েছে । তিনি বাঁশখালীর সকল উন্নয়ন কাজ গুলো ঠিক ভাবে পরিচালনা ও যাচাই বাচাই করার জন্য দুদকের সহযোগিতা কামনা করেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায় সপ্তাহে প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার সুনিদিষ্ট ডিলারের কাছ ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবে তালিকাভুক্ত ক্রেতা গন । চলতি মার্চ ও এপ্রিল দু’মাস ক্রেতাগণ এ সুবিধা পাবেন । এর আগে ও ২০১৬ সালের সেপ্টেন্বর,অক্টোবরও নভেম্বর তিন মাস,২০১৭ সালে মার্চ ও এপ্রিল মাস এবং চলতি ২০১৮ সালের মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেন্বর, অক্টোবরও নভেম্বর মিলে পাঁচ মাস এ সুবিধা পাবে তালিকাভুক্ত ক্রেতারা ।
সুত্রঃদৈনিক আজাদী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ