বিএন ডেস্কঃ
কক্সবাজার সরকারি কলেজে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সৃষ্টি বিরোধকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ও শিক্ষককের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের পাকড়াও করে লাঞ্ছিত ও অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় এবং প্রশাসনিক ভবনের সরঞ্জাম ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘কলেজের রাস্তা নির্মাণের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। ছাত্রলীগের নেতারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আমরা আন্দোলনরতদের শান্ত করি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘কলেজের রাস্তা নির্মাণের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। ছাত্রলীগের নেতারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আমরা আন্দোলনরতদের শান্ত করি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাধারণ ছাত্র জানান, সকাল ১১টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী। কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। সে সময় অদূরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনও ছিল। মিছিলটি প্রথমে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে ব্যাপকহারে চেয়ার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা গিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় শিক্ষকদের উপর চড়াও হয় তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা অন্তত সাতজন শিক্ষককে পাকড়াও ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এর মধ্যে শিক্ষক মিঠুন চক্রবর্তী আঘাত পেয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মাইন উদ্দীন জানান, গন্ডগোলের খবর পেয়ে ওসি ফরিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষক ও আন্দোলনকারী ছাত্রদের নিয়ে বৈঠক করছেন ওসি।
বৈঠকে থাকায় এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিমের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার সরকারি কলেজের জন্য ২নং রাস্তা নির্মাণের জন্য সাড়ে ১০লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে রাস্তা নির্মাণ না করে কলেজের আওতাভুক্ত বিচারাধীন জায়গার রাস্তা নির্মাণ করছিল প্রকল্প কমিটি। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এফাজ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির প্লটে যাওয়ার সুবিধার্থে ওই স্থানে রাস্তাটি নির্মাণ করছিল। যা কলেজের কোনো কাজে আসবে না। স্থানীয় সরকারদলীয় নেতা শেখ ইয়াকবু আলীকে সভাপতি করে ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটি করা হয়। কমিটিতে ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি জাকির হোসেনসহ আরো কয়েকজনও রয়েছে। এই সংক্রান্ত জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এই ইস্যুতে প্রতিবাদ করায় ১৭ মার্চ কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, মিছিলে অংশ গ্রহণকারীরা অন্তত সাতজন শিক্ষককে পাকড়াও ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এর মধ্যে শিক্ষক মিঠুন চক্রবর্তী আঘাত পেয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মাইন উদ্দীন জানান, গন্ডগোলের খবর পেয়ে ওসি ফরিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষক ও আন্দোলনকারী ছাত্রদের নিয়ে বৈঠক করছেন ওসি।
বৈঠকে থাকায় এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিমের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার সরকারি কলেজের জন্য ২নং রাস্তা নির্মাণের জন্য সাড়ে ১০লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে রাস্তা নির্মাণ না করে কলেজের আওতাভুক্ত বিচারাধীন জায়গার রাস্তা নির্মাণ করছিল প্রকল্প কমিটি। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এফাজ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির প্লটে যাওয়ার সুবিধার্থে ওই স্থানে রাস্তাটি নির্মাণ করছিল। যা কলেজের কোনো কাজে আসবে না। স্থানীয় সরকারদলীয় নেতা শেখ ইয়াকবু আলীকে সভাপতি করে ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটি করা হয়। কমিটিতে ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি জাকির হোসেনসহ আরো কয়েকজনও রয়েছে। এই সংক্রান্ত জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এই ইস্যুতে প্রতিবাদ করায় ১৭ মার্চ কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
সূত্রঃ কক্সবাজার নিউজ
0 মন্তব্যসমূহ