বি,এন ডেস্কঃ
সরকারিভাবে দেওয়া পাঠ্যবই ফটোকপি’র মাধ্যমে অক্ষর বড় করেই নিয়মিত পাঠদান
করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে দুই বোন। দৃষ্টি
প্রতিবন্ধী দুই বোনের মধ্যে জোবাইদা বেগম (১২) ৬ ষ্ঠ শ্রেণীতে ও সাদিয়া
বেগম (৮) ১ম শ্রেণীতে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দৃষ্টি ফিরে পেতে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছে। অর্থিক দৈন্যতার কারণে দিনমজুর পিতা
মোহাম্মদ হোছনের পক্ষে মেয়েদের লেখাপড়া ও ভরণ পোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
দৃষ্টি প্রতিব›দ্ধী দুই বোনের মধ্যে
সাদিয়াকে তার অন্য বড় বোন জুলেখা বেগম স্কুলে আনা নেয়া করে। জোবাইদা
প্রতিবেশী বান্ধবী ও পিতার সহায়তায় স্কুলে আসা যাওয়া করে। এইভাবে চলছে দিন
মজুর মোহাম্মদ হোছনের ২ মেয়ের বিবাহ সম্পন্নের পরেও বর্তমানে তার পরিবারে ৩
মেয়ে ১ ছেলে নিয়ে দুঃখ, সুখের দিন।
জানা যায়, পুইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় মোহাম্মদ হোছনের আটচালা ঘরে বসবাস। অতীব কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করতে হয়। ছোট বেলা থেকেই শিক্ষার জন্য মোহাম্মদ হোছন অন্যান্য ব্যক্তিদের চেয়ে ভিন্ন। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াই তার একমাত্র চিন্তা ভাবনা। ছোটখাট ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে থাকে এই পরিবার। মোহাম্মদ হোছেন এই ৫ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে বড় দুই মেয়েকে ধারকর্জ করে বিয়ে দিয়েছেন।
বর্তমানে দুই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েসহ ৩ মেয়ে ১ ছেলের লেখাপড়ার দুচিন্তায় তার চোখের ঘুম নেই। প্রতিবন্ধী মেয়েদের চিকিৎসা খরচের টাকা যোগানের কথা বাদ দিয়েই শিক্ষার জন্য বই খাতার খরচ জোগাতেই নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারি প্রদত্ত বইগুলোকে হাজার টাকা ব্যয় করে ফটোকপির মাধ্যমে অক্ষর বড় করে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজের অন্যান্য শিশুদের মত খেলাধুলা থেকে বিরত থাকলেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই বোন কথার (শব্দের) মাধ্যমেই সবকিছু প্রকাশ করে যাচ্ছে। বর্তমানে জোবাইদা নাপোড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে এবং সাদিয়া উত্তর নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে।
দিন মজুর মোহাম্মদ হোছন পূর্বকোণকে জানান, চক্ষু বিশেষজ্ঞকে মেয়েদেরকে চিকিৎসার জন্য দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য অধিক টাকার প্রয়োজন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েদের লেখাপড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোছন বলেন, সরকারের দেওয়া বইগুলোকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে ফটোকপির মাধ্যামে অক্ষর বড় করে মেয়েরা লেখাপড়া করছে। রাতে কম দেখে, তাই রাতে লেখাপড়া তেমন একটা হয় না। এই মেয়েদেরকে দৃষ্টি ফিরে পেতে সরকারে সহযোগিতা প্রয়োজন। মেয়েরা চোখের আলো ফিরে পেলেই আমার চেয়ে খুশি হয়ত আর কেউ হবে না। জন্মদাতা হিসাবে হয়ত ফিরে পাব পূর্ণতা।
পুইছড়ি ইউনিয়নের উত্তর নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শফি উল্লাহ আজমি বলেন, জুবাইদা বেগম শ্রেণী কক্ষের জানালার পশে বসে বসেই ১ম থকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করেছে। বন্ধু বান্ধবীরা আসা যাওয়ার পথে তাদের সহযোগিতা করত। প্রতিদিন তাদের জন্য জানালার পাশে বসার জন্য সহপাঠিরা সিট খালি রাখত। নিয়মিত তারা পাঠদানও করত। বর্তমানে জুবাইদা ৫ম শ্রেণীতে পি.এস.পি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই বোন প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে সরকারি উপবৃত্তির টাকা পেত।
বাঁশখালীর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের তালিকায় নাম থাকলে অবশ্যই ভাতা পাবে। তবে বিষয়টি ইউনিয়নে কর্মরত মাঠকর্মীরা দেখেন।
বাঁশখালীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়রত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী এমন শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে পুইছড়ি ইউনিয়নের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই বোনকে সহায়তা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ঐ পরিবারের সন্তানদেরকে সহায়তা করা হবে। তবে দৃষ্টি ফিরে পেতে অনেক টাকার প্রয়োজন রয়েছে। লেখা পড়া নিয়ে দুই বোন অদম্য’।
জানা যায়, পুইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় মোহাম্মদ হোছনের আটচালা ঘরে বসবাস। অতীব কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করতে হয়। ছোট বেলা থেকেই শিক্ষার জন্য মোহাম্মদ হোছন অন্যান্য ব্যক্তিদের চেয়ে ভিন্ন। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াই তার একমাত্র চিন্তা ভাবনা। ছোটখাট ব্যবসার পাশাপাশি কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে থাকে এই পরিবার। মোহাম্মদ হোছেন এই ৫ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে বড় দুই মেয়েকে ধারকর্জ করে বিয়ে দিয়েছেন।
বর্তমানে দুই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েসহ ৩ মেয়ে ১ ছেলের লেখাপড়ার দুচিন্তায় তার চোখের ঘুম নেই। প্রতিবন্ধী মেয়েদের চিকিৎসা খরচের টাকা যোগানের কথা বাদ দিয়েই শিক্ষার জন্য বই খাতার খরচ জোগাতেই নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারি প্রদত্ত বইগুলোকে হাজার টাকা ব্যয় করে ফটোকপির মাধ্যমে অক্ষর বড় করে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজের অন্যান্য শিশুদের মত খেলাধুলা থেকে বিরত থাকলেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই বোন কথার (শব্দের) মাধ্যমেই সবকিছু প্রকাশ করে যাচ্ছে। বর্তমানে জোবাইদা নাপোড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে এবং সাদিয়া উত্তর নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে।
দিন মজুর মোহাম্মদ হোছন পূর্বকোণকে জানান, চক্ষু বিশেষজ্ঞকে মেয়েদেরকে চিকিৎসার জন্য দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য অধিক টাকার প্রয়োজন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েদের লেখাপড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোছন বলেন, সরকারের দেওয়া বইগুলোকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে ফটোকপির মাধ্যামে অক্ষর বড় করে মেয়েরা লেখাপড়া করছে। রাতে কম দেখে, তাই রাতে লেখাপড়া তেমন একটা হয় না। এই মেয়েদেরকে দৃষ্টি ফিরে পেতে সরকারে সহযোগিতা প্রয়োজন। মেয়েরা চোখের আলো ফিরে পেলেই আমার চেয়ে খুশি হয়ত আর কেউ হবে না। জন্মদাতা হিসাবে হয়ত ফিরে পাব পূর্ণতা।
পুইছড়ি ইউনিয়নের উত্তর নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শফি উল্লাহ আজমি বলেন, জুবাইদা বেগম শ্রেণী কক্ষের জানালার পশে বসে বসেই ১ম থকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করেছে। বন্ধু বান্ধবীরা আসা যাওয়ার পথে তাদের সহযোগিতা করত। প্রতিদিন তাদের জন্য জানালার পাশে বসার জন্য সহপাঠিরা সিট খালি রাখত। নিয়মিত তারা পাঠদানও করত। বর্তমানে জুবাইদা ৫ম শ্রেণীতে পি.এস.পি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই বোন প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে সরকারি উপবৃত্তির টাকা পেত।
বাঁশখালীর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের তালিকায় নাম থাকলে অবশ্যই ভাতা পাবে। তবে বিষয়টি ইউনিয়নে কর্মরত মাঠকর্মীরা দেখেন।
বাঁশখালীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়রত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী এমন শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে পুইছড়ি ইউনিয়নের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই বোনকে সহায়তা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ঐ পরিবারের সন্তানদেরকে সহায়তা করা হবে। তবে দৃষ্টি ফিরে পেতে অনেক টাকার প্রয়োজন রয়েছে। লেখা পড়া নিয়ে দুই বোন অদম্য’।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ