বিএন ডেস্কঃ
আগামীকাল ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পটিয়াবাসি । প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের উত্তর পাশে নৌকা আকৃতিতে ২ হাজার ৫৬০ ফুটের বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ স্থলে সরকারের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ভিআইপি, সিআইপি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা স্তরে ভাগ করা হয়েছে।
এসব কাজের তদারকিতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী এসএসএফ সদস্যসহ দক্ষিণ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে ঢুকতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩টি প্রবেশপথ। এরমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটকে মূল প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে ২টি প্রবেশপথ। এর একটিতে সমাবেশে নগর ও উত্তর এবং অন্যটিতে দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন। এছাড়াও পটিয়া কলেজ গেইট দিয়ে মহিলাদের জন্য একটি আলাদা প্রবেশপথ রাখা হয়েছে।
পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রিয় ও জেলা নেতৃবন্দ জনসভাস্থল পরিদর্শন করছেন। পটিয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা ও প্রস্তুতি সভা হয়েছে। পটিয়া উপজেলা নেতৃবৃন্দরাও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
নৌকার আকৃতিতে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের বিশাল জনসভার মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। মঞ্চ তৈরির কাছ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কচুয়াই ইউনিয়নে ২টি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। পটিয়া জুড়ে নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, র্যাব সদস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন। সাধারণ জনগণসহ নেতাকর্মীরা এখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন।পটিয়াকে জেলা ঘোষণা এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেশ কয়েকটি জেলার নাম ঘোষণা করেছিলেন। এরমধ্যে পটিয়াকে সদর করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের নামও ছিল।
কিন্তু ১৯৭৫ সালে বিএনপি সরকার পটিয়াকে মহকুমায় ফিরিয়ে নেন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির এরশাদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটিকে উপজেলায় রূপান্তর করেন। অর্থনৈতিক, শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্পাঞ্চল ও উন্নয়নে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে পটিয়া বর্তমানে সর্বাগ্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত নয় বছরে পটিয়ায় ১৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এখন পটিয়ার মানুষের প্রাণের দাবি বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার পুনর্বহাল করা।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগেও নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জনসভার কারণে যাতে যাতায়াতের কোন সমস্যা না হয় সেই পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।
কাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরী থেকে কক্সবাজারগামী গাড়ির জন্য বিকল্প রাস্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। নগরী থেকে ছেড়ে আসা যেকোন গাড়ি পটিয়ার ক্রসিং, আনোয়ারা হয়ে চন্দনাইশ নতুবা বাঁশখালী রোড হয়েই নির্বিঘ্নে কক্সবাজার যেতে পারবে। নগর ও রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, ফটিকছড়ি, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ উত্তর জেলা থেকে জনসভাস্থলে আসা গাড়িগুলো পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকার বাইপাস সড়কের মুখে এসে থামবে। অন্যদিকে, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো কচুয়ার বাইপাস সড়কের মুখে এসে থামবে। এসব স্থান থেকেই নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে যাবেন।’
পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ ২২ বছর পর প্রধানমন্ত্রী পটিয়ায় আসছেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে নির্বাচনী জনসভায় পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন তিনি। যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। জনসভাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে রোববার জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে পটিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনসভা সফল করতে বৈঠকে নানান দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভার জন্য বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে।
নেতাকর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখতে ও শুনতে পান, সেই লক্ষে ঢাকা থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ‘কলরেডি’র ১৫০টি মাইক ও ২০ পেয়ার সাউন্ডবক্স আনা হয়েছে। জনসভা মঞ্চের পাশে ২টি ও সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে আরও ৫টি বড় এলইডি মনিটর বসানো হবে।
নিরাপত্তার বাহিনীর পাশাপাশি জনসভাস্থলের শান্তি-শৃঙ্খলায় রক্ষায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১০০ নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করার কথাও জানান তিনি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ স্থলে সরকারের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ভিআইপি, সিআইপি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা স্তরে ভাগ করা হয়েছে।
এসব কাজের তদারকিতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী এসএসএফ সদস্যসহ দক্ষিণ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে ঢুকতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩টি প্রবেশপথ। এরমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটকে মূল প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে ২টি প্রবেশপথ। এর একটিতে সমাবেশে নগর ও উত্তর এবং অন্যটিতে দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন। এছাড়াও পটিয়া কলেজ গেইট দিয়ে মহিলাদের জন্য একটি আলাদা প্রবেশপথ রাখা হয়েছে।
পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রিয় ও জেলা নেতৃবন্দ জনসভাস্থল পরিদর্শন করছেন। পটিয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা ও প্রস্তুতি সভা হয়েছে। পটিয়া উপজেলা নেতৃবৃন্দরাও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
নৌকার আকৃতিতে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের বিশাল জনসভার মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। মঞ্চ তৈরির কাছ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কচুয়াই ইউনিয়নে ২টি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। পটিয়া জুড়ে নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, র্যাব সদস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন। সাধারণ জনগণসহ নেতাকর্মীরা এখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন।পটিয়াকে জেলা ঘোষণা এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেশ কয়েকটি জেলার নাম ঘোষণা করেছিলেন। এরমধ্যে পটিয়াকে সদর করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের নামও ছিল।
কিন্তু ১৯৭৫ সালে বিএনপি সরকার পটিয়াকে মহকুমায় ফিরিয়ে নেন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির এরশাদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটিকে উপজেলায় রূপান্তর করেন। অর্থনৈতিক, শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্পাঞ্চল ও উন্নয়নে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে পটিয়া বর্তমানে সর্বাগ্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত নয় বছরে পটিয়ায় ১৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এখন পটিয়ার মানুষের প্রাণের দাবি বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার পুনর্বহাল করা।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগেও নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জনসভার কারণে যাতে যাতায়াতের কোন সমস্যা না হয় সেই পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।
কাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরী থেকে কক্সবাজারগামী গাড়ির জন্য বিকল্প রাস্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। নগরী থেকে ছেড়ে আসা যেকোন গাড়ি পটিয়ার ক্রসিং, আনোয়ারা হয়ে চন্দনাইশ নতুবা বাঁশখালী রোড হয়েই নির্বিঘ্নে কক্সবাজার যেতে পারবে। নগর ও রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, ফটিকছড়ি, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ উত্তর জেলা থেকে জনসভাস্থলে আসা গাড়িগুলো পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকার বাইপাস সড়কের মুখে এসে থামবে। অন্যদিকে, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো কচুয়ার বাইপাস সড়কের মুখে এসে থামবে। এসব স্থান থেকেই নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে যাবেন।’
পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ ২২ বছর পর প্রধানমন্ত্রী পটিয়ায় আসছেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে নির্বাচনী জনসভায় পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসেছিলেন তিনি। যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। জনসভাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে রোববার জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে পটিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনসভা সফল করতে বৈঠকে নানান দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভার জন্য বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে।
নেতাকর্মীরা যাতে নির্বিঘ্নে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখতে ও শুনতে পান, সেই লক্ষে ঢাকা থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ‘কলরেডি’র ১৫০টি মাইক ও ২০ পেয়ার সাউন্ডবক্স আনা হয়েছে। জনসভা মঞ্চের পাশে ২টি ও সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে আরও ৫টি বড় এলইডি মনিটর বসানো হবে।
নিরাপত্তার বাহিনীর পাশাপাশি জনসভাস্থলের শান্তি-শৃঙ্খলায় রক্ষায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১০০ নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করার কথাও জানান তিনি।
/পটিয়া নিউজ
0 মন্তব্যসমূহ