মোঃ আরিফ মিয়া, জামালপুরঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় প্রতিবেশী সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা করেছে কনে পক্ষের লোকজন। হামলার শিকার সাংবাদিকের নাম আল হেলাল। সে দৈনিক সংগ্রামের নালিতাবাড়ী সংবাদদাতা। এ ঘটনায় ৯ মার্চ রাত ১০টায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের কোন্ননগর গ্রামের ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে উপলক্ষে ৯ মার্চ ধুমধাম চলছিল। বর পার্শ্ববর্তী সোহাগপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (১৮)। হঠাৎ করেই খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহেদুর রহমান বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। এতে কনে পক্ষ ক্ষুব্ধ হয় প্রতিবেশী সাংবাদিক আল হেলালের উপর। তারা দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির চেগার, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মারধর করে সাংবাদিকের মামা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আশরাফ আলীকে। তাদের ধারণা বাল্যবিয়ের খবরটি ওই সাংবাদিকই প্রশাসনকে জানিয়েছে। রাতেই এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে সাংবাদিক আল হেলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে ১০ মার্চ বিকেলে যোগাযোগ করা হলে কনের চাচা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজল ওই সাংবাদিকের বাড়িতে হামলার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তিনি পাল্টা সাংবাদিকের লোকজনের বিরুদ্ধে তার বাবা হাজী হেকমত আলীকে মারধর করার অভিযোগ আনেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহেদুর রহমান কনের চাচা ও মায়ের মুচলেকা নিয়ে বিয়েটা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হয়ে কারও ওপর হামলা করা ঠিক নয়। বিষয়টির শক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ