বি,এন ডেস্কঃ
আগামী বর্ষ মৌসুমেও বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়া স্বপ্নের বেড়িবাঁধটি নিয়ে উপকূলীয় মানুষদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রাণহানির কথা মনে করে অনেক পরিবারের লোকজন এখনও আঁতকে উঠে। রোয়ানো, মোরার আঘাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেক পরিবার এখনও গৃহহারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় ২৫১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধটির কাজ প্রায় ৬০% নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এখনো ৪০% কাজ বাকি। ২০১৮ সালের জুন মাসেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে নির্মাণাধীন বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকবে এই আশংকা করছেন এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ি বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩৪ টি প্যাকেজে কাজ করে। এদের মধ্যে হাছান এন্ড ব্রাদার্স ২০ টি প্যাকেজ, মের্সাস মাশিউর রহমান ৮ টি প্যাকেজ, আরাধনা এন্টারপ্রাইজ ২ টি প্যাকেজ, মোস্তফা এন্ড সন্স ২ টি প্যাকেজ, নিয়াজ ট্রেডার্স ১ টি প্যাকেজ, আলম এন্ড ব্রার্দাস ১ টি প্যাকেজের কার্যাদেশ পায়। কাজের পরিমাণ হলো খানখানাবাদে ৪,৫০০ মিটার, সাধনপুরে ২,০৭৯ মিটার, ছনুয়া ৩,২০০ মিটার, পুকুরিয়া ১,২৬৯ মিটার, গন্ডামারা এলাকায় ৯০০ মিটার বেড়ি বাঁধের কাজ পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো। তৈরি করা ব্লকগুলো দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ৫০ সেন্টিমিটার, দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ৬০ সেন্টিমিটার, দৈর্ঘ্য ৪০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ব্লক তৈরির কথা রয়েছে। বেড়ি বাঁধের তলদেশে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য, উপরের প্রস্থ ১৪ ফুট, ১৮ ফুট উচ্চতায় বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে ১৭ লক্ষ, ৮ হাজার, ৪৭১ টি ব্লক বসানো হবে। জিওব্যাগ তৈরি করা হবে ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৫৭টি। এই সমস্ত কাজের তদারকি করার টাষ্কফোর্স টিম থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্মানাধীন ব্লক ও বাঁধের জাক তদারকির কথা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁশখালী উপ সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম বলেন, ছনুয়ায় যে সমস্ত ব্লক মানসম্মত হবে না তা বাতিল করা হবে। দ্রুতগতিতে কিছু দিন কাজ চালিয়ে সম্পন্ন করতে হবে এবং টুকটাক কাজ চলছে। বাঁধের উপর মাটি ফেলেই ব্লক বসানো হবে। বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল ইসলামকে ১৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ খ ম জুলফিকার তারেক বলেন, বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ ৬০% মত শেষ হয়েছে। কাজের মান তদারকি করবেন টাস্কফোর্স দল। উনাদের রিপোর্ট ভালো হলে ঠিকাদার তার পাওনা টাকা পেয়ে থাকেন। অনেক ব্লক বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দের টাকা আরো বাড়বে কিনা জানতে চাইলে প্রকৌশলী বলেন, এটা নির্ভর করবে বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টের উপর। ভাঙ্গনরোধে সাধনপুর ও পুকুরিয়ায় বিপুল পরিমাণ জিওব্যাগ শঙ্খ নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য পানিতে ফেলা হবে বলে জানান।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
আগামী বর্ষ মৌসুমেও বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়া স্বপ্নের বেড়িবাঁধটি নিয়ে উপকূলীয় মানুষদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রাণহানির কথা মনে করে অনেক পরিবারের লোকজন এখনও আঁতকে উঠে। রোয়ানো, মোরার আঘাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেক পরিবার এখনও গৃহহারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় ২৫১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধটির কাজ প্রায় ৬০% নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এখনো ৪০% কাজ বাকি। ২০১৮ সালের জুন মাসেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে নির্মাণাধীন বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকবে এই আশংকা করছেন এলাকাবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ি বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩৪ টি প্যাকেজে কাজ করে। এদের মধ্যে হাছান এন্ড ব্রাদার্স ২০ টি প্যাকেজ, মের্সাস মাশিউর রহমান ৮ টি প্যাকেজ, আরাধনা এন্টারপ্রাইজ ২ টি প্যাকেজ, মোস্তফা এন্ড সন্স ২ টি প্যাকেজ, নিয়াজ ট্রেডার্স ১ টি প্যাকেজ, আলম এন্ড ব্রার্দাস ১ টি প্যাকেজের কার্যাদেশ পায়। কাজের পরিমাণ হলো খানখানাবাদে ৪,৫০০ মিটার, সাধনপুরে ২,০৭৯ মিটার, ছনুয়া ৩,২০০ মিটার, পুকুরিয়া ১,২৬৯ মিটার, গন্ডামারা এলাকায় ৯০০ মিটার বেড়ি বাঁধের কাজ পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো। তৈরি করা ব্লকগুলো দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ৫০ সেন্টিমিটার, দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ৬০ সেন্টিমিটার, দৈর্ঘ্য ৪০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ব্লক তৈরির কথা রয়েছে। বেড়ি বাঁধের তলদেশে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য, উপরের প্রস্থ ১৪ ফুট, ১৮ ফুট উচ্চতায় বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে ১৭ লক্ষ, ৮ হাজার, ৪৭১ টি ব্লক বসানো হবে। জিওব্যাগ তৈরি করা হবে ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৫৭টি। এই সমস্ত কাজের তদারকি করার টাষ্কফোর্স টিম থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্মানাধীন ব্লক ও বাঁধের জাক তদারকির কথা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁশখালী উপ সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম বলেন, ছনুয়ায় যে সমস্ত ব্লক মানসম্মত হবে না তা বাতিল করা হবে। দ্রুতগতিতে কিছু দিন কাজ চালিয়ে সম্পন্ন করতে হবে এবং টুকটাক কাজ চলছে। বাঁধের উপর মাটি ফেলেই ব্লক বসানো হবে। বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল ইসলামকে ১৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ খ ম জুলফিকার তারেক বলেন, বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ ৬০% মত শেষ হয়েছে। কাজের মান তদারকি করবেন টাস্কফোর্স দল। উনাদের রিপোর্ট ভালো হলে ঠিকাদার তার পাওনা টাকা পেয়ে থাকেন। অনেক ব্লক বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দের টাকা আরো বাড়বে কিনা জানতে চাইলে প্রকৌশলী বলেন, এটা নির্ভর করবে বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টের উপর। ভাঙ্গনরোধে সাধনপুর ও পুকুরিয়ায় বিপুল পরিমাণ জিওব্যাগ শঙ্খ নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য পানিতে ফেলা হবে বলে জানান।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ