বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-০৬২৭) হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল দুপুর পৌনে একটার দিকে কালীপুর নাসেরা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের সামনেই তার গাড়িতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। পৌর মেয়র স্থানীয় রজনীগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে সেরে পৌরসভায় ফেরার পথে হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার অনুসারীরা। আমি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হলে সেখানে এমপির কয়েকজন অনুসারীকে দেখতে পাই। তারা পরিকল্পনা করেই কালীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আমার গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করেছে। আমি ও গাড়িচালক গাড়ি থেকে নামতেই তিনজনকে দৌড়ে যেতে দেখেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি হামলাকারীদের মধ্যে একজন হলেন সোহাগের পুত্র নাদিম। হামলায় আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারের পেছনের দুটি লাইট ভেঙে গেছে। হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। উনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, পৌর মেয়রের গাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। মেয়র টেলিফোনে আমাকে জানানোর পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি নিজেও গিয়ে ঘটনার খোঁজ-খবর রাখছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক পৌরসভা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর মধ্যে বিরোধ হয়। এরপর থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্বেষমূলক আচরণ করতে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের এ দুই নেতা। গতকালের গাড়ি ভাঙচুরের জন্য এমপি অনুসারীদেরকেই দুষছেন পৌর মেয়র।
ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা : বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিদারুল আলমের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল বিকালে উপজেলা সদরে দাঁড়ানো অবস্থায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মারাত্মকভাবে আহত দিদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত জ্ঞান ফিরেনি বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরানুল হক পূর্বদেশকে বলেন, এমপির নির্দেশেই দিদারকে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। আমির মিয়া, ফাহিমসহ কয়েকজন এ হামলার সাথে জড়িত। এরা এমপিকে খুশী করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। দিদারকে মারধরের এক পর্যায়ে সরল ইউপির চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরীর বিআরডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আবারো মারধর করলে জ্ঞান হারান দিদার। তাকে প্রথমে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে পরে চমেকে রেফার করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিব।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার অনুসারীরা। আমি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হলে সেখানে এমপির কয়েকজন অনুসারীকে দেখতে পাই। তারা পরিকল্পনা করেই কালীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আমার গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করেছে। আমি ও গাড়িচালক গাড়ি থেকে নামতেই তিনজনকে দৌড়ে যেতে দেখেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি হামলাকারীদের মধ্যে একজন হলেন সোহাগের পুত্র নাদিম। হামলায় আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারের পেছনের দুটি লাইট ভেঙে গেছে। হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। উনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, পৌর মেয়রের গাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। মেয়র টেলিফোনে আমাকে জানানোর পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি নিজেও গিয়ে ঘটনার খোঁজ-খবর রাখছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক পৌরসভা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর মধ্যে বিরোধ হয়। এরপর থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্বেষমূলক আচরণ করতে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের এ দুই নেতা। গতকালের গাড়ি ভাঙচুরের জন্য এমপি অনুসারীদেরকেই দুষছেন পৌর মেয়র।
ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা : বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিদারুল আলমের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল বিকালে উপজেলা সদরে দাঁড়ানো অবস্থায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মারাত্মকভাবে আহত দিদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত জ্ঞান ফিরেনি বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরানুল হক পূর্বদেশকে বলেন, এমপির নির্দেশেই দিদারকে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। আমির মিয়া, ফাহিমসহ কয়েকজন এ হামলার সাথে জড়িত। এরা এমপিকে খুশী করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। দিদারকে মারধরের এক পর্যায়ে সরল ইউপির চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরীর বিআরডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আবারো মারধর করলে জ্ঞান হারান দিদার। তাকে প্রথমে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে পরে চমেকে রেফার করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিব।
/ পূর্বদেশ
0 মন্তব্যসমূহ