বিএন ডেস্কঃ
‘গ্যাস পেতে কাউন্সিলরকে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।
৫টি বিল বই দেয়ার কথা থাকলেও একটিও দেয়নি। এলাকার লোকজন থেকে ৮০ হাজার- ১
লাখ টাকা করে নিয়েছেন। ওই টাকা দিয়ে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন, প্রাইভেটকার
কিনেছেন। নির্বাচনের জন্য খরচ করেন। লাইন বিচ্ছিন্নের পর তাকে আর খুঁজে
পাওয়া যায়না।’ কথাগুলো বলছিলেন ফেনী শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রামপুর
এলাকার আবু কমিশনার বাড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম। সম্প্রতি জেলা
প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ওই
এলাকার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৪শ পরিবার।
গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তুলে প্রায় দেড়শতাধিক রাইজার
উত্তোলন করেন স্থানীয় কাউন্সিলর মনির আহম্মদ। ওই চক্রকে লাখ টাকা দিয়েও
হয়রানির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় একটি সামাজিক
অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের প্রশ্নবানে পড়েন কাউন্সিলর মনির। তিনি ফেনী-২ আসনের
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নাম ভাঙিয়ে তাদের এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে
তাদের তোপের মুখে লাইনটি বৈধতার প্রক্রিয়া চলছে বলে আশ্বাস দেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ২০১৫ সালের শেষের দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীর, আবদুল হাই, শাহজাহান, নুরুল আবছার, এয়াকুব, সেলিম সহ ওই চক্র পশ্চিম রামপুর ও পূর্ব বিজয়সিংহ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে টাকা সংগ্রহ করতে মনিরকে সহযোগিতা করেন। গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকাও আদায় করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের আগের দিন রাতেও আনু কাজি মসজিদ সংলগ্ন জয়নাল আবদীনের পরিবারে সংযোগ দিতে একটি রাইজার উত্তোলন করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর অনেকে সিলিন্ডার গ্যাসের উপর নির্ভর হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
কথা হয় একই এলাকার মীর বাড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী দিদারুল আলমের সাথে। তিনি জানান, গ্যাস সংযোগ পেতে ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাড়ির আরো ৬-৭ পরিবার উল্লেখিত পরিমান টাকা দিয়ে সংযোগ নিয়েছেন।
সিরাজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকাবাসী ষড়যন্ত্রের শিকার। এমপি-মেয়র উদ্বোধন করায় এলাকার লোকজন উৎসাহিত হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কাউন্সিলর মনির অতি লোভে পড়ে গ্যাস সংযোগের নামে লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মনির আহম্মদের বক্তব্য জানতে শনিবার বিকালে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ২০১৫ সালের শেষের দিকে স্থানীয় জাহাঙ্গীর, আবদুল হাই, শাহজাহান, নুরুল আবছার, এয়াকুব, সেলিম সহ ওই চক্র পশ্চিম রামপুর ও পূর্ব বিজয়সিংহ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে টাকা সংগ্রহ করতে মনিরকে সহযোগিতা করেন। গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে ৩০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকাও আদায় করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের আগের দিন রাতেও আনু কাজি মসজিদ সংলগ্ন জয়নাল আবদীনের পরিবারে সংযোগ দিতে একটি রাইজার উত্তোলন করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর অনেকে সিলিন্ডার গ্যাসের উপর নির্ভর হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
কথা হয় একই এলাকার মীর বাড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী দিদারুল আলমের সাথে। তিনি জানান, গ্যাস সংযোগ পেতে ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাড়ির আরো ৬-৭ পরিবার উল্লেখিত পরিমান টাকা দিয়ে সংযোগ নিয়েছেন।
সিরাজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকাবাসী ষড়যন্ত্রের শিকার। এমপি-মেয়র উদ্বোধন করায় এলাকার লোকজন উৎসাহিত হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কাউন্সিলর মনির অতি লোভে পড়ে গ্যাস সংযোগের নামে লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মনির আহম্মদের বক্তব্য জানতে শনিবার বিকালে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্রঃ ফেনীর সময়
0 মন্তব্যসমূহ