বিএন ডেস্কঃ
২২
মার্চ বৃহস্পতিবার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন,
স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতিপত্র পাওয়ার আনন্দ
উদযাপনের দিন ২২ মার্চ বৃহস্পতিবার কোনো ধরনের ব্যাগ বহন করা যাবে না।
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার (২০মার্চ) সচিবালয়ের সভাকক্ষে ২২
মার্চের কর্মসূচি বাস্তবায়নে এক সভা শেষে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ও স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামালউদ্দিন, আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাব,
বিজিবির প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতেও হবে নানা
অনুষ্ঠান। সকাল ১০টায় সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সব কটি
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। বিকাল চারটায় হবে আনন্দ মিছিল।
আর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ওই দিন
দেশব্যাপী অনুষ্ঠানে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের
বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘অনুষ্ঠানের দিন অর্থাৎ ২২ মার্চ পিঠে এক
প্রকার ব্যাগ বহন করা হয় যেটা ছাত্র বা যুবক শ্রেণির ব্যক্তিরা এটা ব্যবহার
করে, ওইদিন এ ধরনের কোন ব্যাগপ্যাকসহ কোন রকম ব্যাগ ক্যারি করতে দেবো না।’
‘ধারল বস্তু, দাহ্য পদার্থ বা আগুন জ্বলাতে পারে এমন ম্যাচ জাতীয় বস্তুও
বহন করতে দেয়া হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে সেদিন জনবহুল
সমাবেশ হবে। এজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ‘ওইদিন বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেলা তিনটার পর কেউ প্রবেশ
করতে পারবে না। যারা প্রবেশ করে ভেতরে অবস্থান করবেন তারাও বের হতে পারবেন
না।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। আর বাংলাদেশ সময় ১৭ মার্চ জাতিসংঘ
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিপত্র হস্তান্তর করে।
আর এই স্বীকৃতি উদযাপনে আগামী ২২ মার্চ
সারাদেশে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান
করে নিতে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ
তিনটির যেকোনো দুইটি অর্জন করতে পারলেই স্বীকৃতি মেলে।
বাংলাদেশ তিনটি সূচকেই পর্যাপ্ত মানদণ্ড
অর্জন করে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক
কাউন্সিলের মানদণ্ডে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে
হবে কমপক্ষে ১২৩০ ডলার।
সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১২৭১।
মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ বা এর বেশি। বাংলাদেশ সেখানে অর্জন করেছে ৭২
দশমিক ৯। এছাড়া অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে হতে হবে ৩২ বা এর কম। সেখানে
বাংলাদেশের আছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
সূত্রঃ নয়াদিগন্ত
0 মন্তব্যসমূহ