বিএন ডেস্কঃ
মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় চলা ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষ হয়েছে। আস্তানার ভেতরে তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। নিহত পুরুষদের মধ্যে একজন সিলেটে শিববাড়িতে সেনা অভিযান চলাকালে জঙ্গি আস্তানার কাছের হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে নিশ্চিত পুলিশ।
অভিযান শেষে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম আজ শনিবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। ঘটনাস্থলের কাছে হুসেন কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে ওই ব্রিফিং হয়।
ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, বড়হাটের অভিযান বেশ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, সিলেটের জঙ্গি আস্তানার কাছের হামলাকারীরা এখানে রয়েছেন। তাঁরা টেকনোলজি পরীক্ষা করে দেখেছেন, বড়হাটের আস্তানা থেকে সিলেটে গিয়ে হামলার পর হামলাকারীরা আবার এখানকার আস্তানায় ফিরে এসেছিলেন।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সেদিন থেকেই আমরা বুঝতে পারছিলাম, এখানে শক্তিশালী বোমাসহ প্রচুর বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বা এ ধরনের কাজের একজন আপার মিড লেভেলের জঙ্গি রয়েছে। এর আগে আমরা জানতে পেরেছিলাম, এখানে তিনজন জঙ্গি রয়েছেন—দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁদের মধ্যে যিনি সিলেটে হামলা করেছেন, তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছিলাম।’
ব্রিফিংয়ে মনিরুল জানান, জঙ্গিদের বারবার তাঁরা আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি। তাঁরা তাঁদের জীবিত ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যখনই সোয়াট ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তখনই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান স্থগিত করার পর সোয়াটের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই শক্তিশালী বিস্ফোরণে তাঁরা ভবনে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন। তাঁদের ধারণা ছিল, ভবনে আগুন ধরে গেছে। আজ ভবনে ঢোকার পর তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, অভিযানে তাঁরা নিহত হয়েছেন। আস্তানায় তাঁরা তিনটি লাশ দেখেছেন। একটি ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন সাহসী কর্মকর্তাসহ সাতজন হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের তাৎক্ষণিক বিচার হয়তো “ন্যাচারালি” হয়ে গেছে। আমাদের ইচ্ছা ছিল তাঁদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো। সেটি আমরা পারিনি। কিন্তু আমরা মনে করি, সাতজনের মৃত্যুর পর এই অভিযান সন্ত্রাস দমনের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।’
গতকাল দিনভর বাড়িটি ঘিরে অভিযান চলে। সন্ধ্যায় স্বল্প আলোর কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার পর থেকে আবারও অভিযান শুরু হয়।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা বাড়িটি গত মঙ্গলবার রাত থেকে ঘিরে রাখা হয়। গত বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল সকাল থেকে শুরু হয় সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’।
গত ২৫ মার্চ সিলেটে সেনা অভিযান চলাকালে জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলের’ কাছে হামলা হয়। দুই দফা বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন। গুরুতর আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হয়। ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
অভিযান শেষে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম আজ শনিবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। ঘটনাস্থলের কাছে হুসেন কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে ওই ব্রিফিং হয়।
ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, বড়হাটের অভিযান বেশ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, সিলেটের জঙ্গি আস্তানার কাছের হামলাকারীরা এখানে রয়েছেন। তাঁরা টেকনোলজি পরীক্ষা করে দেখেছেন, বড়হাটের আস্তানা থেকে সিলেটে গিয়ে হামলার পর হামলাকারীরা আবার এখানকার আস্তানায় ফিরে এসেছিলেন।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সেদিন থেকেই আমরা বুঝতে পারছিলাম, এখানে শক্তিশালী বোমাসহ প্রচুর বিস্ফোরক এবং বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বা এ ধরনের কাজের একজন আপার মিড লেভেলের জঙ্গি রয়েছে। এর আগে আমরা জানতে পেরেছিলাম, এখানে তিনজন জঙ্গি রয়েছেন—দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁদের মধ্যে যিনি সিলেটে হামলা করেছেন, তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছিলাম।’
ব্রিফিংয়ে মনিরুল জানান, জঙ্গিদের বারবার তাঁরা আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি। তাঁরা তাঁদের জীবিত ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যখনই সোয়াট ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তখনই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান স্থগিত করার পর সোয়াটের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই শক্তিশালী বিস্ফোরণে তাঁরা ভবনে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন। তাঁদের ধারণা ছিল, ভবনে আগুন ধরে গেছে। আজ ভবনে ঢোকার পর তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, অভিযানে তাঁরা নিহত হয়েছেন। আস্তানায় তাঁরা তিনটি লাশ দেখেছেন। একটি ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন সাহসী কর্মকর্তাসহ সাতজন হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের তাৎক্ষণিক বিচার হয়তো “ন্যাচারালি” হয়ে গেছে। আমাদের ইচ্ছা ছিল তাঁদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো। সেটি আমরা পারিনি। কিন্তু আমরা মনে করি, সাতজনের মৃত্যুর পর এই অভিযান সন্ত্রাস দমনের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।’
গতকাল দিনভর বাড়িটি ঘিরে অভিযান চলে। সন্ধ্যায় স্বল্প আলোর কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার পর থেকে আবারও অভিযান শুরু হয়।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা বাড়িটি গত মঙ্গলবার রাত থেকে ঘিরে রাখা হয়। গত বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল সকাল থেকে শুরু হয় সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’।
গত ২৫ মার্চ সিলেটে সেনা অভিযান চলাকালে জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলের’ কাছে হামলা হয়। দুই দফা বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন। গুরুতর আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হয়। ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
0 মন্তব্যসমূহ