বি,এন ডেস্কঃ
ইউএস বাংলার সহকারী পাইলট প্রিথুলা রশিদ মারা গেছেন। কিন্তু নিজের জীবনের বিনিময়ে বীর ওই নারী পাইলট বাঁচিয়ে গেছেন ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ।
নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল সাইটে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
ইউএস বাংলার সহকারী পাইলট প্রিথুলা রশিদ মারা গেছেন। কিন্তু নিজের জীবনের বিনিময়ে বীর ওই নারী পাইলট বাঁচিয়ে গেছেন ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ।
নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল সাইটে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
প্রিথুলা ছিলেন সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের
উড়োজাহাজের সহকারি পাইলট। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর
নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারত ও নেপালের সোশ্যাল সাইটগুলোতে বলা হচ্ছে, 'ডটার অফ বাংলাদেশ' তাঁর
জীবন উৎসর্গ করে নেপালিদের জীবন বাঁচিয়েছেন আজ (সোমবার)। এই তরুণ
পাইলট নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে নিহত হয়েছেন। তার নাম পৃথুলা রশীদ।
তিনিই ছিলেন বিধ্বস্ত বিমানটির কো-পাইলট। তিনি নিজের জীবনের বিনিময়ে ১০ জন
নেপালির জীবন বাঁচিয়েছেন, যারা এখন বেঁচে আছেন।
তবে সোশ্যাল সাইটগুলো আর বিস্তারিত জানাতে পারেনি। ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩৩
জন বাংলাদেশি, ৩২ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক
ছিলেন। ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সেই
হতভাগাদেরই একজন প্রিথুলা রশিদ।
দুর্ঘটনা কবলিত বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটিতে ৩৭ জন পুরুষ ও
২৭ জন নারী ছাড়াও উড়োজাহাজটিতে ছিল শিশু। দুর্ঘটনায় নিজের কথা না ভেবে আগে
সেই যাত্রীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন প্রিথুলা। দশ জন নেপালি যাত্রীকে
মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দিতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় প্রিথুলার।
তবে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রিথুলা রশিদের অন্যের জীবন বাঁচানোর
চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি। ওই দশ নেপালি যাত্রীর সবাই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
পেয়েছে। তারা সবাই এখন বেঁচে আছে।
গতকাল সোমবার প্লেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০
মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়েই দুর্ঘটনার
শিকার হয়।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ
0 মন্তব্যসমূহ