প্রত্যেক গাড়িতে বাঁশখালীর সব জায়গার ভাড়ার পরিমাণ সহ একটি লিস্ট রাখতে হবে

মির তৌহিদঃ
বাশঁখালীর মানুষ নিয়ে একটা নেতিবাচক মনোভাব আছে।কিন্তু বাঁশখালীর মানুষের মতো শান্ত মানুষ আর কোথাও নেই।তারা ঝামেলায় যাওয়ার ভয়ে বছরের পর বছর একটি অন্যায়কে একটি নৈরাজ্যকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে।সেটি হচ্ছে গণ পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়।এটাকে পরিবহন সন্ত্রাসও বলা যায়।গুটিকয়েকে বাস মালিক শ্রমিকের হাতে জিম্মি পুরো বাঁশখালীর জনগণ।মানুষ টাকা দিবে তারা সেবা দিবে এটা যদিও নীতি তা বাস মালিক শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।আমরা তাদের টাকা দিবো এটা আবশ্যক হলেও তারা সেবা দিবে এটা সহায়ক। প্রথমেই বলি গাড়িগুলোর অবস্থা।সেই পুরাতন আমলের সব রুট থেকে বাদ করে দেওয়া লক্কর ঝক্কর বাস গুলোই ঠাই হয় বাশখালীর রুটে।সীটগুলো এমন ভাবে থাকে যেনো একজন বসলে পাশাপাশি অন্যজনকে সীটের বাইরে চলে যেতে হয় গা ঘেষে বসার পর ও। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া হিসেবে উত্তর বা দক্ষিন চট্টগ্রামের আর কোন রুটে এতো বেশী ভাড়া আদায় করা হয় না।অন্য কোন রুটে স্পেশাল, সুপার, ক্লোজ ডোর এতো নাম দিয়ে গলা কাটা ভাড়া আদায় করে না। বাস ড্রাইভার বা হেল্পারদের ব্যবহার এতোটাই জঘন্য যে কেউ অনিময়ের প্রতিবাদ করতে চায় না।এমন ব্যবহার শহরের লোকাল বাসগুলোতেও করা হয় না। কোন একটা উপলক্ষ বা বৃ্হস্পতি/শুক্রবার আসলেই তাদের দাম হয়ে যায় আকাশ ছোঁয়া। তখন আপনি যেখানেই নামুন না কেন ভাড়া হয়ে যায় একদাম একশো ফিক্সড। করনীয়ঃ এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আমাকে আপনাকে মিলেমিশে করতে হবে।ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে বেশী দাবি করলে তখনই প্রতিবাদ করতে হবে একযোগে। প্রয়োজনে সম্মিলিত ভাবে ওই গাড়ি থেকে নেমে যেতে হবে। আপনার কাছে অপশন আছে বাট তাদের কাছে কোন অপশন নাই।ন্যায্য ভাড়ার বিনিময়ে আপনাকে নিয়ে যেতে তারা বাধ্য। প্রত্যেক গাড়িতে বাঁশখালীর সব জায়গার ভাড়ার পরিমাণ সহ একটি লিস্ট রাখতে হবে।কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে এই ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। স্পেশাল সার্ভিস,সুপার সার্ভিস এগুলোর ভাড়া বসানোর ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকেও মতামত নিতে হবে। বিশেষ উপলক্ষে লোকাল বাসগুলো ক্লোজ ডোর হয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে রুট পারমিট বাতিল সহ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চালু হওয়ার অল্প ক'দিন পর বন্ধ হয়ে যাওয়া বিআরটিসি বাস সেবা আবার পুনরায় চালু করার জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়েকে অবহিত করতে হবে। এই সমস্যার ক্ষেত্রে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাধারন মানুষের পাশে থেকে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। কোন অন্যায় আবদার রাখার পক্ষে তারা থাকবে না। কোন বাস শ্রমিক যেনো যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে না পারে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। সর্বোপরি আমি আপনি যদি অতিরিক্ত ভাড়া নি দিই, এই অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিই তাহলে এটা কখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।আগে যাত্রীদেরকে সচেতন হতে হবে।নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ