স্টাফ রিপোর্টার,বাঁশখালী নিউজঃ
বাঁশখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ,প্রাচীন ছনুয়া কাতেবী জামে মসজিদ।এই মসজিদকে অনেকে গায়েবী মসজিদও বলে থাকেন।প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই মসজিদে মানত বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।সম্প্রীতি ওই মসজিদের মোতোয়াল্লী ছনুয়া সাম্বলী পাড়া এলাকার কলিম উল্লাহর বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ ওঠেছে।মসজিদ কমিটির যোগসাজেচে কলিম উল্লাহ দেদারছে মসজিদের টাকা আত্নসাৎ করছে।এহেন অবস্থায় এলাকার জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।যার কারণে ওই মসজিদে নামায আদায় না করে পার্শ্ববর্তী এলাকার মসজিদে নামায আদায় করছেন কিছু মানুষ।বাঁশখালীর এই মসজিদটি হাজার বছরের পুরনো।অথচ অজানা কারণে মসজিদ কমিটি এটিকে কোনো ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেন না।সম্প্রীতি এই মসজিদে এলাকার মুসল্লীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও;মসজিদ কমিটির লোকজনের গাফিলাতির কারণে কাঙ্কিত উন্নয়ন না হওয়াতে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়,জরাজীর্ণ এই মসজিদের দেয়ালগুলো।মসজিদে মানত করতে আসা লোকজন দেয়ালে চুনা লেপে দিচ্ছে।অথচ রং করে কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না মসজিদ কমিটির লোকজন।ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এলাকার লোকজন বারবার তাগিদ দিলেও;তা মসজিদ কমিটি তোয়াক্কা করছেনা বলে জানান এলাকাবাসী।
হাফেজ আবদুর রহমান নামের একজন লোক বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"প্রতিবাদ করার মত লোকজন না থাকাতে তারা এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে পেরেছে।"
মোঃ জাকের উল্লাহ নামের আরেকজন বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"চোর বুঝেনা ধর্মের কাহিনী।চোর তো চোরই।মসজিদের টাকা আত্নসাত করার জন্য কাল কেয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।"
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে,দক্ষিণ চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক কাতেবী জামে মসজিদের প্রায় ৫০ এর অধিক দানবাক্স রয়েছে।তাছাড়া প্রতিদিন মসজিদে অনেক লোকজন মানত করতে আসে।সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের মত টাকা জমা পড়ে মসজিদ ফান্ডে।কিন্তু দুঃখের বিষয় মসজিদের উন্নয়ন না করে মসজিদ কমিটির যোগসাজেচে টাকা আত্নসাত করছে মোতোয়াল্লী কলিম উল্লাহ।ঐতিহ্যবাহী এই কাতেবী জামে মসজিদে হিন্দু ধর্মালম্বীর লোকেরাও আসেন হাদিয়া নাজরানা ও মানত করতে।এদিকে এলাকার সচেতন সর্বস্তরের জনসাধারণ নতুন মসজিদ কমিটি গঠন করে মসজিদের উন্নয়ন করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।অন্যথায়,সচেতন মহল আন্দোলনের ডাক দিবেন।
0 মন্তব্যসমূহ