বিএন ডেস্কঃ
সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সিরিয়া। নতুন করে বোমা হামলায় গত তিন দিনে আফরিন শহর ছেড়েছেন দু’ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এদিকে বিরোধীদের দমন নিপীড়ন চালাতে ধর্ষণ উৎসবে মেতে উঠেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা। আর এই ধর্ষণ থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশু-বৃদ্ধারাও।
বিষয়টিকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। অন্তত ৪৫০ জনকে প্রশ্ন করে তৈরি হয়েছে এই প্রতিবেদন। যা থেকে উঠে এসেছে যৌন হিংসার ভয়াবহ চিত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সিরিয়ায় পরিবার-জীবনকে পুরোপুরি বিপন্ন করে দিতে এবং সন্ত্রাসদীর্ণ মানুষের মনোবল ভেঙে দিতে যৌন হিংসা একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। জঙ্গি ও বিদ্রোহী খোঁজার নামে আসাদের বাহিনী যখন-তখন হানা দিচ্ছে বসতবাড়িতে। তার পর অবাধে চালিয়েছে যৌন অত্যাচার। কোথাও কোথাও আবার বাড়ির বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বাহিনীর লোকজন। কখনও সামরিক ট্যাঙ্কের সামনে নগ্ন হয়ে হাঁটতে বলা হয় নারীদের।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনহেইরো বলেছেন, সিরিয়ায় সাত বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে যুদ্ধরত সব গোষ্ঠীই ভয়াবহ যৌন নির্যাতন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা চালাচ্ছে। তবে সরকারি বাহিনীর তুলনায় অন্যদের নির্যাতনের মাত্রা কম।
প্রতিবেদনে সাক্ষাতকার দেওয়া এক নারী বলেছেন, তাঁকে তাঁর ভাইয়ের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর এক জন জানিয়েছেন, স্বামী আর তিন সন্তানের সামনে ধর্ষিত হতে হয়েছে তাঁকে। যাঁরা বাধা দিতে গিয়েছেন, মরতে হয়েছে তাঁদের।
এদিকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা সেনাছাউনিগুলিতেও একই চিত্র। হঠাৎ ইচ্ছে মত নারীদের তুলে এনে রাখা হচ্ছে আলাদা কোনও বাড়িতে। জখম শরীরে পরার জন্য কিছু দেওয়া হয়নি তাঁদের। রক্ষা পাননি বৃদ্ধারাও। অশালীন ভাবে তাঁদের দেহতল্লাশি করা হয়েছে। এক বৃদ্ধা জানিয়েছেন, সেনা অফিসার তাঁকে যৌন নির্যাতনের সঙ্গে মারধরও করেছে। আর এক বৃদ্ধার দাবি, যৌনাঙ্গে জিনিস ঢুকিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছে তাঁর উপরে।
অন্যদিকে সরকার-বিরোধী কথা বললেই আসাদ বাহিনী জেলে ভরেছে নারী সাংবাদিক, আইনজীবী এবং আন্দোলনকারীদের। বন্দি ওই নারীদের অবস্থা সব চেয়ে ভয়াবহ বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। রেহাই নেই ওই নারীদের আত্মীয়দেরও। জেলে রয়েছে ৯ বছরের মেয়েও। সবার সামনে জেলে ধর্ষণ করা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বাকে। জেলে ঢুকিয়েই মহিলাদের নগ্ন অবস্থায় পুরুষ অফিসারের সামনে মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে। যৌনাঙ্গে ও স্তনে বিদ্যুতের শক দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
তবে রেহায় পাচ্ছে না পুরুষরাও। নিগ্রহের শিকার হয়েছেন অনেক পুরুষ। অন্য বন্দিদের সামনে তাঁদেরও ধর্ষণ করা হয়েছে। পাইপ, রড দিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। আসাদের বাহিনী এ সব দৃশ্য দেখে ‘আনন্দ’ পেত বলে সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন সিরিয়ার বন্দিরা।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ তদন্তকারীরা বলছেন, সিরিয়ার সরকারের সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ২০টি আস্তানা নারী ও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পুরুষ ও বালকদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৫টি আস্তানা।
বিষয়টিকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। অন্তত ৪৫০ জনকে প্রশ্ন করে তৈরি হয়েছে এই প্রতিবেদন। যা থেকে উঠে এসেছে যৌন হিংসার ভয়াবহ চিত্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সিরিয়ায় পরিবার-জীবনকে পুরোপুরি বিপন্ন করে দিতে এবং সন্ত্রাসদীর্ণ মানুষের মনোবল ভেঙে দিতে যৌন হিংসা একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। জঙ্গি ও বিদ্রোহী খোঁজার নামে আসাদের বাহিনী যখন-তখন হানা দিচ্ছে বসতবাড়িতে। তার পর অবাধে চালিয়েছে যৌন অত্যাচার। কোথাও কোথাও আবার বাড়ির বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বাহিনীর লোকজন। কখনও সামরিক ট্যাঙ্কের সামনে নগ্ন হয়ে হাঁটতে বলা হয় নারীদের।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনহেইরো বলেছেন, সিরিয়ায় সাত বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে যুদ্ধরত সব গোষ্ঠীই ভয়াবহ যৌন নির্যাতন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা চালাচ্ছে। তবে সরকারি বাহিনীর তুলনায় অন্যদের নির্যাতনের মাত্রা কম।
প্রতিবেদনে সাক্ষাতকার দেওয়া এক নারী বলেছেন, তাঁকে তাঁর ভাইয়ের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর এক জন জানিয়েছেন, স্বামী আর তিন সন্তানের সামনে ধর্ষিত হতে হয়েছে তাঁকে। যাঁরা বাধা দিতে গিয়েছেন, মরতে হয়েছে তাঁদের।
এদিকে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা সেনাছাউনিগুলিতেও একই চিত্র। হঠাৎ ইচ্ছে মত নারীদের তুলে এনে রাখা হচ্ছে আলাদা কোনও বাড়িতে। জখম শরীরে পরার জন্য কিছু দেওয়া হয়নি তাঁদের। রক্ষা পাননি বৃদ্ধারাও। অশালীন ভাবে তাঁদের দেহতল্লাশি করা হয়েছে। এক বৃদ্ধা জানিয়েছেন, সেনা অফিসার তাঁকে যৌন নির্যাতনের সঙ্গে মারধরও করেছে। আর এক বৃদ্ধার দাবি, যৌনাঙ্গে জিনিস ঢুকিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছে তাঁর উপরে।
অন্যদিকে সরকার-বিরোধী কথা বললেই আসাদ বাহিনী জেলে ভরেছে নারী সাংবাদিক, আইনজীবী এবং আন্দোলনকারীদের। বন্দি ওই নারীদের অবস্থা সব চেয়ে ভয়াবহ বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। রেহাই নেই ওই নারীদের আত্মীয়দেরও। জেলে রয়েছে ৯ বছরের মেয়েও। সবার সামনে জেলে ধর্ষণ করা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বাকে। জেলে ঢুকিয়েই মহিলাদের নগ্ন অবস্থায় পুরুষ অফিসারের সামনে মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে। যৌনাঙ্গে ও স্তনে বিদ্যুতের শক দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
তবে রেহায় পাচ্ছে না পুরুষরাও। নিগ্রহের শিকার হয়েছেন অনেক পুরুষ। অন্য বন্দিদের সামনে তাঁদেরও ধর্ষণ করা হয়েছে। পাইপ, রড দিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। আসাদের বাহিনী এ সব দৃশ্য দেখে ‘আনন্দ’ পেত বলে সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন সিরিয়ার বন্দিরা।
জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ তদন্তকারীরা বলছেন, সিরিয়ার সরকারের সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ২০টি আস্তানা নারী ও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পুরুষ ও বালকদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৫টি আস্তানা।
0 মন্তব্যসমূহ