সেলিম রেজা নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
মো: সমাপন বাবু সাপাহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বর্তমান সাপাহার উপজেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে যুক্ত হন উপজেলা রাজনীতিতে। ব্যাক্তি জীবন ও রাজনীতি নিয়ে আলোচিত এই মেধাবী সাবেক ছাত্র নেতার সাথে কথা বলেন সেলিম রেজা নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।
প্রেস : প্রথমে আপনার বাবা সম্পর্কে কিছু বলুন ?
মো: সমাপন বাবু : আমার বাবার নাম প্রোফেসর মো: মোখলেছুর রহমান তিনি মানুষের সেবা করেছেন এজন্য সামাজিকভাবে উনি সকলের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য ছিলেন। আমি ব্যাক্তি হিসাবে সমাপন এখনো কিছুই না। এখনো প্রোফেসর মো: মোখলেছুর রহমান ছেলে বললে সবাই আমাকে চিনে। মানুষের মুখে উনার প্রশংসা শুনলে আমার খুব ভাল লাগে। আমি অনুপ্রাণিত হই। আমি আমার বাবাকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি।
প্রেস : আপনার মা সম্পর্কে কিছু বলুন?
মো: সমাপন বাবু : আমার মায়ের নাম মোছা: জাহানারা বেগম। তিনি চমৎকার ও আদর্শিক একজন মানুষ। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। আমার মায়ের শিক্ষা দ্বারাই কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায়, কোনটা সৎ কোনটা অসৎ এগুলো শিখেছি।
প্রেস : আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান?
মো: সমাপন বাবু : আমি পড়াশুনা শুরু করি সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি সাপাহার সরকারী কলেজ থেকে।
প্রেস : আপনার প্রিয় শিক্ষক?
মো: সমাপন বাবু : মরহুম মো:আনোয়ার হোসেন স্যার । তিনি সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন।
প্রেস: কিভাবে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হলেন?
মো: সমাপন বাবু : আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে আমার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক চর্চাটা আমি দেখে এসেছি। এগুলো দেখতে দেখতেই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি ভালবাসা জন্ম নেয়। তারপর পড়াশুনার মাধ্যমে যখন ইতিহাস জানতে শিখেছি তখন বুঝতে পারলাম শেখ মুজিবই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর উদারতা, সাহসিকতা, মানবিক গুনাবলী, দেশপ্রেম আমাকে আলোড়িত করে । আমি প্রত্যক্ষভাবে সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করি ২০০১-এর নির্বাচনে। ধারাবাহিকভাবে রফিকুল ইসলাম সাবেক জি. এস সাপাহার সরকারী কলেজ ভাইয়ের ডাকে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে অংশগ্রহন করি।
প্রেস : ছাত্ররা কেন রাজনীতি করবে? আপনি কি এর প্রয়োজনীয়তা মনে করেন?
মো: সমাপন বাবু : অবশ্যই। রাজনীতির আভিধানিক অর্থ রাজার ন্যায় নীতি। অর্থাৎ প্রজার দুঃখ দুর্দশা দূর করা, ভাগ্য পরিবর্তন করা, উন্নত সেবা করাই রাজনীতির কাজ। আমাদের যা কিছু অর্জন সবকিছু ছাত্রলীগের মাধ্যমেই। আমাদের জাতির পিতা বলে গেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস, ছাত্র লীগের ইতিহাস। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ছাত্র লীগের অবদান ছিল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৭০০০ চাত্রলীগ কর্মী শহীদ হন। ছাত্র লীগ, শ্রমিক লীগ এই দুইটি সংগঠন যখন মাঠে ছিল তখন কিন্তু আমাদের সকল সংগ্রাম সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি একটি শরীরের মাথা হয় তাহলে ছাত্র লীগ সেই শরীরের হৃদপিণ্ড। হৃদপিণ্ড যখন স্পন্দিত হবে তখন রক্ত চলাচল করবে, মাথা কাজ করবে। যদিও আমার ছাত্র লীগ দিয়ে শুরু এছাড়াও ছাত্রদের দাবি আদায়ের জন্য ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র দল, ছাত্র ফেডারেশনসহ প্রত্যেকটা ছাত্র সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি। আমাদের সমাজের অসঙ্গতিগুলো দূর করার জন্য ছাত্রদের ভূমিকা অপরিহার্য।
প্রেস :উপজেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পরে আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
মো: সমাপন বাবু : আমার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির পরিবার। আমার বাবা, বড় ভাই, মেঝ-ভাই উনাদের বিভিন্ন অবদানের ফলে এবং আমার সততা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্যই সাংগঠনিক সম্পাদক হই। শহীদ মিনারে যখন শপথ গ্রহন করি তখন আমার গায়ের প্রতিটা পশম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল । শপথের প্রতিটা বাক্য আমার ভিতরকে নাড়া দিয়েছিলো। শপথের প্রতিটা বাক্য কায়েম করার জন্য নিজেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। মানুষ রাজনীতি করে তিনটি কারনে- ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, টাকা কামানোর জন্য, মানুষের সেবা করার জন্য। আমি মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি। মানুষের সেবা আমার বাবা করেছেন, বড় ভাইয়েরা করছেন, আমিও তাদের আদর্শ ধারণ করেই মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। ৫০, ৬০, ৭০ দশকের ছাত্রলীগের আদর্শ ধারণ করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। সাজেদুল আলম ভাইয়ের আপসহীন নেতৃত্ব, স্বাধীনতার স্বপক্ষে অন্যতম সংগঠক, দূরদর্শিতা সম্পন্ন নেতৃত্ব আমাকে আন্দোলিত করে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সাজেদুল ভাইকে অনুসরণ করেই আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। তবুও আমি কতটা স্বার্থক সেটা আমার সংগঠন এবং সাপাহার উপজেলা জনগণ বলতে পারবে।
প্রেস : আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
মো: সমাপন বাবু : আমি পদের রাজনীতিতে লালায়িত না। যদি দল মনে করে আমাকে এর চেয়ে ভাল জায়গায় নিবে তাহলে আমি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত । আমি মনে করি, রাজনীতি করতে পদ লাগে না। কারো যদি সৎ ইচ্ছা থাকে মানুষের সেবা করার তাহলে পদ ছাড়াই অনেক ভালভাবে কাজ করা যায় । আমি বঙ্গবন্ধুর, শেখ হাসিনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে
সারাজীবন রাজনীতি করবো।
প্রেস : আপনি তো আগে খেলাধুলা করতেন; এখনো কি খেলাধুলার প্রতি আপনার আগ্রহ আছে?
মো: সমাপন বাবু : (হেসে দিয়ে) খেলাধুলার প্রতি আগ্রহটা এখনো আমার আগের মতোই আছে। এখনো সময় হলে মাঝেমাঝে মাঠে গিয়ে মঞ্চে বসে থেকে খেলা দেখে আসি। আর ফুটবল খেলা আমার খুব পছন্দের একটি খেলা।আঘাত জনিত কারনে এখন আর খেলতে পারছি না তবে খেলাধুলাকে খুব মিস করি। রাজনীতিতে আমি যতটুকু অগ্রসর হয়েছি খেলাধুলা সে অর্জনের ক্ষেত্রে অনেকটা প্রভাব বিস্তার করেছে।
প্রেস: আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলেন?
মো: সমাপন বাবু : ব্যাক্তিগতভাবে আমি খুবই আড্ডা প্রিয় একজন । আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা বাজি করতে পছন্দ করি। গান শুনতে খুব খেলা। তাছাড়া ক্রিকেট আমার অনেক পছন্দের খেলা। তার পাশাপাশি সবসময়ই চাই মানুষের জন্য কিছু করতে। কারণ আমাদের নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, মানুষক
ভালবাসলে আল্লাহকে ভালবাসা হয়। তো সেক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মানুষ আমি। আমি অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি। সাম্প্রদায়িকয়তার বিষবাষ্পের কারণে যে সকল অনাহুত ঘটনা মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দেয় সেগুলো আমাকে বেশ পীড়া দেয়। অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা সমাজের প্রতিটা জায়গায় ছড়াতে চাই। অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা দেশকে আরো দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর আমাদের যে মূল্যবোধের ঘাটতি সেটা প্রত্যেকটি জায়গায় পরিলক্ষিত হয়, পেশাজীবী থেকে শুরু করে সব জায়গায়। আমি মূল্যবোধকে জাগ্রত করে মানুষকে সেবার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চাই। প্রেস : সাপাহার উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি অনেক। সেক্ষেত্রে আপনারা যুব লীগ থেকে কি কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন? মো: সমাপন বাবু : প্রথমত আমি বলবো মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে আমাদের শিক্ষা সফর দিতে হবে, বিনোদনে সময় দিতে হবে। এজন্য আমরা সাপাহার উপজেলা যুবলীগ কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করি। মাদককে না বলো, জঙ্গিবাদকে না বলো এই স্লোগান নিয়ে আমরা সাপাহার উপজেলা যুবলীগ কাজ করে যাচ্ছি। প্রেস : কাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন? মো: সমাপন বাবু : আসলে ভালবাসাটা হলো আপেক্ষিক। যার যার জায়গা থেকে ভালবাসাটা একেক সময় একেক রকম। তারপরেও যদি বলতে চাই সেক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ভালবাসি আমার মা বাবাকে। প্রেস: কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? মো: সমাপন বাবু : শোষণ মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। শেখ হাসিনার দরিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে উপজেলা যুবলীগ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ভালবাসলে আল্লাহকে ভালবাসা হয়। তো সেক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মানুষ আমি। আমি অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি। সাম্প্রদায়িকয়তার বিষবাষ্পের কারণে যে সকল অনাহুত ঘটনা মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দেয় সেগুলো আমাকে বেশ পীড়া দেয়। অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা সমাজের প্রতিটা জায়গায় ছড়াতে চাই। অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা দেশকে আরো দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর আমাদের যে মূল্যবোধের ঘাটতি সেটা প্রত্যেকটি জায়গায় পরিলক্ষিত হয়, পেশাজীবী থেকে শুরু করে সব জায়গায়। আমি মূল্যবোধকে জাগ্রত করে মানুষকে সেবার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চাই। প্রেস : সাপাহার উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি অনেক। সেক্ষেত্রে আপনারা যুব লীগ থেকে কি কোন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন? মো: সমাপন বাবু : প্রথমত আমি বলবো মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে আমাদের শিক্ষা সফর দিতে হবে, বিনোদনে সময় দিতে হবে। এজন্য আমরা সাপাহার উপজেলা যুবলীগ কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করি। মাদককে না বলো, জঙ্গিবাদকে না বলো এই স্লোগান নিয়ে আমরা সাপাহার উপজেলা যুবলীগ কাজ করে যাচ্ছি। প্রেস : কাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন? মো: সমাপন বাবু : আসলে ভালবাসাটা হলো আপেক্ষিক। যার যার জায়গা থেকে ভালবাসাটা একেক সময় একেক রকম। তারপরেও যদি বলতে চাই সেক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ভালবাসি আমার মা বাবাকে। প্রেস: কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? মো: সমাপন বাবু : শোষণ মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। শেখ হাসিনার দরিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে উপজেলা যুবলীগ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রেস : আপনাকে ধন্যবাদ
0 মন্তব্যসমূহ