মোহাম্মাদ আলী হোছাইনঃ
পরিবারের মেজ সন্তান- আমরা
প্রায় সব পরিবারে দেখি বাবা মা মেজ সন্তানকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তাই মগ্ন থাকে। কারণ মেজ সন্তান কেমন জানি সবার থেকে একটু আলাদা হয়। তারা একটু গাড় টেরা স্বভাবের হয়। অনেক বেশি স্বাধীনচেতা, একটু একগুঁয়ে স্বভাবের হয়।
এমনকি অনেক সময় দেখা গেছে পরিবারে সবাই কোন সিদ্ধান্তে মত দিল মাঝখানে মেজ সন্তানকে দেখা গেল সে দ্বিমত পোষণ করে বসে আছে। শুধু তাই নয় মেজ সন্তান একটু বেশি জেদি হয়।
পৃথিবীর কারো সাধ্য নাই তাকে বুঝার সে নিজে যা বুঝে সেটাই ঠিক। তাই এইসব স্বভারে কারণে পরিবারের মেজ সন্তানকে নিয়ে বাবা মা অনেক চিন্তাই থাকেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো সবার থেকে একটু আলাদা এই মানুষটাই পরিবারে সবচেয়ে বড় সম্পদ।
সেই মানুষটা সবার চেয়ে আলাদা। অনেক ভাল মনের মানুষ এই ভিন্ন স্বভাবের মানুষটা। আজকে জুমবাংলার পাঠকদের জন্য রয়েছে পরিবারের মেজ সন্তানরা কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা সেই বিষয়ে ছোট্ট আয়োজন।
১। আত্মনির্ভরশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠে মেজ সন্তান: বাবা মাকে অনেক সময় দেখা গেছে পরিবারের বড় আর ছোট ছেলেকে বেশি সময় দেয়। মাঝখানে দেখা গেল মেজ সন্তান তা থেকে বঞ্চিত হয় ফলে মেজরা ধীরে ধীরে আত্ননির্ভরশীল হয়ে উঠে।
২। সম্পর্কের মূল্য খুব ভাল বুঝতে পারে মেজ সন্তান: বড় এবং ছোটদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাদের সাথে কীভাবে চললে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো থাকে তা মেজোরাই ভালো বুঝে থাকেন। কারণ তিনি তার বড় ভাই-বোনের কোনো ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজের ছোটোজনের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে যান।
এবং তিনি নিজের বড় কারো সাথে যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই তিনি তার ছোটজনের কাছ থেকে ফিরে পাবেন ভেবে তাও নিজে থেকেই শিখে নেন। কিন্তু পরিবারের অন্য ছেলে মেয়েরা তা ভাবেনা।
৩। সকলকেই সঠিকভাবে মূল্যায়ন করত জানে মেজ সন্তান: কার সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এটি মেজরা বেশি বুঝে। কিভাবে বাইরের দুনিয়ায় নিজেকে খাপ খাওয়াইতে হবে তা মেঝদের চেয়ে অন্য সন্তানরা খুব কমই বুঝে।
৪।মেজোরাই সৃজনশীল হয়ে থাকেন বেশি: মেজো সন্তানরা সাধারণত অনেক বেশি সৃজনশীল হয়ে থাকে। তাদের চিন্তাভাবনা অন্য সকলের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে।
দেখা যায় বড় বা ছোটো ভাই বোন স্বাভাবিক নিয়মে জীবন যাপন করে বেশ বড় স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কাজ করছেন কিন্তু মেজোজন নিজের সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের নিয়মে চলছেন।
৫। মেজরা অনেক মিশুক হয়: পরিবারের মেজদের দেখা গেছে অনেক বেশি মিশুক। বড় ও ছোটো ভাইবোনের সাথে কীভাবে মিশতে হবে তা সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই শিখে নেন মেঝ সন্তান ।
আর সে কারণেই ছোটো বড় সকলের সাথেই বেশ ভালো করে মিশতে পারার একটি গুণ তৈরি হয়ে যায়, যা পরিবারের বড় ও ছোটো সন্তানের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না।
একারণে দেখা গেছে আত্মীয়স্বজন থেকে সকলেই মেজো সন্তানটিকে বেশ পছন্দ করে ফেলেন। মোট কথা মেজরা অন্যদের থেকে একটু আলাদা হলেও তাদের নিয়ে চিন্তার কোন কারণে নেই তারা অনেক ভাল মনের মানুষ।
0 মন্তব্যসমূহ