এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা

সুপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা ছাত্রজীবনে এই স্তরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্তরটি পার হতে হবে খুবই ভালোভাবে। তারপর উচ্চশিক্ষা। ছোটবেলা থেকে ধাপে ধাপে পরীক্ষা দিতে দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছ । সৃজনশীল পদ্ধতি এখন তোমাদের খুবই আপন। এখানে পাস করা খুবই সহজ। পাঠ্যবইটা যারা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়েছ তাদের কাছে পরীক্ষা জলের মতো পরিষ্কার। জ্ঞানস্তর ও অনুধাবনস্তর একেবারেই পাঠ্যবই নির্ভর। সনাতনী পদ্ধতিতে সাজেশন নামক একটি শব্দ শোনা যেত। পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে এ শব্দটির তত্পরতা ক্রিয়াকলাপ লক্ষ্য করা যেত। গ্রেডিং পদ্ধতিতে সাজেশন শব্দটি একেবারেই অকার্যকর। আনন্দের বিষয় হলো, এখন যারা একটু ধৈর্য ধরে পাঠ্যবইটা পড়বে তারা পাস করবেই। পাঠ্যবইতে কী বলতে চেয়েছে তা মনের মধ্যে গেঁথে নিতে হবে। যখন যে অধ্যায় পড়বে সেখানে সমস্যা বের হতে পারে, সেটা নিয়ে বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক সবার সাথে আলোচনা করবে। তাহলে সেটা সহজ হয়ে যাবে।
প্রথম দুই স্তরের কথা যা বলছিলাম সেটা রপ্ত হওয়ার অর্থ পুরো বইটা তোমাদের আয়ত্তে; বইয়ের আদ্যোপান্ত তোমাদের জানা । পরবর্তী দুই স্তরে বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে তোমাদের নিজস্ব মনন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে কেবল সমন্বয় করা। প্রশ্নের ধারা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিকভাবে সকল স্তরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর সমন্বয় করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো করবে।
আগে বলেছিলাম তোমরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দ্বার প্রান্তে। আমরা আশা করব সেখানে তোমরা আরো ভালো করবে;গবেষণা করবে, পর্যালোচনা করবে যেকোনো বিষয় মুক্তভাবে আর জাগ্রত রাখতে হবে বিবেচনাবোধকে। যে আশা- আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মাতা-পিতা তোমাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে পরিবারে ও রাষ্ট্রে। পরীক্ষা ভালো হোক এটা আমাদের সকলের কামনা।
আতাউল্লাহ আল আজাদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ