কারাগারে বসেই হাজতির জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা!

বি,এন ডেস্কঃ
যুগান্তর প্রতিবেদকের সঙ্গে মাদক মামলার আসামি সাগর মুঠোফোনে চার লাখ টাকায় ৩ হাজার পিস ইয়াবা বিক্রির চুক্তি করেন ।উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কারাগার থেকে পাঠানো হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে, আর সেখানেই তিনি মুঠোফোনে খুলে বসেন নির্বিঘ্ন মাদক ব্যবসা, সঙ্গে পান স্ত্রীকেও।

নাম মো. সাগর। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন কদমতলি থানা পুলিশের হাতে। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। ঠাঁই হয় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে সেখানে বেশিদিন থাকতে হয়নি প্রভাবশালী এ মাদক ব্যবসায়ীকে। সংশ্লিষ্ট মহলকে ম্যানেজ করে চিকিৎসার দোহাই দিয়ে প্রথমে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল। হাসপাতালে থাকাবস্থায় তিনি নিয়মিত ব্যবহার করছেন মোবাইল ফোন। সঙ্গে রেখেছেন স্ত্রীকেও। আর মুঠোফোনে চুটিয়ে চালিয়েছেন ইয়াবাসহ মাদকের নানা ব্যবসা। রাজধানীজুড়ে সক্রিয় রাখেন পুরো নেটওয়ার্ক। এ সময় পরিচয় গোপন রেখে যুগান্তর প্রতিবেদকও তার সঙ্গে মুঠোফোনে ৪ লাখ টাকায় ৩ হাজার পিস ইয়াবা কেনার চুক্তি করতে সক্ষম হন।

রোগী হিসেবে হাসপাতালে অবস্থান করে একজন হাজতির এমন মাদক ব্যবসার চাঞ্চল্যকর খবরের সূত্র পেয়ে প্রতিবেদক প্রথমে তার গতিবিধি অনুসরণ করেন। এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে অবিশ্বাস্য রকম ভয়াবহ তথ্য। যেসব কারারক্ষী ও পুলিশ সদস্যরা তার পাহারায় ছিলেন তারাই টাকার বিনিময়ে তাকে মাদক ব্যবসার অবাধ সুযোগ করে দিয়েছেন। তাদের সমর্থন থাকায় সার্বক্ষণিক স্ত্রীকেও সঙ্গে রাখতে পেরেছেন। মাদক ব্যবসার সূত্র ধরে অনেকে হাসপাতালে এসে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগও পেয়েছেন।

মাদক ব্যবসায়ী হাজতি সাগর বসবাস করেন রাজধানীর কদমতলী এলাকায়। আর ব্যবসা বলতে মাদক। বাড্ডা এলাকায় তার ইয়াবা ব্যবসার প্রধান ঘাঁটি। এ ছাড়া রাজধানীজুড়ে আছে বড় নেটওয়ার্ক।

যেভাবে ইয়াবা কেনার চুক্তি : পহেলা মার্চ। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। নিজেকে পূর্বের ইয়াবা ক্রেতা পরিচয় দিয়ে নানা চেষ্টার পর তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। মাদক ব্যবসার জন্য স্ত্রীর মুঠোফোনটি সব সময় তিনি ব্যবহার করতেন। হাজতি সাগরের সঙ্গে মুঠোফোনে মাদক কেনার চুক্তি সংক্রান্ত ফোনালাপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ নিচে তুলে ধরা হল-

সাগর : আগে থেকে ওর্ডার করবি? কত পিস লাগবে?

প্রতিবেদক : ৫ হাজার পিস।

সাগর : কোনটা লাগবে?

প্রতিবেদক : বাবা (ইয়াবা)।

সাগর : অর্ধেক টাকা আগে পাঠাতে হবে।

প্রতিবেদক : টাকা কোথায় পাঠাব?

সাগর : বিকাশ করবি।

প্রতিবেদক : মাল কোথায় পাব?

সাগর : মিরপুর এলাকা বা ঢাকা সিটির যে কোনো স্থানে পাবি।

প্রতিবেদক : বিকাশ নম্বর দে।

সাগর : এটা একটা (যে নম্বরে কথা হচ্ছে) বিকাশ নম্বর। আরেকটি দিতাছি।

প্রতিবেদক : এখন কি ২নং পাঠাব?

প্রতিবেদক : ঢাকা সিটির যে কোনো জায়গায় আপনি দিতে পারবেন?

সাগর : যে কোনো জায়গায় না পারি সমাধান করে নিব। কাছাকাছি আইলে ভালো হবে। দেখা গেল আপনি ২ নম্বরে আমি ৩নং নম্বরে।

প্রতিবেদক : কোন এলাকায় আসলে ভালো হবে?

সাগর : মিরপুর মাজার রোড, ২ নম্বরে।

সাগর : এটা কি তোর ভাইরে কমু- না কমু না। (অন্য কাউকে ইঙ্গিত)

প্রতিবেদক : বড় ভাইরে কমুনের দরকার নাই। আমি টাকা পাঠিয়ে দিব, আপনি মাল পাঠিয়ে দিবেন।

সাগর : পরে যেয়ে আবার কাহিনী করবি না তো?

প্রতিবেদক : আমি আগে নিয়েছিলাম না, আমি আপনাকে তো আগে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি, সমস্যা কি?

সাগর : টাকা দিচ্ছ দাদা, কিন্তু আগে বিশ্বাস করাটা সমস্যা। আমার সঙ্গে টাউটগিরি যদি করিস, তাইলে কিন্তু সমস্যা হইব, আমি কিন্তু খুব খারাপ।

প্রতিবেদক : আমি আপনাকে চিনি এবং জানি।

সাগর : ভাই হিসেবে আমি আবার রিকুয়েস্ট করতেছি, সুন্দরভাবে বলতাছি। টাকার প্রতি আমার লোভ কম, আবার বেশি। দুষ্টামি-ফাজলামি মনে থাকে বাদ দেন, যদি সলিড থাকেন তাইলে কথা কন।

প্রতিবেদক : না না ভাই, আমি কি আপনার সঙ্গে ধান্ধামি করতে ফোন দিয়েছি?

সাগর : আপনি ফার্স্টটাইম কথা বলে টাকা দিয়ে দিবেন? টাকা নিয়ে যদি মাল না দিলাম...

প্রতিবেদক : আমি তো সেটাই বললাম, মালও নিলাম টাকাও দিয়ে দিলাম। একসঙ্গে হবে।

সাগর : না আমি একসঙ্গে কাজ করি না। আপনার প্রয়োজন হলে আপনি ঠিকই টাকা দিবেন। আর আমি যদি এই কামের লোক হই তাহলে আমি ঠিকই দিব। এটা আপনার জানা উচিত।

প্রতিবেদক : আমার কথা হল আপনি আমাকে মাল দিবেন, আমি টাকা পাঠিয়ে দিব।

সাগর : আমি আপনার সঙ্গে এ কাজ করলাম না। আপনি আগে ফিফটি পারসেন্ট টাকা দিবেন, ফিফটি পারসেন্ট পাবেন।

প্রতিবেদক : তাহলে কীভাবে দিলে দু’জনের জন্য ভালো হয়।

সাগর : ফার্স্টে আপনাকে বিকাশে টাকা মারতে হবে।

প্রতিবেদক : কত হাজার পাঠাতে হবে?

সাগর : আপনি কতটুক নেবেন তার ওপর।

প্রতিবেদক : যদি ৫ হাজার পিস নিই তাহলে কত টাকা পাঠাতে হবে?

সাগর : আড়াই থেকে তিন হাজার পিস দেয়া যাবে মাত্র।

প্রতিবেদক : ৩ হাজারের জন্য কত টাকা পাঠাতে হবে?

সাগর : (কিছুক্ষণ হিসাবে করে) ৩ হাজার পিসের দাম হয় ৪ লাখ টাকা, ২ লাখ পাঠান আগে। ১ লাখ পাঠালেও হবে। সমস্যা নেই।

প্রতিবেদক : হ্যান্ড ক্যাশ নিলে ভালো হয় না?

সাগর : রেগে গিয়ে বলেন, আপনি পারবেন দিতে, আপনি ব্যাড় দিয়ে ফেলাচ্ছেন না? আমি ভেজালে আছি, কথা অল্পতে শেষ করেন। টাকা দিতে পারবেন আপনি?

প্রতিবেদক : হ্যাঁ পারব।

সাগর : যদি নেন তাহলে ১ ঘণ্টা পরে বাকি খবর।

প্রতিবেদক : না ঠিক আছে। আপনি মালও আমাকে দিবেন সঙ্গে টাকাও দিয়ে দিব।

সাগর : (ক্ষেপে গিয়ে), টাকা লাগবে ভাই। এক জবান, কেন ভাই এ লাইনের কথা বুঝেন না?

প্রতিবেদক : তাহলে আপনি নম্বর পাঠান।

সাগর : এ নম্বরে দে।

প্রতিবেদক : আমি যাব কোথায়, সেটা আমাকে বলে দেন।

সাগর : আপনার যেতে হবে না, আপনার বাসা কোথায়, সেটা বলেন আমাকে।

প্রতিবেদক : হু-হু?

সাগর : আপনার বাসা কোথায়? ২ নম্বরে না ১০ নম্বরে (মিরপুর)।

প্রতিবেদক : ১০ নম্বরে হলে ভালো হয়। ১০ নম্বর গোলচত্বর যেটা।

সাগর : মিরপুর এরিয়ার মধ্যে আপনি যে জায়গায় কইবেন আল্লাহর রহমতে সে জায়গায়ই যাব।

প্রতিবেদক : ওকে, ঠিক আছে।

সাগর : আজকে টাকা পাঠান।

প্রতিবেদক : আমি টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করছি।

সাগর : যদি ইস্টিক না হন মজা লয়েন না। আমি মজার লোক না।

প্রতিবেদক : সমস্যা নেই, আমি মাল পাঠাচ্ছি, আপনি মাল পাঠাবেন।

সাগর : ঠিক আছে।

কদমতলি থানা ও কারা সূত্র জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয় সাগর। ওই দিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানো হয়। রাখা হয় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তাকে বেশি দিন থাকতে হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তিন দিনের মাথায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেডিকেলের ৬০২নং ওয়ার্ডে ছিলেন। এরপর তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ছিলেন ৪ মার্চ পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রতিবেদকের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা ১ মার্চ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে এবং মিডফোর্ডে এই হাজতির পাহারায় ছিলেন বেশ কয়েকজন কারারক্ষী। প্রতিদিন তাকে শিফট করে তিনজন কারারক্ষী পাহারা দিতেন। প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে সাগরের পাহরায় ছিলেন কারারক্ষী যুবাইর হোসেন (১৪২১৪), আবদুস সালাম (১১৪৪৮), মিজানুর রহমান (১৩৯৫৭)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিলেন সোহরাব হোসেন (১২৬৮৫), আলম মণ্ডল (১৪৩৩৯), মো. আরিফুল ইসলাম (৩)। ১৬ ফেব্রুয়ারিতে ছিলেন মাহমুদুন্নবী (১২৭৬৬), হরে কৃষ্ণ মজুমদার (১২৭৫৭), আবদুর রাজ্জাক (১২৪৩২)। ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিলেন শফিকুল ইসলাম (১৩৫৩৪), শরিফ হোসেন (১২৪৮৯) ও সিদ্দিকুর রহমান (১২৪০০)। ১৮ ফেব্রুয়ারি কায়সার আহমেদ (১৩৯৪৪), শহিদুল্লাহ (১২৬৭৪) ও আবদুর রাজ্জাক (১২৪৩২)। ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিলেন কারারক্ষী নূর আলম (৩১১০), আলম মণ্ডল (৪৩২৯) ও ফজলুর রহমান (৩১৬৮)। ২০ ফেব্রুয়ারি ডিউটিতে ছিলেন কামরুল ইসলাম (১২৩৮২), সোহেল রানা (১৪৩৩৫), আতিকুর রহমান (১৩৮৬৬)। ২১ ফেব্রুয়ারি ছিলেন ইয়াজ উদ্দিন (৩১৬৯), শহিদুল্লাহ (১২৬৭৪), মিজানুর রহমান (১৩৯৫৭)। ২২ ফেব্রুয়ারিতে হোসেন শরীফ (১২৯২৫), হরে কৃষ্ণ মজুমদার (১২৭৫৭) ও আনোয়ার সরো (১২৬৩৪)। ২৩ ফেব্রুয়ারি আবদুর রহিম (১২০১০), নূর আলম (৩১১০) ও বদিউজ্জামান (১২৮৩৪)। ২৪ ফেব্রুয়ারি খোরশেদ আলম (৩১৭৮), আলম মণ্ডল (১৪৩৩৯) ও নোমান হোসেন (১৩৪৯৭)। ২৫ ফেব্রুয়ারি শহিদুল্লাহ (২৬৭৪) ও উজ্জ্বল মিয়া (৩১৫১)।

এরপর মিডফোর্ডে স্থানান্তিরিত হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাহারায় ছিলেন কারারক্ষী শফিকুল ইসলাম (১৩৫৩৪), আজিজুর রহমান (১৩৭৩৭) ও মোক্তার হোসেন (১২১৬৬)। ২৭ ফেব্রুয়ারি আবদুর রহিম (১২০১০), রকিবুল ইসলাম (১২৯১১) ও খন্দকার মনির (১২১১২)। ২৮ ফেব্রুয়ারি নাসির উদ্দিন (১২৩৫৮), মজনু মিয়া (১১৮১৩) ও কায়সার আহম্মেদ (১৩৯৪৪)। ১ মার্চ খোরশেদ আলম (৩১৭৮), হরে কৃষ্ণ মজমদার (১২৭৫৭) ও খন্দকার মনির (২১১২)। ২ মার্চ তানজিল (৪১১৮), সাগর (৪১২০) ও কায়সার আহম্মেদ (৩৯৪০)। ৩ মার্চ আবু তাহের ব্যাপারি (৪১৩৬০), আলম মন্ডল (১৪৩৩৯) ও খন্দকার মনির (২১১২) এবং ৪ মার্চ ছিলেন মাহমুদুন্নবী (২৭৬৭)। ওইদিন তাকে হাসপাতাল থেকে আবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চিকিৎসার নামে হাসপাতালে বসে মাদক ব্যবসার সব রকম সুযোগ করে দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সবাই। এজন্য তারা মোটা অঙ্কের টাকাও নেয়। যার মধ্যস্থাকারী ছিলেন ডিউটি বণ্টনকারী লাইন্সম্যান রমজান আলী, কারারক্ষী আবদুস সাত্তার, নায়েক আজহারুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম।

কারা সূত্র জানায়, লাইন্সম্যান রমজানের অধীনে ১৬০ জন কারারক্ষী আছেন। কারাগারে হাজতি/কয়েদিদের কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে এসব কারারক্ষী তাদের পাহারা দেন। আর হাসপাতালে ডিউটি পেতে হলে কারারক্ষীদেরও লাইন্সম্যান রমজান ও আ. সাত্তারকে নির্ধারিত রেটে ঘুষ দিতে হয়।

জানতে চাইলে লাইন্সম্যান রমজান আলী প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপর প্রমাণ আছে জানালে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘এসবের জন্য আমি দায়ী নই। ওপরের নির্দেশে ডিউটি বণ্টন করি। এছাড়া কারারক্ষীদের পাশাপাশি পুলিশও ডিউটি করে থাকে।’

প্রধান কারারক্ষী জসিম উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি একদিন হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। আমার আগে প্রধান কারারক্ষী ফখরুদ্দিন ছিলেন। তিনি এসব বিষয়ে বলতে পারবেন।’

প্রধান কারারক্ষী ফখরুদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, তিনি যখন পরিদর্শনে গেছেন তখন তার কাছে এ রকম কিছু ধরা পড়েনি। তবে যারা ডিউটিতে ছিল তারাই ভালো বলতে পারবে।

উল্লিখিত বিষয়ে জানতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীনের সঙ্গে শুক্রবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি।

এদিকে এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল আলম যুগান্তরকে বলেন, যে ধরনের অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রমাণ আছে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সুত্রঃ যুগান্তর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ