বিএন ডেস্কঃ
গত ৩০ মার্চ দুপুরবেলা সড়কে লোকজন কম। আর ছুটির দিন হওয়ায় একেবারেই সুনসান ছিল ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়ক। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়া আহমেদ রিকশায় করে মোহাম্মদপুর যাচ্ছিলেন। আবাহনী মাঠ পেরিয়ে একটু সামনে যেতেই পাশ থেকে সাদা টয়োটা গাড়ি থেকে টান দিয়ে তাঁর ব্যাগ নিয়ে যায়।
ঘটনার কয়েক দিন পর লামিয়া ধানমন্ডি থানায় যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু থানায় ছিনতাইয়ের পরিবর্তে হারিয়ে যাওয়ার জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নেওয়া হয়। ছিনতাইয়ের অভিযোগ করতে নিরুৎসাহিত করা হয় তাঁকে।
৪ এপ্রিল লামিয়া ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে যা হয়েছে, তা লিখতে বলা হয়। লামিয়া বলেন, ‘পুরো ঘটনা লেখার পরে আমাকে বলা হয়, এভাবে লিখলে মামলা হয়ে যাবে। আর মামলা করতে গেলে উল্লেখ করতে হবে যে ছিনতাইকারীরা পূর্বপরিচিত কি না বা আমাকে ফলো করত কি না। আরও বলা হয়, জিডিতে করলে টয়োটা গাড়ির কথা উল্লেখই করা যাবে না।’ পরে লামিয়া ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছে, এই মর্মে জিডি করে আসেন। সেখানে শুধু তাঁর মোবাইল ফোনের আইএমআই নম্বরটি উল্লেখ করা হয়।
লামিয়া বলেন, ‘ওই সময় আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কী করব। ওই গাড়িটার শেষ কয়েকটা নম্বর আমার মনে আছে। সেটাও নেওয়া হয়নি। অভিযোগ জানাতে গেলে থানার একজন আমাকে এমনও বলেন যে ওই গাড়িতে ভুল করে আমি ব্যাগ ফেলে আসছি, তাহলে গাড়ির কথা উল্লেখ করা যাবে। কিন্তু পরে আরেকজন না করেন।’
লামিয়ার অভিযোগের আগেই এ প্রতিবেদক ধানমন্ডি থানায় যান সাতমসজিদ সড়কের ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে। তখন ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে জিডি বা মামলা করতে তেমন কেউ আসে না। গত ছয় মাসে মাত্র দুটি মামলা হয়েছে। তবে মৌখিক অভিযোগ আসে, কিন্তু ভুক্তভোগীরা জিডি বা মামলা করতে চান না। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা যদি ছিনতাইকারীদের গাড়ি বা মোটরসাইকেলের নম্বরটা পেছন থেকে নিয়ে রাখতে পারেন এবং পুলিশকে জানান, তবে সহজেই তাদের ধরা যায়।
কিন্তু লামিয়া অভিযোগ জানাতে গেলে গাড়ির নম্বর তো নেওয়া হয়নি, বরং হারিয়ে যাওয়ার জিডি করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম বলেন, অভিযোগের সময়ে থানায় তিনি ছিলেন না। তবে অভিযোগটি দেখবেন।
থানায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা নিতে অনীহা প্রকাশের ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে। সেখানে দেখা যায়, ছিনতাই হলে চুরি বা হারানোর মামলা অথবা জিডি করা হয়। অনীহার কারণ হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তারাই জানান, কোনো থানা এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি-চাঁদাবাজি বেড়ে গেলে ধরে নেওয়া হয়, ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো বা নিয়ন্ত্রণে আছে দেখাতে থানা-পুলিশ এসব ক্ষেত্রে কম মামলা নেয়।
গত ৩০ মার্চ দুপুরবেলা সড়কে লোকজন কম। আর ছুটির দিন হওয়ায় একেবারেই সুনসান ছিল ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়ক। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়া আহমেদ রিকশায় করে মোহাম্মদপুর যাচ্ছিলেন। আবাহনী মাঠ পেরিয়ে একটু সামনে যেতেই পাশ থেকে সাদা টয়োটা গাড়ি থেকে টান দিয়ে তাঁর ব্যাগ নিয়ে যায়।
ঘটনার কয়েক দিন পর লামিয়া ধানমন্ডি থানায় যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু থানায় ছিনতাইয়ের পরিবর্তে হারিয়ে যাওয়ার জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নেওয়া হয়। ছিনতাইয়ের অভিযোগ করতে নিরুৎসাহিত করা হয় তাঁকে।
৪ এপ্রিল লামিয়া ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে যা হয়েছে, তা লিখতে বলা হয়। লামিয়া বলেন, ‘পুরো ঘটনা লেখার পরে আমাকে বলা হয়, এভাবে লিখলে মামলা হয়ে যাবে। আর মামলা করতে গেলে উল্লেখ করতে হবে যে ছিনতাইকারীরা পূর্বপরিচিত কি না বা আমাকে ফলো করত কি না। আরও বলা হয়, জিডিতে করলে টয়োটা গাড়ির কথা উল্লেখই করা যাবে না।’ পরে লামিয়া ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছে, এই মর্মে জিডি করে আসেন। সেখানে শুধু তাঁর মোবাইল ফোনের আইএমআই নম্বরটি উল্লেখ করা হয়।
লামিয়া বলেন, ‘ওই সময় আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কী করব। ওই গাড়িটার শেষ কয়েকটা নম্বর আমার মনে আছে। সেটাও নেওয়া হয়নি। অভিযোগ জানাতে গেলে থানার একজন আমাকে এমনও বলেন যে ওই গাড়িতে ভুল করে আমি ব্যাগ ফেলে আসছি, তাহলে গাড়ির কথা উল্লেখ করা যাবে। কিন্তু পরে আরেকজন না করেন।’
লামিয়ার অভিযোগের আগেই এ প্রতিবেদক ধানমন্ডি থানায় যান সাতমসজিদ সড়কের ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে। তখন ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে জিডি বা মামলা করতে তেমন কেউ আসে না। গত ছয় মাসে মাত্র দুটি মামলা হয়েছে। তবে মৌখিক অভিযোগ আসে, কিন্তু ভুক্তভোগীরা জিডি বা মামলা করতে চান না। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা যদি ছিনতাইকারীদের গাড়ি বা মোটরসাইকেলের নম্বরটা পেছন থেকে নিয়ে রাখতে পারেন এবং পুলিশকে জানান, তবে সহজেই তাদের ধরা যায়।
কিন্তু লামিয়া অভিযোগ জানাতে গেলে গাড়ির নম্বর তো নেওয়া হয়নি, বরং হারিয়ে যাওয়ার জিডি করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম বলেন, অভিযোগের সময়ে থানায় তিনি ছিলেন না। তবে অভিযোগটি দেখবেন।
থানায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা নিতে অনীহা প্রকাশের ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে। সেখানে দেখা যায়, ছিনতাই হলে চুরি বা হারানোর মামলা অথবা জিডি করা হয়। অনীহার কারণ হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তারাই জানান, কোনো থানা এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি-চাঁদাবাজি বেড়ে গেলে ধরে নেওয়া হয়, ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো বা নিয়ন্ত্রণে আছে দেখাতে থানা-পুলিশ এসব ক্ষেত্রে কম মামলা নেয়।
0 মন্তব্যসমূহ