বিএন ডেস্কঃ
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে সাত মাস ধরে পড়ে থাকা
রোহিঙ্গাদের দেখতে এলেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আই। বুধবার
বেলা ১১টায় তিনি কক্সবাজার থেকে সড়কপথে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে পৌঁছান।
মিয়ানমারের মন্ত্রীর আগমনের প্রতিবাদে কুতুপালং বাজারের বেলা ১১টায়
বিক্ষোভ করেন এক দল রোহিঙ্গা। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে তাঁদের (রোহিঙ্গাদের)
তাড়িয়ে দেয়। রোহিঙ্গারা চলে যাওয়ার পর মন্ত্রী কুতুপালং শিবিরে প্রবেশ
করেন।
বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রী উইন মিয়াত আই কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্প
ইনচার্জের কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে তিনি স্থানীয় সরকারি প্রশাসনিক
কর্মকর্তা, ইউএনএইচসিআর, আইওএমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের
সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি (মন্ত্রী) কুতুপালং ক্যাম্পে
ইউএনএইচসিআরের অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুর সঙ্গে কথা বলেন।
একজন রোহিঙ্গা নারী মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে টানা তিন মাস রাখাইনে গণহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ কারণে আমরা সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের এই পাহাড়-জঙ্গলে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। বাংলাদেশ মানবতা না দেখালে রোহিঙ্গাদের পথেঘাটে মরতে হতো। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে সেখানে নিরাপদ বসবাসের নিশ্চয়তা দিলে আমরা (রোহিঙ্গারা) ফিরে যাব।’
এক রোহিঙ্গা পুরুষ বলেন, রাখাইন রাজ্যে ফেলে আসা রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাপল্লিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এখন রোহিঙ্গারা ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে? রোহিঙ্গারা ব্যারাকে থাকতে রাজি না।
এ সময় রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে ১৩ দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দফাগুলো হচ্ছে, ১. আরাকানের (বর্তমান রাখাইনে) সিতুয়ের আইডিএ ক্যাম্প বন্ধ করে সেখানকার রোহিঙ্গাদের স্বাধীনভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে, ২. উত্তর আরাকানে (মংডুতে) নতুন আইডিএ ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না ৩. রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আরাকানে আন্তর্জাতিকভাবে নিরাপত্তাকর্মী নিশ্চিতকরণ ৪. রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পুনর্বহাল ৫. নাগরিকত্ব যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পদ্ধতি বাতিল ৬. প্রত্যাবাসনের সঙ্গে ইউএনএইচসিআরকে যুক্তকরণ ৭. রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ঘরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার বন্দোবস্ত ৮. জব্দ জমি ফেরত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ৯. আরাকানে গণমাধ্যম, মানবাধিকারকর্মীর যাতায়াত ও স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি ১০. নিরপরাধ রোহিঙ্গাদের মুক্তি ১১. রোহিঙ্গাদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ ১২. ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং ১৩. রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার।
একজন রোহিঙ্গা নারী মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে টানা তিন মাস রাখাইনে গণহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ কারণে আমরা সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের এই পাহাড়-জঙ্গলে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। বাংলাদেশ মানবতা না দেখালে রোহিঙ্গাদের পথেঘাটে মরতে হতো। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে সেখানে নিরাপদ বসবাসের নিশ্চয়তা দিলে আমরা (রোহিঙ্গারা) ফিরে যাব।’
এক রোহিঙ্গা পুরুষ বলেন, রাখাইন রাজ্যে ফেলে আসা রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাপল্লিতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এখন রোহিঙ্গারা ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে? রোহিঙ্গারা ব্যারাকে থাকতে রাজি না।
এ সময় রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে ১৩ দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দফাগুলো হচ্ছে, ১. আরাকানের (বর্তমান রাখাইনে) সিতুয়ের আইডিএ ক্যাম্প বন্ধ করে সেখানকার রোহিঙ্গাদের স্বাধীনভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে, ২. উত্তর আরাকানে (মংডুতে) নতুন আইডিএ ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না ৩. রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আরাকানে আন্তর্জাতিকভাবে নিরাপত্তাকর্মী নিশ্চিতকরণ ৪. রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পুনর্বহাল ৫. নাগরিকত্ব যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পদ্ধতি বাতিল ৬. প্রত্যাবাসনের সঙ্গে ইউএনএইচসিআরকে যুক্তকরণ ৭. রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ঘরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার বন্দোবস্ত ৮. জব্দ জমি ফেরত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ৯. আরাকানে গণমাধ্যম, মানবাধিকারকর্মীর যাতায়াত ও স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি ১০. নিরপরাধ রোহিঙ্গাদের মুক্তি ১১. রোহিঙ্গাদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ ১২. ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং ১৩. রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে মিয়ানমারের মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। তালিকাও যাচাই-বাছাই
হচ্ছে। শিগগিরই প্রত্যাবাসন শুরু হবে। ফিরিয়ে নেওয়ার পর নাগরিক অধিকার
নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহিদুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহিদুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
বৈঠক শেষে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম
প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমারের মন্ত্রী ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ সঙ্গের
কথা বলেছেন। মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের
প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের রাখার জন্য সেখানে (রাখাইনে)
ঘরবাড়ি তৈরি করছে, রোহিঙ্গাদের জীবন-জীবিকায়নের জন্য নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমারের মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সকালে কুতুপালং সড়কে একদল রোহিঙ্গা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের তাড়িয়ে দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে কেউ আহত হয়নি।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের মন্ত্রী কুতুপালং শিবিরের পশ্চিম দিকে ডি-৫ ক্যাম্প (মধুরছড়া ক্যাম্পের কাছে) পরিদর্শন করেন। বেলা দেড়টায় কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মিয়ানমারের মন্ত্রী। এর আগে তিনি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমারের মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সকালে কুতুপালং সড়কে একদল রোহিঙ্গা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের তাড়িয়ে দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে কেউ আহত হয়নি।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারের মন্ত্রী কুতুপালং শিবিরের পশ্চিম দিকে ডি-৫ ক্যাম্প (মধুরছড়া ক্যাম্পের কাছে) পরিদর্শন করেন। বেলা দেড়টায় কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মিয়ানমারের মন্ত্রী। এর আগে তিনি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এফ/এ
0 মন্তব্যসমূহ