বি,এন ডেস্কঃ
দেশের গুরুত্বপূর্ণ অফিস
গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অফিস হল উপজেলা ভূমি অফিস। যেখান থেকে সরকারের
রাজস্ব আয় থেকে শুরু করে দেশের জায়গা জমির সকল ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সংরক্ষিত থাকে। অথচ বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিসের অভ্যন্তরে গেলে মনে হয় না
এই অফিসটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোর মধ্যে একটি। জানামতে, ১৯৬৬
সালে নির্মিত এই অফিসটির ছাদের অধিকাংশস্থানে এখন আস্তর গুলো খসে পড়ছে।
দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এপাশ ওপাশ করে করে ভয়ভীতির মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব
সারলেও নানা কাজে আসা লোকজন উপরের অংশ দেখেই হঠাৎ আঁতকে উঠেন। কখন ভেঙে পড়ে
ছাদের আস্তর। বিগত দিনে বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য অনেক
লেখালেখি হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিস ও জলদী ভূমি
অফিস একই সাথে হওয়ায় উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ না হলেও জলদী ইউনিয়ন ভূমি
অফিসটি বিগত কিছুদিন আগে নির্মাণ হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বসার
জায়গাটি অধিকাংশ ভেঙে পড়ায় তিনি জলদী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একটি রুমে বসে
ঊনার দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল সরজমিনে উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে দেখা যায়
কর্মকর্তারা নানাভাবে উপরের দিকে তাকিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ছাদের
মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় বাঁশ এবং নানা ধরনের কাপড় দিয়ে আস্তর ঠেকানোর চেষ্টা
চালাচ্ছে। তবে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান
অনেকদিন যাবৎ এই দুরবস্থা নিয়ে অফিস করলেও কোন ধরনের বিহীত ব্যবস্থা করা
যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঝড়বৃষ্টির সময় অধিকাংশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ভিজে
যায়। ফলে এসব কাগজ সঠিক ভাবে টিকিয়ে রাখতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। বাঁশখালী
উপজেলা ভূমি অফিসের জরাজীর্ণতা এবং কর্মকর্তাদের দায়িত্বপালন সংক্রান্ত
ব্যাপারে জানতে চাইলে বাশঁখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল হক মৃদুল জানান, এ ব্যাপারে অনেক লেখালেখি হয়েছে। জানি না কখন নতুন করে অফিস করার প্রস্তাবনা ও অনুমোদন আসে। তিনি বলেন, ভূমি
অফিসের পূর্বের নানা অসঙ্গতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হলেও ভবন সমস্যার কারণে
কর্মকর্তারা নানা ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমি জলদী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের
একটি রুমে দায়িত্ব পালন করলেও অন্যান্য কর্মকর্তারাসহ প্রয়োজনীয় সকল
দলিলপত্রাদি এ জরাজীর্ণ ভবনে সংরকক্ষণ রাখতে হয়।
সুত্রঃ দৈনিক আজাদী
0 মন্তব্যসমূহ