সিভিল সার্জন অফিসে নষ্টের পথে ৩০ লক্ষ ট্যাবলেট দেখার কেউ নেই

আব্দুল আলীম নোবেলঃ
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ফাইলেরিয়া রোগের ৩০ লক্ষ ট্যাবলেট নষ্টের পথে। যে ওষুধ গুলোর মেয়াদ আছে মাত্র ৪৭ দিন। কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের বারন্দায় খোলা অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। গত এক মাস আগে রংপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে বিশাল ওষুধের এই চালানটি। অথচ কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই ওষুধের কোন চাহিদা পত্র পাঠানো হয়নি। কি কারণে, কি উদ্দেশ্যে, কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য এই বিশাল সংখ্যাক ফাইলেরিয়ার ওষুধ এখানে পঠানো হয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এই এলাকায় এই রোগের কোন রুগি নাই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।
করেনি।


এত গুলো ফাইলেরিয়া ওষুধ রাখতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে ষ্টোর কিপারও। অপর দিকে ওধুষ গুলো কি করবে খোদ সিভিল সার্জনও কোন সিন্ধান্ত নিতে পারেনি এখনও। মেয়াদ শেষ হওয়া ওষুধ গুলো নিয়ে বেকায়দায় কর্তৃপক্ষ। প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পদ নষ্ট হলেও যেন দেখার কেউ নেই। কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ষ্টোর কিপার মোঃ শাহনেওয়াজ খান জানান, কোন প্রকার চাহিদা পত্র ছাড়া ৩০ লক্ষ ফাইলেরিয়া ট্যাবলেট তার অফিসে পাঠানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না, কেন পঠানো হয়েছে, কার জন্য পঠানো হয়েছে। ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে ওষুধ গুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারী উৎপাদন করা হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে ২০১৮ সালের মে মাসে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন তিনি। কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: মোঃ আব্দু সালাম বলেন, ওষুধ গুলোর ব্যপারে এখনও আমি কোন সিন্ধান্ত নিতে পারেনি। ওই ওষুধের মেয়াদও প্রায় শেষের পথে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরফ থেকে ওষুধ গুলো রংপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা: পুচনু জানান, ফাইলেরিয়া বা গোদ হচ্ছে এমন এক সংক্রামক রোগ যা এক প্রকার পরজীবি জীবাণু( প্যারাসাইট) দিয়ে হয় এবং এতে শরীরের লসিকা ( এক প্রকার বর্ণহীণ রস) পরিসঞ্চলন ব্যবস্থা আক্রান্ত হয়। এ রোগে বিষেশ এক ধরনের (কিউলেক্স) মশার মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে মশা প্রথমে রক্তের সংগে এই রোগের জীবাণু নিজের দেহে নিয়ে নেয় ও পরে কামড়ানোর মাধ্যমে সুস্থ লোকের দেহে ছড়ায়। দেশের উত্তরাঞ্চালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সব চাইতে বেশি। কক্সবাজারে এই রোগের তেমন কোন আলমত পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি অবগত নয় এখনও তিনি, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রে জানাগেছে, রোহিঙ্গাদের জন্য এই ওষুধ পাঠানো হয়েছে। তবে এই অফিসের কেউ সেটি স্বাীকার

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ