বিএন ডেস্কঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আটজনকে
হত্যার মামলায় বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের
আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলি
আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুস্তাইন বিল্লাহ ওই আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. কাইমুল হক প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা
নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত রোববার তাঁকে একই আদালত এ মামলায় গ্রেপ্তার
দেখানোর নির্দেশ দেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া
পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে
বন্দী।
এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. কাইমুল হক বলেন, জামিন নামঞ্জুর আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করা হবে।
এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. কাইমুল হক বলেন, জামিন নামঞ্জুর আদেশের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করা হবে।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার
জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় আগুনে পুড়ে
আটজন যাত্রীর মৃত্যু হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলি আদালতের
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুস্তাইন বিল্লাহ এজলাসে ওঠেন। এরপর খালেদা জিয়ার
জামিনের পক্ষে ঢাকার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, কুমিল্লার কাজী নাজমুস
সাদাত, মো. কাইমুল হকসহ অর্ধ শতাধিক আইনজীবী খালেদা জিয়াকে এ মামলায় জামিন
দেওয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় উপস্থিত হন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ
জামিনের বিরোধিতা করে। দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের পর বিচারক জামিন আবেদন
নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা
গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করে ‘প্রোডাকশন
ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ)’ জারি করেন কুমিল্লার আদালত। তাঁকে ২৮ মার্চ মামলার
শুনানির দিন কুমিল্লার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে ২৮
মার্চ খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরবর্তী
সময়ে ৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরে ৮ এপ্রিলও খালেদা জিয়া আদালতে
উপস্থিত হতে পারেননি। এরপর আদালত ১০ এপ্রিল (আজ) জামিন আবেদনের ওপর
শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করা
হয়।
কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুনে পুড়িয়ে আটজন যাত্রীকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১২ মার্চ গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেলে আদালতের বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।
কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুনে পুড়িয়ে আটজন যাত্রীকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১২ মার্চ গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেলে আদালতের বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় খালেদা জিয়াসহ ৭৭ জনকে আসামি
করে মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা
আছে। এ মামলায় জামিনে আছেন ২৯ জন এবং জেলহাজতে রয়েছেন একজন।
এফ/এ
0 মন্তব্যসমূহ