বিএন ডেস্কঃ
বর্তমান
মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত এবং সমাদৃত সফল রাষ্ট্রনায়ক তুরস্কের রজব
তাইয়্যেব এরদোগান। তুর্কি জনগণের কাছে তাঁদের প্রেসিডেন্ট কতটা প্রিয়, ২০১৬
সালে সেখানকার সেনাবাহিনীর ব্যর্থ অভ্যূত্থান-চেষ্টায় পুরো বিশ্ব অবাক হয়ে
দেখেছে। এরদোগানের এক আহ্বানেই শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সেই অপচেষ্টাকে
তুর্কি জনগণ জানবাজি রেখে রুখে দিয়েছিল।
আজকের এরদোগানের এই যে জনপ্রিয়তা, এই যে সফলতা, তা এম্নি এম্নি অর্জিত হয়নি। দীর্ঘ একটা সময় তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন।
এরদোগানের জন্ম, শৈশব এবং বেড়ে ওঠা নিতান্ত সাদা-মাটা দরিদ্র এক তুর্কি পরিবারে। সেখান থেকেই তিনি নিজেকে তিলে তিলে গড়ে আজকের বিশ্বনন্দিত এরদোগান হয়েছেন।
ইস্তাম্বুলের কাসিমপাশায় ১৯৫৪ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্ম। বাবা ছিলেন একজন ফলবিক্রেতা। বাবার ফলবিক্রির সূত্রে পরিবারের সাথে এরদোগানের শৈশব কেটেছে কৃষ্ণ সাগরের পাড়ে। ১৩ বছর বয়েসে পরিবারের সাথেই আবার ফিরে আসেন ইস্তাম্বুলে। ভর্তি হন একটি মাদরাসায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় রাস্তায় লেবু বাদাম ইত্যাদি ফেরি করতে থাকেন।
কিশোর বয়েস থেকেই শুরু হয় এরদোগানের জীবন-সংগ্রাম। বাবার কাজে সহায়তা, পাশাপাশি মাদরাসার পড়াশোনা--এভাবে একদিন পবিত্র কুরআন হিফজ করে ফেলেন তিনি।
ইস্তাম্বুলের একটি সংবর্ধনা-অনুষ্ঠ
ানে এরদোগান তাঁর শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘ছেলেবেলা আমি যখন প্রতিদিন সকালে বই বগলদাবা করে মাদরাসায় যেতাম, পথে মুরব্বি কিসিমের অনেকেই উপদেশ দিতেন--বেটা, মাদরাসায় পড়াশোনা করে কী লাভ বল! পড়াশোনা শেষ করে তো তুমি মুর্দা কাফন-দাফনের কাজ ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। আমি তাদের কথা শুনে কেবল মুচকি হাসতাম। কোনো জবাব দিতাম না। আপন মনে হেঁটে যেতাম মাদরাসায়। আমার পরিবার নিতান্ত অসচ্ছল ছিল, অভাবের কারণে কোনো কোনো সময় রুটির সঙ্গে তরকারির পরিবর্তে আমরা তরমুজ খেতাম। গরিব হলেও আমার বাবা-মা ছিলেন খুব ধার্মিক। তাঁদের স্বপ্ন ছিল আমি বড় হব। মুসলিম জাতির জন্য কিছু করব। আমিও সেই স্বপ্ন বুকে লালন করে সামনের পথে এগোতে থাকি।’
১৯৭৩ সালে এরদোগান মাদরাসা-শিক্ষা সমাপ্ত করে তুরস্কের প্রসিদ্ধ মারমারাহ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ব্যবসায় এবং প্রশাসন শিক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
সত্তরের দশকেই নাজিমুদ্দিন আরবেকানের হিজবুল খালাসিল ওয়াতানি সংগঠনে যোগদানের মাধ্যমে এরদোগান রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮০ সালের সেনা অভ্যূত্থানের পর সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। এরদোগান তখন হিজবুল খালাসি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে যান। পরে ১৯৮৩ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তিনি হিজবুর রাফাহ-এ যোগদান করেন।
হিজবুর রাফাহ থেকে ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন পান এরদোগান। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন সে নির্বাচনে।
মেয়র নির্বাচিত হবার পর তিনি ইস্তাম্বুল শহরকে সম্পূর্ণ নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। দেড় কোটি মানুষের শহরটি তখন নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। জীবনমান ছিল খুব নি¤œমানের।
বিশুদ্ধ পানির সংকট, বায়ুদূষণ, যানজটÑ সব রকম সমস্যার যেন কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইস্তাম্বুল। এরদোগান এসে অল্প দিনের ভেতর এসব সমস্যার সমাধান করে নাগরিক সেবাকে গতিময় করে তোলেন। ফলে ইস্তাম্বুল পরিণত হয় অত্যাধুনিক এক নগরীতে।
এভাবেই জনমনে আলাদা একটা জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে থেকে জনগণের সেবা করেন।
৯৭-তে সেনা অভ্যূত্থান হয় তুরস্কে। নতুন সেনা-শাসক দেশটিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেয়। এর প্রতিবাদে তুর্কি জনগণ খেপে ওঠে। দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদী মিছিল-মিটিং-সমাবেশ। এমনই এক সমাবেশে এরদোগান একদিন বক্তৃতাকালে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন--
‘মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট, গম্বুজ আমাদের হেলমেট
মিনার আমাদের বেয়নেট, মুসল্লিরা সৈনিক।’
কবিতাটি আবৃত্তির কারণে ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসক ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ তুলে এরদোগানকে গ্রেপ্তার করে নেয়। ১০ মাস কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান কারাগার থেকে।
২০০১ সালে তুরস্কের আরেক নেতা আবদুল্লাহ গুলকে নিয়ে গঠন করেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। ২০০২ সালে তুরস্কের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একেপি। প্রায় ৫০০টি আসনের মধ্যে ৩৬৩টি আসনে বিজয় লাভ করে তারা ক্ষমতায় আরোহন করে। আইনি জটিলতার কারণে এরদোগান তখন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। পরের বছর, ২০০৩ সালে, সংসদে আইন সংশোধন করে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়।
টানা ১১ বছর তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন। মাঝখানে ২০০৭ এবং ১১ সালে দুই বার নির্বাচন হলেও উভয় নির্বাচনে একেপিই জয় লাভ করে। তাই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে তাঁকে আর নড়তে হয়নি।
এরপর পার্লামেন্টারি সরকারব্যবস্থা পরিবর্তন করে এরদোগান তুরস্কে প্রেসিডেন্সিয়ালি রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করেন। ২০১৪ সালে ২৮ আগস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ বছরের সফল প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয় এরদোগান বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট দুটো মিলিয়ে এরদোগান তুরস্কের শাসন ক্ষমতায় আরোহনের ১৪ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। এই ১৪ বছরে তলাবিহীন তুরস্ককে উন্নতির অনন্য এক শিখরে নিয়ে গেছেন তিনি। তাঁর ক্ষমতায় আরোহনের পূর্বে টার্কিশ মুদ্রার তেমন একটা মূল্য ছিল না বিশ্ববাজারে। ব্রিটিশ মুদ্রা ১ পাউন্ড দিয়ে একশ’রও বেশি টার্কিশ লিরা পাওয়া যেত। এরদোগান ক্ষমতায় এসে টার্কিশ মুদ্রার মান বাড়ানোতে মনোযোগ দেন। যার ফলে বর্তমান বিশ্ববাজারে ৪ লিরা টার্কিশ মুদ্রার দাম ১ পাউন্ড। রাষ্ট্রপ্রদান হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা। তাঁর শাসনামলের শুরু থেকেই দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আছে এবং দিনকে দিন মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরদোগানের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে তিনি জনগণের সাথে মিশতে পারেন, তাঁদের হৃদয়ের আকুতি সহজেই বুঝতে পারেন। তুরস্কের জনগণ এজন্যই বারবার তাঁকে ক্ষমতায় বসায়।
ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখেছেন হামমাদ রাগিব
আজকের এরদোগানের এই যে জনপ্রিয়তা, এই যে সফলতা, তা এম্নি এম্নি অর্জিত হয়নি। দীর্ঘ একটা সময় তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন।
এরদোগানের জন্ম, শৈশব এবং বেড়ে ওঠা নিতান্ত সাদা-মাটা দরিদ্র এক তুর্কি পরিবারে। সেখান থেকেই তিনি নিজেকে তিলে তিলে গড়ে আজকের বিশ্বনন্দিত এরদোগান হয়েছেন।
ইস্তাম্বুলের কাসিমপাশায় ১৯৫৪ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্ম। বাবা ছিলেন একজন ফলবিক্রেতা। বাবার ফলবিক্রির সূত্রে পরিবারের সাথে এরদোগানের শৈশব কেটেছে কৃষ্ণ সাগরের পাড়ে। ১৩ বছর বয়েসে পরিবারের সাথেই আবার ফিরে আসেন ইস্তাম্বুলে। ভর্তি হন একটি মাদরাসায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় রাস্তায় লেবু বাদাম ইত্যাদি ফেরি করতে থাকেন।
কিশোর বয়েস থেকেই শুরু হয় এরদোগানের জীবন-সংগ্রাম। বাবার কাজে সহায়তা, পাশাপাশি মাদরাসার পড়াশোনা--এভাবে একদিন পবিত্র কুরআন হিফজ করে ফেলেন তিনি।
ইস্তাম্বুলের একটি সংবর্ধনা-অনুষ্ঠ
ানে এরদোগান তাঁর শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘ছেলেবেলা আমি যখন প্রতিদিন সকালে বই বগলদাবা করে মাদরাসায় যেতাম, পথে মুরব্বি কিসিমের অনেকেই উপদেশ দিতেন--বেটা, মাদরাসায় পড়াশোনা করে কী লাভ বল! পড়াশোনা শেষ করে তো তুমি মুর্দা কাফন-দাফনের কাজ ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। আমি তাদের কথা শুনে কেবল মুচকি হাসতাম। কোনো জবাব দিতাম না। আপন মনে হেঁটে যেতাম মাদরাসায়। আমার পরিবার নিতান্ত অসচ্ছল ছিল, অভাবের কারণে কোনো কোনো সময় রুটির সঙ্গে তরকারির পরিবর্তে আমরা তরমুজ খেতাম। গরিব হলেও আমার বাবা-মা ছিলেন খুব ধার্মিক। তাঁদের স্বপ্ন ছিল আমি বড় হব। মুসলিম জাতির জন্য কিছু করব। আমিও সেই স্বপ্ন বুকে লালন করে সামনের পথে এগোতে থাকি।’
১৯৭৩ সালে এরদোগান মাদরাসা-শিক্ষা সমাপ্ত করে তুরস্কের প্রসিদ্ধ মারমারাহ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ব্যবসায় এবং প্রশাসন শিক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
সত্তরের দশকেই নাজিমুদ্দিন আরবেকানের হিজবুল খালাসিল ওয়াতানি সংগঠনে যোগদানের মাধ্যমে এরদোগান রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮০ সালের সেনা অভ্যূত্থানের পর সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। এরদোগান তখন হিজবুল খালাসি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে যান। পরে ১৯৮৩ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তিনি হিজবুর রাফাহ-এ যোগদান করেন।
হিজবুর রাফাহ থেকে ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন পান এরদোগান। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন সে নির্বাচনে।
মেয়র নির্বাচিত হবার পর তিনি ইস্তাম্বুল শহরকে সম্পূর্ণ নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। দেড় কোটি মানুষের শহরটি তখন নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। জীবনমান ছিল খুব নি¤œমানের।
বিশুদ্ধ পানির সংকট, বায়ুদূষণ, যানজটÑ সব রকম সমস্যার যেন কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইস্তাম্বুল। এরদোগান এসে অল্প দিনের ভেতর এসব সমস্যার সমাধান করে নাগরিক সেবাকে গতিময় করে তোলেন। ফলে ইস্তাম্বুল পরিণত হয় অত্যাধুনিক এক নগরীতে।
এভাবেই জনমনে আলাদা একটা জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে থেকে জনগণের সেবা করেন।
৯৭-তে সেনা অভ্যূত্থান হয় তুরস্কে। নতুন সেনা-শাসক দেশটিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেয়। এর প্রতিবাদে তুর্কি জনগণ খেপে ওঠে। দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদী মিছিল-মিটিং-সমাবেশ। এমনই এক সমাবেশে এরদোগান একদিন বক্তৃতাকালে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন--
‘মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট, গম্বুজ আমাদের হেলমেট
মিনার আমাদের বেয়নেট, মুসল্লিরা সৈনিক।’
কবিতাটি আবৃত্তির কারণে ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসক ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ তুলে এরদোগানকে গ্রেপ্তার করে নেয়। ১০ মাস কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান কারাগার থেকে।
২০০১ সালে তুরস্কের আরেক নেতা আবদুল্লাহ গুলকে নিয়ে গঠন করেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। ২০০২ সালে তুরস্কের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একেপি। প্রায় ৫০০টি আসনের মধ্যে ৩৬৩টি আসনে বিজয় লাভ করে তারা ক্ষমতায় আরোহন করে। আইনি জটিলতার কারণে এরদোগান তখন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। পরের বছর, ২০০৩ সালে, সংসদে আইন সংশোধন করে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়।
টানা ১১ বছর তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন। মাঝখানে ২০০৭ এবং ১১ সালে দুই বার নির্বাচন হলেও উভয় নির্বাচনে একেপিই জয় লাভ করে। তাই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে তাঁকে আর নড়তে হয়নি।
এরপর পার্লামেন্টারি সরকারব্যবস্থা পরিবর্তন করে এরদোগান তুরস্কে প্রেসিডেন্সিয়ালি রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করেন। ২০১৪ সালে ২৮ আগস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ বছরের সফল প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয় এরদোগান বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট দুটো মিলিয়ে এরদোগান তুরস্কের শাসন ক্ষমতায় আরোহনের ১৪ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। এই ১৪ বছরে তলাবিহীন তুরস্ককে উন্নতির অনন্য এক শিখরে নিয়ে গেছেন তিনি। তাঁর ক্ষমতায় আরোহনের পূর্বে টার্কিশ মুদ্রার তেমন একটা মূল্য ছিল না বিশ্ববাজারে। ব্রিটিশ মুদ্রা ১ পাউন্ড দিয়ে একশ’রও বেশি টার্কিশ লিরা পাওয়া যেত। এরদোগান ক্ষমতায় এসে টার্কিশ মুদ্রার মান বাড়ানোতে মনোযোগ দেন। যার ফলে বর্তমান বিশ্ববাজারে ৪ লিরা টার্কিশ মুদ্রার দাম ১ পাউন্ড। রাষ্ট্রপ্রদান হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা। তাঁর শাসনামলের শুরু থেকেই দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আছে এবং দিনকে দিন মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরদোগানের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে তিনি জনগণের সাথে মিশতে পারেন, তাঁদের হৃদয়ের আকুতি সহজেই বুঝতে পারেন। তুরস্কের জনগণ এজন্যই বারবার তাঁকে ক্ষমতায় বসায়।
ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখেছেন হামমাদ রাগিব
0 মন্তব্যসমূহ