বি,এন ডেস্কঃ
চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
(এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘বিপ্লবাত্মক’ বলে মন্তব্য করেছেন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এ
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশের জন্য আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এ বছর থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এমসিকিউ বাতিলের নিয়েছে সরকার।
এর বদলে সব প্রশ্নই হবে যোগ্যতাভিত্তিক। প্রাথমিকে এই যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্নকেই বলা হয় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন বা সৃজনশীল প্রশ্ন। আজ সকালে প্রথম
আলোকে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির
মহাপরিচালক মো. শাহ আলম। তিনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
সিদ্ধান্তের আলোকে এ বিষয়ে গতকাল সোমবার একাডেমি একটি আদেশও জারি করেছে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরীক্ষায়
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন,
‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগগুলো বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি
পরীক্ষায় কিছু কিছু বিষয় প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা চাইছি, কায়দা করে
প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা যায় কি না।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও
নম্বর বিভাজন করে আদেশ জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি। দেড় মাসের
মধ্যে আবার নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে শিক্ষাবর্ষ শুরুর তিন মাস পর এ
সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়েছে।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এই
সিদ্ধান্তকে ‘বিপ্লবাত্মক’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন এপ্রিল মাস।
পরীক্ষা হবে নভেম্বরে। এখনো বহু দেরি। বাংলাদেশে যত বিপ্লব, আন্দোলন ও
সংগ্রাম হয়েছে, তা এক-দুই মাসের মধ্যেই শেষ হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি হলো
টিকচিহ্ন (এমসিকিউ) না নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া।’
মন্ত্রী জানান, বিদ্যালয়গুলোকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি
শিক্ষকদের পাঠ্যসূচি অনুসারে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
সুত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্যসমূহ