বাঁশখালী ইকোপার্কে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষিত স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩

বি,এন ডেস্কঃ

বাঁশখালী উপজেলার জলদী ও শীলকূপ সীমান্ত এলাকায় বাঁশখালী ইকোপার্কে ১৬ বছরের এক স্কুল ছাত্রী চাচাত ভাইসহ বেড়াতে গিয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে বখাটে যুবকদের হাতে ছাত্রীটিকে শারীরিক লাঞ্ছিত ও ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের লোকজনের সহায়তায় জড়িত ৩জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। গতকাল রবিবার রাতে মামলা নথিভূক্ত হলে আজ সোমবার ধর্ষণের শিকার হওয়া স্কুল ছাত্রীর চমেক হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার কথা রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা (নগরীর পতেঙ্গায় বসবাসকারী) এক স্কুলছাত্রী (১৬)

তার চাচাত ভাইয়ের সাথে বাঁশখালী ইকোপার্কে বেড়াতে গেলে গতকাল রবিবার দুপুরে ঝুলন্ত ব্রিজের পূর্ব পার্শ্বে ওৎপেতে থাকা ৩ যুবক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ছাত্রীটি ও তার চাচাত ভাইয়ের চিৎকারে বন কর্মীরা ও জনতার সহায়তায় তাদের আটক করে। পুলিশ জানায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, শীলকূপ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মনছুরিয়া এলাকার রাজা মিয়া ছেলে আরিফুল ইসলাম (২১), চকরিয়া উপজেলার মৃত সূত্রধন বড়–য়ার ছেলে টিটু বড়–য়া (২৫), শীলকূপ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বড়–য়া পাড়ার মৃত হেমন্ত বড়–য়া ছেলে রুপন বড়–য়া (১৯)
বাঁশখালী ইকোপার্কে কর্মরত বিট কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটির চিৎকারে বন বিভাগের কর্মীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে ৩ যুবককে আটক করে।
শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, বাঁশখালী ইকোপার্কে স্কুল ছাত্রীটিকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ ৩ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। ৩ জনের মধ্যে শীলকূপ ইউনিয়নে ২ জনের বাড়ি, চকরিয়া উপজেলায় ১ জনের বাড়ি।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, সংঘবদ্ধভাবে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে।