নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়ত ভাবছেন কিসের সম্ভবনা নিয়ে আলোকপাত করা হচ্ছে !! আসলে
পর্যটন শিল্পের বিকাশের সম্ভাবনাই হলো এ পোস্টের
প্রতিপাদ্য বিষয় । লেখালেখিতে দক্ষতা তেমন নেই বললেই চলে, কুতুবদিয়ার অপরূপ সৌন্দর্য্য দর্শনের
মুগ্ধতা এ পোস্টটির অনুপ্রেরণা । হ্যাঁ, সাগরকন্যা কুতুবদিয়ার কথাই বলছি। কি নেই কুতুবদিয়ায়? ২০ কি. মি দীর্ঘ বালুকাময় অপরূপ সুন্দর সমুদ্র সৈকত,
দেশের একমাত্র বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র,সমুদ্রগামী জাহাজ
কে পথ দেখানোর জন্য বাতিঘর, প্রখ্যাত সুফি সাধক
কুতুবুদ্দীনের কুতুব শরীফ দরবার, শত শত ভক্তের পদচারনায় মুখরিত তাপস আব্দুল মালেক শাহ্ আল
কুতুবীর মাজার শরীফসহ বিস্তির্ণভুমি ব্যাপী লবণ চাষ
দেখলেই চোখ জুড়াবে যে কোন ভ্রমন পিপাসূ পর্যটকের
। ৬০০ বছরের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া ২১৫.৮০ কি. মি
আয়তনের দ্বীপটি উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ তিন দিকেই
বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত । পূর্ব দিকে কুতুবদিয়া চ্যানেল
দ্বারা মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ । সাগরের ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে অস্থিত্ব টিকিয়ে রেখেছে সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুতুবদিয়া দ্বীপটি। প্রখ্যাত সুফি সাধক কুতুবুদ্দীনের নামে স্বীকৃত দ্বীপটির লোকসংখ্যা ১,৩৩,৮৮৮ জন এবং শিক্ষার হার ৭২%। উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অধিবাসী মৎস্যজীবী,লবণচাষী ও কৃষিজীবী। স্বল্প সংখ্যক লোক রয়েছে যারা পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী।
নানা কারনে কুতুবদিয়া সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার
কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।আগামীর " ইকোনোমিক এবং এনার্জি হাব " হবে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপ।
এলপিজি এবং এলএনজি কেন্দ্র গড়ে উঠছে এ সব এলাকায়। একই সাথে সমুদ্র উপকুলের সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে যদি বে ক্রুজ, ইকো ট্যুরিজম কিংবা কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের পরিবেশ তৈরী করে কক্সবাজার সদরের সংগে সমন্বিত করেএকটি টুরিজ্যম
হাব প্রস্তুত করা যায় এই দ্বীপের ভবিষ্যৎ পাল্টে যাবে এ
কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে । এখন দরকার দ্বীপটির পরিকল্পিত উন্নয়ন , পর্যটন অবকাঠামো তৈরী এবং
পর্যটক আকর্ষক স্থানগুলোর সঠিক পরিচর্যা। এরপর পেছনে তাকাতে হবে না , ভাগ্য খুলে যাবে কুতুবদিয়াবাসীর । উপকৃত হবে দেশের অর্থনীতি । সরকারী সুদৃষ্টি পেলেই স্যান্ডউইচ এই দ্বীপটি পরিকল্পিতভাবে একটি পর্যটক আকর্ষনীয় দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। অবশ্য এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২০
মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার। বিশ্বের বহুদেশ তাদের দ্বীপগুলো উন্নয়ন করে
পর্যটন সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে তাদের অর্থনীতিকে
শক্তিশালী করেছে। আমরা সেপথে অগ্রসর হওয়া ছাড়া
বিকল্প নেই। নতুন নতুন টুরিজ্যম প্রোডাক্ট বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরা না গেলে এই শিল্পের বিকাশ অধরাই রয়ে যাবে।
কিভাবে যাবেন কুতুবদিয়াঃ-
-------------------------------------
কক্সবাজার সদর কিংবা দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারের পেকুয়া, একতা বাজার, নতুন কুতুবদিয়া
রাস্তার মাথায় নামতে হবে। নতুন রাস্তার মাথা থেকে অটো কিংবা বাসে মগনামা ঘাট। মগনামা ঘাট থেকে স্পীড বোট কিংবা ইঞ্জিন বোটে করে খুব স্বল্প খরচে কম সময়ে বড়ঘোপ ঘাট বা দরবার ঘাটে নেমে দ্বীপে ভ্রমন করা যায় । পর্যটকদের থাকার জন্য দ্বীপে "সমুদ্র বিলাস "নামে একটি হোটেল ও রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ