বি,এন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার ইফতার মাহফিলের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন টৌকিও আকাবানে বিভিও রেস্টুরেন্ট হল রুমে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন এর পরিচালনায় জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুয়েল তরফদারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাপানের বিশিষ্ট শিল্পপতি মিয়ামা কুমিকো।
প্রস্তুতি সভায় সভাপতি বলেন,ইসলামে প্রতিটি ইবাদতেই রয়েছে প্রচুর নেকি ও কল্যাণ। ইফতার হলো হালাল কোনো খাদ্য বা পানীয় মুখে দিয়ে রোজা খোলা।রোজা খোলার বা ইফতার করার নির্দিষ্ট সময় সূর্যাস্তের পর মুহূর্তেই। একশ্রেণীর লোক ইফতারের সময় হবার পরও অকারণে দেরি করে থাকে। তারা মনে করে দেরি করে ইফতার করাতেই বেশি সওয়াব, অধিক তাকওয়া অর্জনের কাজ। কিন্তু মহানবী (সা.) রোজা রাখা এবং খোলার যে বিধান পেশ করেছেন, তাতে কোনো ব্যতিক্রম আমরা করতে পারি না।সংগঠনের সকল সদস্যের মতামত এর ভিত্তিতে১০ই জুন ইফতার মাহফিল এর সময় নির্ধারণ করা হয়।
মাহফিলের প্রস্তুতি সভায় ইঞ্জিয়ার জসীম উদ্দিন বলেন,ছোটবেলায় যখন গ্রামে ছিলাম তখন দেখেছি গ্রামের অবস্থাশালী লোকদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রামের রোজাদারদের ইফতার করাতেন। গ্রাম্য ভাষায় যাকে বলা হয় রোজাদার খাওয়ানো। খেজুর, শরবত দিয়ে রোজা খোলার পর রোজাদারকে গোশত-ভাত, মাছ-ভাত, ডাল, ফিরনি ইত্যাদি খাওয়ানো হতো। ঢাকায় এসে সাক্ষাৎ পেলাম ইফতার মাহফিলের। ঢাকার ইফতার মাহফিলে খেজুর, শরবত, চপ, জিলাপি, বেগুনি, পিঁয়াজু, বুট, মুড়ি, কিছু ফলমূল দিয়ে ইফতার করানো হয়। কোনো কোনো মাহফিলে খেজুর ও শবরত দিয়ে ইফতার করানোর পর গোশত-পোলাও, বিরিয়ানি, ভুনা খিঁচুড়ি ইত্যাদিও খাওয়ানো হয়। এখন বিশ্বের সর্বত্রই ইফতার মাহফিল চলছে। তাই জাপানেও প্রতিবারের ন্যায় এবার একটু ব্যতিক্রমী ইফতার মাহফিল হবে।
সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, জাপান আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মৌলানা মিজানুর রহমান।
0 মন্তব্যসমূহ