বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালীতে এবার পানের ভালো
ফলন হয়েছে। এতে করে চাষিরা খুব খুশি। এক সময় পানের বাজার তেমন চড়া ছিল না।
বর্তমানে পানের বাজার বেশ চড়া। বর্তমানে যেকোন দোকানে এক খিলি পান ৫ টাকা
করে বিক্রি করছে দোকানদাররা।
তবে বাজারে ২০ গন্ডার এক বিরা
পান ২শ থেকে শুরু করে ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পানের বাজারে
বর্তমানে চড়া দাম হওয়ায় পান চাষিরা বেজায় খুশি।
বাঁশখালীতে প্রায় ২শ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয় বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম আজাদীকে জানান। জানা যায়, বাঁশখালীর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ করে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি নাপোড়া পাহাড়ি এলাকা, চাম্বল, পূর্ব চাম্বল, শীলকূপ, ইকোপার্ক এলাকা, পৌরসভার জলদী এলাকার জঙ্গল জলদী, আদর্শগ্রাম, গুচ্ছগ্রাম ও দক্ষিণ জলদী এলাকার পাহাড়ি পাদদেশে, পূর্ব বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া
এলাকার পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পান চাষ হয়। বাঁশখালীর পান মিষ্টি এবং
সুস্বাদু হওয়ায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঁশখালীর পানের প্রচুর চাহিদা
রয়েছে।
বর্তমানে বাঁশখালীতে প্রচুর
পরিমাণ পান চাষে চাষিরা মনোযোগী হচ্ছে অধিক মুনাফা পাওয়ায়। বাঁশখালীর
পাহাড়ি এলাকায় আগে থেকে মিষ্টি পানের চাষের সাথে সাথে বর্তমানে পানের চড়া
দাম পাওয়ায় চাষিরা ঝুঁকে ঐদিকে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশেষ করে
মহেশখালীর পানের কথা সবার মনে মনে। তারই পরে যে স্থানটি তা হলো বাঁশখালী।
বাঁশখালীর পান নিয়ে ধরনের গানের রয়েছে জনপ্রিয়তা। বর্তমানে হাট বাজারে
প্রচুর পরিমাণ পান পাওয়া গেলেও দাম চড়া হওয়ায় চাষিরা নানাভাবে খুশি।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাঁশখালীর বেশ কিছু পান চাষি আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষ করে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। বিশেষ করে নাপোড়া, চাম্বল, জলদী, বৈলছড়ি
এলাকার বেশ কয়েকজন চাষি এই পান চাষের মাধ্যমে তাদের জীবনের পট পরিবর্তন
করেন। পান চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন নতুন চাষি যোগ হচ্ছে এই পান
চাষে অধিক মুনাফার আশায়।
সুত্রঃ দৈনিক আজাদী
0 মন্তব্যসমূহ