বিএন ডেস্কঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের
(ইউপি) সাবেক সদস্য আবদুল লতিফ হাওলাদারকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে
দুর্বৃত্তরা।
একই ঘটনায় লতিফের চাচাতো ভাই ইদ্রিস হাওলাদার (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ রোববার ভোরে উপজেলার তুলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লতিফ মঠবাড়িয়া সদর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।
লতিফের পরিবারের অভিযোগ, বড় ভাই আবদুল করিম হাওলাদারের ছেলে আল আমিন ও নাতি মো. সজলের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন যুবক এই হামলায় জড়িত।
লতিফের পরিবারের পক্ষ থেকে যাঁদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পরিবার, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, একটি মামলায় আজ পিরোজপুর আদালতে
লতিফের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। ভোর পাঁচটার দিকে তিনি ইদ্রিসকে সঙ্গে নিয়ে
বাড়ি থেকে বের হন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁরা উপজেলার তুলাতলা এলাকায়
পৌঁছায়। এ সময় তাঁদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
এতে লতিফ ও ইদ্রিস গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে বরিশাল
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখানে
নেওয়ার পর আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লতিফ মারা যান। গুরুতর জখম ইদ্রিস
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আশিষ দেবনাথ বলেন, লতিফ ও ইদ্রিসের শরীরে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত দেখা গেছে।
লতিফের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ইসমাইল হোসেন হাওলাদার বলেন, জমি ও পারিবারিক
বিষয় নিয়ে লতিফের সঙ্গে বড় ভাই করিমের বিরোধ ছিল। দুই পরিবারের মধ্যে
কয়েকবার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রমিজ জাহান প্রথম আলোকে বলেন, হামলায়
আহত ইদ্রিস ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম-পরিচয় পুলিশকে জানিয়েছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে লতিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে লতিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সূত্রঃ এফ/এ
0 মন্তব্যসমূহ