বিএন ডেস্কঃ
যদি কেউ উন্মাদ হয়ে থাকেন, তাহলে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সদস্য হতে
পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও
দণ্ডিত দল। উন্মাদ হলেও বিএনপির সদস্য হতে সমস্যা নেই। কারণ রাতের আঁধারে
কলমের খোঁচায় দলটি গঠনতন্ত্রের সাতটি ধারা বাতিল করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বর্ধিত সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রবাসী কল্যাণ ও
বৈদেশিক কমর্সংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক
এনামুল হক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ছাড়াও ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা
আওয়ামী লীগের ১৭ নেতা বক্তব্য দেন।
আজ নগরের লেডিস ক্লাবে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে নগর আওয়ামী লীগ। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আফছারুল আমিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলমসহ নগর কমিটির নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ। তারা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়েন তারেক জিয়া, লন্ডন থেকে। আল্লাহর রহমতে কোটা সমস্যারও সমাধান হয়েছে। এখন তারা ধরেছে পাহাড়কে। পাহাড়ে রক্তপাতের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, এ রকম ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি।’
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নাকি তারা নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে কি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপর আকাশ ভেঙে পড়বে? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেয়নি। জ্বালাও-পোড়াও করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। তাতে কি গণতন্ত্রের সূচিতা, গণতন্ত্রের সম্ভ্রম এতটুকু নষ্ট হয়েছে? বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সংবিধান পরিবর্তন হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেতৃত্বের মূল র্টাগেট কিন্তু আওয়ামী লীগ নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল টার্গেট। তাই প্রধানমন্ত্রীর নাম শুনলেই বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ হয়। কারণ বিএনপি জানে নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হটানো সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গত নয় বছর আন্দোলন করে ৯ মিনিটের সাফল্যও তারা পায়নি। বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। কারণ পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার মতো এমন সৎ, দক্ষ ও বিচক্ষণ কূটনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন নেতা বাংলাদেশে আর আসেনি।
দলীয় নেতাদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি যেন আমরা না করি। আমরা নিজের ক্ষতি করলে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হয় না।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উন্নয়নে ঘাটতি নেই। আচরণে যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে, উদ্যোগ নিতে হবে। সৌজন্য পোস্টার ও ব্যানারের দরকার নেই। দলের মধ্যে সৌজন্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। দল ভারী করতে সন্ত্রাসী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও চাঁদাবাজদের দলের ভেতরে জায়গা দেবেন না। যে কর্মীর কারণে এলাকায় আওয়ামী লীগের ওপর সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট হচ্ছে, তাঁকে দলে জায়গা দেবেন না। তাঁকে বলবেন, বিএনপিতে যান।
সম্প্রতি ভারত সফরের বর্ণনা করে কাদের বলেন, ‘মোদি সাহেবের সময় পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট (কষ্টসাধ্য)। অথচ তিনি আমাদের ৩২ মিনিট সময় দিয়েছেন। আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) ওপর তাঁর যে আস্থা আছে তা তিনি বলেছেন। আমাদের নেত্রী যেভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার মতো একটা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছেন, সেই বিষয়ে বলেছেন। কিন্তু আমরা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মোদি সাহেবের সঙ্গে কথা বলিনি। কোনো নালিশ করিনি। নিজের দেশকে ছোট করিনি। আমরা বলেছি, আমাদের উত্তর জনপদ শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির জন্য হাহাকার। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন যে আমাদের ন্যায়সংগত অধিকার, সেটা বলেছি।’
অযৌক্তিকভাবে বিএনপিকে গালিগালাজ না করতে নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন কাদের। তিনি বলেন, পড়াশোনা করেন, ক্লাস করেন। না হলে বিএনপির বিরুদ্ধে মাঠে কী বলবেন? বিএনপিকে মুখস্থ গালিগালাজ করা যাবে না। কথা বলতে হবে যুক্তি দিয়ে।
কোরবানি ঈদের আগে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন এবং পোলিং এজেন্ট চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য এক মাস সময় দিলাম। সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে হবে।’
মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে দক্ষ কর্মী বাহিনী গঠন এবং সংগঠনকে গ্রহণযোগ্য ও গতিশীল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবউদ্দিন বলেছেন, কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের দুটি করে কমিটি। নির্বাচন এলে কাজ করতে সমস্যা হয়। তিনি দলের বিরোধ নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী বক্স বলেছেন, এমপির (এম এ লতিফ) সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।
আজ নগরের লেডিস ক্লাবে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে নগর আওয়ামী লীগ। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আফছারুল আমিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলমসহ নগর কমিটির নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ। তারা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়েন তারেক জিয়া, লন্ডন থেকে। আল্লাহর রহমতে কোটা সমস্যারও সমাধান হয়েছে। এখন তারা ধরেছে পাহাড়কে। পাহাড়ে রক্তপাতের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, এ রকম ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি।’
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নাকি তারা নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে কি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপর আকাশ ভেঙে পড়বে? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেয়নি। জ্বালাও-পোড়াও করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। তাতে কি গণতন্ত্রের সূচিতা, গণতন্ত্রের সম্ভ্রম এতটুকু নষ্ট হয়েছে? বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সংবিধান পরিবর্তন হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেতৃত্বের মূল র্টাগেট কিন্তু আওয়ামী লীগ নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল টার্গেট। তাই প্রধানমন্ত্রীর নাম শুনলেই বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ হয়। কারণ বিএনপি জানে নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হটানো সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গত নয় বছর আন্দোলন করে ৯ মিনিটের সাফল্যও তারা পায়নি। বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। কারণ পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার মতো এমন সৎ, দক্ষ ও বিচক্ষণ কূটনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন নেতা বাংলাদেশে আর আসেনি।
দলীয় নেতাদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি যেন আমরা না করি। আমরা নিজের ক্ষতি করলে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হয় না।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উন্নয়নে ঘাটতি নেই। আচরণে যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে, উদ্যোগ নিতে হবে। সৌজন্য পোস্টার ও ব্যানারের দরকার নেই। দলের মধ্যে সৌজন্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে। দল ভারী করতে সন্ত্রাসী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ম ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও চাঁদাবাজদের দলের ভেতরে জায়গা দেবেন না। যে কর্মীর কারণে এলাকায় আওয়ামী লীগের ওপর সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট হচ্ছে, তাঁকে দলে জায়গা দেবেন না। তাঁকে বলবেন, বিএনপিতে যান।
সম্প্রতি ভারত সফরের বর্ণনা করে কাদের বলেন, ‘মোদি সাহেবের সময় পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট (কষ্টসাধ্য)। অথচ তিনি আমাদের ৩২ মিনিট সময় দিয়েছেন। আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) ওপর তাঁর যে আস্থা আছে তা তিনি বলেছেন। আমাদের নেত্রী যেভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার মতো একটা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছেন, সেই বিষয়ে বলেছেন। কিন্তু আমরা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মোদি সাহেবের সঙ্গে কথা বলিনি। কোনো নালিশ করিনি। নিজের দেশকে ছোট করিনি। আমরা বলেছি, আমাদের উত্তর জনপদ শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির জন্য হাহাকার। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন যে আমাদের ন্যায়সংগত অধিকার, সেটা বলেছি।’
অযৌক্তিকভাবে বিএনপিকে গালিগালাজ না করতে নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন কাদের। তিনি বলেন, পড়াশোনা করেন, ক্লাস করেন। না হলে বিএনপির বিরুদ্ধে মাঠে কী বলবেন? বিএনপিকে মুখস্থ গালিগালাজ করা যাবে না। কথা বলতে হবে যুক্তি দিয়ে।
কোরবানি ঈদের আগে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন এবং পোলিং এজেন্ট চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য এক মাস সময় দিলাম। সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে হবে।’
মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে দক্ষ কর্মী বাহিনী গঠন এবং সংগঠনকে গ্রহণযোগ্য ও গতিশীল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবউদ্দিন বলেছেন, কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের দুটি করে কমিটি। নির্বাচন এলে কাজ করতে সমস্যা হয়। তিনি দলের বিরোধ নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী বক্স বলেছেন, এমপির (এম এ লতিফ) সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।
সূত্রঃ এফ/এ
0 মন্তব্যসমূহ