বি,এন ডেস্কঃ
চট্টগ্রামে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসপিয়ার মরদেহ টেকনাফের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফ সদরের ডেইলপাড়ায় এসে পৌঁছে। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে টেকনাফ কলেজের মাঠে হাজার হাজার মানুষ তাসপিয়ার জানাজায় অংশ নেন। পরে পৌরসভার ৫নং ডেইলপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।তাসপিয়ার দাদা মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি তাসপিয়া এভাবে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে। আমার সাত ছেলের সন্তানদের মধ্যে সবার বড় তাসপিয়া। আমার ছেলেদের খুব আদরের মেয়ে ছিল সে। আমি আমার নাতনির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।তাসপিয়ার জানাজায় এলাকার গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।উল্লেখ্য বুধবার (০২ মে) সকালে নগরীর পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে মরদেহটি তাসফিয়া আমিনের বলে সনাক্ত করেন। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলেরর নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি টেকনাফের ডেইল পাড়া এলাকায়। সে পরিবারের সঙ্গে নগরীর ওআর নিজাম আবাসিক এলাকার তিন নম্বর সড়কের কেআরএস ভবনে থাকতো।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৩ মে) দুপুরে তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন আদনানকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। অপর আসামিরা হলেন, সোহায়েল (১৭), শওকত মিরাজ (১৭),আসিফ মিজান (১৭), ইমতিয়াজ ইকরাম (১৭), সুলতান ইকরাম (২৪) ও ফিরোজ (৩০)।
সুত্রঃসিটিজি টাইমস
0 মন্তব্যসমূহ