মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ মৌলভী ছৈয়দ আহমদ সড়ক। বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ও শেখেরখীল ইউনিয়নের ২০হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম।২০০১সালে এই সড়কটি এলজিইডির মাধ্যমে উন্নয়ন করেন সাবেক বন প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,চট্টগ্রাম নেভাল (অপারেশন জ্যাকপট) এর প্রধান বেইজ কমান্ডার,চট্টগ্রাম মুজিব বাহিনীর প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী,চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধকালীন প্রধান অধিনায়ক,বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী ছৈয়দ আহমদের নামে তিনি এই সড়কটির নামকরণ করেন।জানা যায়,বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন বন প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সড়কটির উন্নয়ন করার দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কে।দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন,অবহেলায় পড়ে থাকা এই সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন প্রায় ১০-১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনসাধারণ।তৎমধ্যে পুঁইছড়ি ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা,মাষ্টার নজির আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,নাপোড়া-শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়,সোবহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আম্বিয়া খাতুন মহিলা ক্যাডেট মাদরাসা অন্যতম।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এই সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।সামান্য বৃষ্টি হলে এই গর্তগুলো মরণঘাতি মিনি ডোবায় পরিণত হয়।এদিকে এই সড়ক দিয়ে অসহনীয় দূর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী।বিশেষ করে স্কুল-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের মারাত্নক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বৃষ্টি হলে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের পা পিছলে পড়ে গিয়ে ইউনিফ্রম নষ্ট হয়।বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের আনা নেওয়ায় কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।কারণ,সড়কটি নিজেই রোগী।এলাকাবাসীর কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।সাম্প্রতিক সময়ে বাঁশখালীতে ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমানাধীন।অভিযোগ রয়েছে,৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রমে এলাকার জনগণের সাথে প্রতিহিংসা বশত এই সড়ককে অন্তর্ভূক্ত করেনি;এমনটি অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে।এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।বাঁশখালীর বিভিন্ন স্তরের রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা মৌলভী ছৈয়দ আহমদের কবর জিয়ারত করতে আসলে;এই সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন।বারবার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও;প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না করায় এলাকার জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।এব্যাপারে মৌলভী ছৈয়দ আহমদের ভাতিজা,চট্টগ্রামদক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর এ প্রতিবেদককে বলেন,"জাফর সাহেব বিএনপির লোক হয়েও আমার চাচার নামে সড়কটির নামকরণ করে সংস্কার করেন।বর্তমান আ.লীগ সরকার ১০বছর ক্ষমতায় থাকলেও;এ সড়কটি নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান।জাতির শ্রেষ্ট সন্তানের নামে নামকরণ করা একটি সড়ক কেন দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থাকবে।বাঁশখালীতে বর্তমানে ৬০০কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।কেন এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বাদ পড়ল আমার জানা নেই।এতে ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ।আমি এলজিইডির কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এই সড়কটির উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।"
উল্লেখ্য,দক্ষিণ জেলা আ.লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি মৌলভী ছৈয়দের স্মরণ সভায় নিজ ফান্ড থেকে তোরণ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।বর্তমানে তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে।একজন জনপ্রতিনিধি না হয়ে তিনি মৌলভী ছৈয়দের তোরণ নির্মাণ করে দিচ্ছেন।অথচ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মৌলভী ছৈয়দ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।এ নিয়ে এলাকার জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।এদিকে এলাকার জনসাধারণ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলজিইডি ও বাঁশখালীর বর্তমান সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য,দক্ষিণ জেলা আ.লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি মৌলভী ছৈয়দের স্মরণ সভায় নিজ ফান্ড থেকে তোরণ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।বর্তমানে তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে।একজন জনপ্রতিনিধি না হয়ে তিনি মৌলভী ছৈয়দের তোরণ নির্মাণ করে দিচ্ছেন।অথচ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মৌলভী ছৈয়দ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।এ নিয়ে এলাকার জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।এদিকে এলাকার জনসাধারণ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলজিইডি ও বাঁশখালীর বর্তমান সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ