জোবাইর বিন জিহাদী,সাতকানিয়াঃ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়াস্থ মধ্য কাঞ্চনা কোনের দোকান তথা মাইজপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় ১০টি দরিদ্র পরিবার।
৬ই মে রোজ রোববার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় আগুনে পুড়ে ছাই হয় বসতবাড়িগুলো।
সরে জমিনে যাওয়ার পর এলাকার ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার সময় কুনছুমার বাড়ি হতে বিদ্যুৎ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে জ্বলতে থাকে বসতবাড়িগুলো।তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ কেউ গ্যাস হতে এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানালেও পরবর্তীতে বিদ্যুৎ থেকেই এর সূত্রপাত বলে নিশ্চিত করে এলাকাবাসী।এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আরো জানান,আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া বাড়িগুলোর মালিকেরা দরিদ্র ও দিনমজুর।বাড়ির কোন তৈজসপত্র আগুন হতে রক্ষা করতে পারে নি বরং আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে সবকিছুই।উক্ত ইউনিয়নের সদস্য শহীদুল হক বলেন,আগুনে পুড়ে বসতবাড়িগুলোর সবকিছুই ছাই হয়ে গেছে।
বিশেষসূত্রে জানা গেছে,সন্ধ্যা ৭টার সময় আগুনে জ্বলে উঠে বসতবাড়ি গুলো।যা কাঞ্চনা ইউনিয়নের দূরদূরান্তে অবস্থান করা লোকের নজরেও পড়েছিল।এবং গণমাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এলাকার মানুষ ও পরবর্তীতে ফায়ারসার্ভিসের সহযোগীতায় দীর্ঘ সময়ের পর আগুন নিভানো সম্ভব হয় ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১০টি পরিবার।
আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া পরিবারগুলো হল (১)কাঞ্চনা সিনিয়র মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোবারক হোসেন,(২)মোবারক হোসেনের ভাই ছাদেক হোসেন(রাজমিস্ত্রি) (৩)আলী আহমদ(দিনমজুর) (৪)কুনছুমা পিতা শামসু(৫)নুর আলম(রাজমিস্ত্রি) (৬)অলি আহমদ(রাজমিস্ত্রি) (৭)আবু ছৈয়দ (৮)মোহাম্মদ শফি (৯)নুর ছালাম(রাজমিস্ত্রি)প্রমুখ।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন কাঞ্চনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রমজান আলী,প্যানেল চেয়ারম্যান ও অত্র ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ছালাম ও অত্র ইউনিয়নের সদস্য শহীদুল হক সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।এছাড়াও ক্ষতিগ্রস পরিবার সমূহের সহযোগীতার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানা যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার জন্য প্রতি বিত্তবানসহ নানা স্তরের লোকদের প্রতি অনুরোধ করেন।
0 মন্তব্যসমূহ