বি,এন ডেস্কঃ
প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রার্থী হতে গিয়ে আমার দলকে বদনামে ফেলবে এটা কিন্তু কোনোমতেই আমি মেনে নেবো না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’ গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বর্ধিত এই বিশেষ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সারাদেশ থেকে আসা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সাড়ে চার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন। বেলা ১১টায় বিশেষ এই সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ দলীয় প্রতিবেদন ও শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রায় দেড় ঘণ্টার দীর্ঘ বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনসহ সব গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গৌরবদীপ্ত অতীতের স্মৃতিচারণ করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনটিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম,
প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রার্থী হতে গিয়ে আমার দলকে বদনামে ফেলবে এটা কিন্তু কোনোমতেই আমি মেনে নেবো না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’ গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বর্ধিত এই বিশেষ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সারাদেশ থেকে আসা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সাড়ে চার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন। বেলা ১১টায় বিশেষ এই সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ দলীয় প্রতিবেদন ও শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রায় দেড় ঘণ্টার দীর্ঘ বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনসহ সব গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গৌরবদীপ্ত অতীতের স্মৃতিচারণ করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনটিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম,
কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভার সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চার হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জোট করেছি মহাজোট করেছি। নির্বাচনের স্বার্থে জোট করতে হয়। আমরাও করব, আমরা বন্ধু হারাব না। সবাইকে নিয়েই করতে চাই। তবে, এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দায়িত্বটা অনেক বেশি। আওয়ামী লীগ এদেশের সব থেকে বড় দল। তাঁর জনসমর্থন সব থেকে বেশি সেটা মাথায় রেখেই, যাকে আমরা নৌকা মার্কা দেব, যাকে আমরা নির্বাচনে প্রার্থী করব তার পক্ষে সকলকে কাজ করতে হবে।’
এরআগে দলটির তৃণমূলের নেতারা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। বক্তব্যে নেতারা বলেন, অন্প্রুবেশকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আট সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে একজন করে কথা বলেন।
স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি। স্বপ্রণোদিত হয়ে অনেকে প্রার্থী হয়ে গেছেন। আর প্রার্থী হয়ে তাদের বক্তব্যে তারা বিএনপি কি লুটপাট ষড়যন্ত্র করলো, কি সন্ত্রাস ও দুর্নীতি করলো, সেটা বলে না। তারা প্রার্থী হয়ে বিএনপি–জামায়াত যে সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে তা বলে না। তার (নৌকার প্রার্থী) বক্তব্যে এসে যায় আমার আওয়ামী লীগ এমপির বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে।’ এদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এখানে একটা ঘোষণা দিতে চাই। আমরা দলের জন্য এতো কাজ করেছি, দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আপনারাই বলেন। আমার কি আছে? আমি কোন বিয়ে–শাদিতে যাই না। কোন উৎসবে যাই না। আমার কিছু নাই। সেইগুলি না বলে, সেইগুলো ভুলে গিয়ে কোথায় কার বিরুদ্ধে কি দোষ আছে, সেইটা খুঁজে জনগণের কাছে যারা বলবেন, তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। এটা পরিষ্কার কথা।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আমার দলের বিরুদ্ধে কথা বলবে, দলের বিরুদ্ধে বদনাম করবে, সেকি এটা বোঝে না এতে তার ভোটও নষ্ট হবে। সে তাহলে কোন মুখে ভোট চাইতে যাবে। দলের বিরুদ্ধে বদনাম করলে জনগণ তো তাকেও ভোট দেবে না। সেই কথাটা তাকে মনে রাখতে হবে।’ ‘আর আমাদের যারা সংসদ সদস্য তাদেরও আমি বলবো, একটা কথা মনে রাখেন জনগণ কিন্তু খুব হিসাবী। কেউ দুর্নীতি করলে জনগণ কিন্তু সেটা ঠিকই মাথায় রাখে। সেটা কিন্তু ভুলে যায় না। ওই কাজ করতে গিয়ে টাকা নিলে এরপর ভোট চাইতে গেলে বলবে, টাকা দিয়ে কাজ নিছি ভোট দেবো কেন? এটা কিন্তু তারা বলবে? জনগণের এখন কিন্তু চোখ খুলে গেছে। এখন ডিজিটাল যুগ। কাজেই যারা সংসদ সদস্য আছেন, সময় কিন্তু খুব বেশি নাই। কেউ নমিনেশন পাবেন কি পাবেন না, সেটা নির্ভর করে আপনার এলাকার আপনারা কারা কতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন। আর কতটুকু আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কতটুকু মূল্যায়ন করেছেন, সেটাও কিন্তু আমি বিবেচনা করবো’, যোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের উপর অনেক ঝড়–ঝাপটা গেছে। এটা আমি আমার ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমার বাবা জেলের বাইরে থাকলে কি চেহারা আর জেলের ভিতরে থাকলে কি চেহারা হয় আমি তো দেখেছি। কথায় বলে সুসময়ে অনেকে বন্ধু বটে হায়, দুঃসময়ে হায় হায় কেউ কারে নয়। আমি নিজেইও সেটা দেখেছি। ওই দুঃসময়ের কর্মীরা তারা যেন অবহেলিত না হয়। কারণ এখন তো অনেকে আসবে। যেহেতু আমরা ক্ষমতায়। বিভিন্ন দল থেকে ছুটে এসে অনেকে দলে আসবে। আর গ্রুপ করার জন্য কোন বাছ–বিচার নাই, যাকে পাচ্ছে তাকে নিয়ে নিজের শক্তি দেখাতে চায়। এরা আসে মধু খেতে। তারা ভাবে যে এখানে আসলে মামলা থেকে বাঁচতে পারবে। আর আসে কারা? যারা মনে করে ক্ষমতায় সাথে থাকতে পারলেই তো পয়সা বানাতে পারবো তারা। একটা সার্ভে আমরা সারা বাংলাদেশে করেছি, কাদের কাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, কারা আমার দলের। সেই তালিকা কিন্তু আমার কাছে আছে। কাজেই আমি বলবো, কেউ যদি তাদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, এখনই তাদের বিদায় করেন। কারণ তারা দুঃসময়ে থাকবে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্পদ গড়ার জন্য না। আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শ হচ্ছে জনগণের সেবা করা। জনগণের কাজ করা। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি, এটা মাথায় রাখতে হবে। কাজেই লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা যেন আবার ধ্বংসের মুখে না যায়।’ বিএনপি–জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ওরা ক্ষমতায় আসা মানেই জনগণের দুর্ভোগ। তাই জনগণের কাছে কথাগুলি আপনাদের পৌঁছে দিতে হবে। আমরা সারাদেশকে শুধু রাজধানী বা শহরকেন্দ্রিক নয় সমগ্র বাংলাদেশকে উন্নত করতে চাই। জনগণের কাছে এই কথাগুলোই নিয়ে যেতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যা ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা তার থেকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। কাজেই আওয়ামী লীগ যে কথা দেয়, আওয়ামী লীগ সেই কথা রাখে। সেই কথাটাই মনে রাখতে হবে। আর সেই কথাটাই বলতে হবে।
সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জোট করেছি মহাজোট করেছি। নির্বাচনের স্বার্থে জোট করতে হয়। আমরাও করব, আমরা বন্ধু হারাব না। সবাইকে নিয়েই করতে চাই। তবে, এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দায়িত্বটা অনেক বেশি। আওয়ামী লীগ এদেশের সব থেকে বড় দল। তাঁর জনসমর্থন সব থেকে বেশি সেটা মাথায় রেখেই, যাকে আমরা নৌকা মার্কা দেব, যাকে আমরা নির্বাচনে প্রার্থী করব তার পক্ষে সকলকে কাজ করতে হবে।’
এরআগে দলটির তৃণমূলের নেতারা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। বক্তব্যে নেতারা বলেন, অন্প্রুবেশকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিণতি হবে। দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আট সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে একজন করে কথা বলেন।
স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি। স্বপ্রণোদিত হয়ে অনেকে প্রার্থী হয়ে গেছেন। আর প্রার্থী হয়ে তাদের বক্তব্যে তারা বিএনপি কি লুটপাট ষড়যন্ত্র করলো, কি সন্ত্রাস ও দুর্নীতি করলো, সেটা বলে না। তারা প্রার্থী হয়ে বিএনপি–জামায়াত যে সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে তা বলে না। তার (নৌকার প্রার্থী) বক্তব্যে এসে যায় আমার আওয়ামী লীগ এমপির বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে।’ এদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এখানে একটা ঘোষণা দিতে চাই। আমরা দলের জন্য এতো কাজ করেছি, দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আপনারাই বলেন। আমার কি আছে? আমি কোন বিয়ে–শাদিতে যাই না। কোন উৎসবে যাই না। আমার কিছু নাই। সেইগুলি না বলে, সেইগুলো ভুলে গিয়ে কোথায় কার বিরুদ্ধে কি দোষ আছে, সেইটা খুঁজে জনগণের কাছে যারা বলবেন, তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। এটা পরিষ্কার কথা।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আমার দলের বিরুদ্ধে কথা বলবে, দলের বিরুদ্ধে বদনাম করবে, সেকি এটা বোঝে না এতে তার ভোটও নষ্ট হবে। সে তাহলে কোন মুখে ভোট চাইতে যাবে। দলের বিরুদ্ধে বদনাম করলে জনগণ তো তাকেও ভোট দেবে না। সেই কথাটা তাকে মনে রাখতে হবে।’ ‘আর আমাদের যারা সংসদ সদস্য তাদেরও আমি বলবো, একটা কথা মনে রাখেন জনগণ কিন্তু খুব হিসাবী। কেউ দুর্নীতি করলে জনগণ কিন্তু সেটা ঠিকই মাথায় রাখে। সেটা কিন্তু ভুলে যায় না। ওই কাজ করতে গিয়ে টাকা নিলে এরপর ভোট চাইতে গেলে বলবে, টাকা দিয়ে কাজ নিছি ভোট দেবো কেন? এটা কিন্তু তারা বলবে? জনগণের এখন কিন্তু চোখ খুলে গেছে। এখন ডিজিটাল যুগ। কাজেই যারা সংসদ সদস্য আছেন, সময় কিন্তু খুব বেশি নাই। কেউ নমিনেশন পাবেন কি পাবেন না, সেটা নির্ভর করে আপনার এলাকার আপনারা কারা কতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন। আর কতটুকু আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কতটুকু মূল্যায়ন করেছেন, সেটাও কিন্তু আমি বিবেচনা করবো’, যোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের উপর অনেক ঝড়–ঝাপটা গেছে। এটা আমি আমার ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমার বাবা জেলের বাইরে থাকলে কি চেহারা আর জেলের ভিতরে থাকলে কি চেহারা হয় আমি তো দেখেছি। কথায় বলে সুসময়ে অনেকে বন্ধু বটে হায়, দুঃসময়ে হায় হায় কেউ কারে নয়। আমি নিজেইও সেটা দেখেছি। ওই দুঃসময়ের কর্মীরা তারা যেন অবহেলিত না হয়। কারণ এখন তো অনেকে আসবে। যেহেতু আমরা ক্ষমতায়। বিভিন্ন দল থেকে ছুটে এসে অনেকে দলে আসবে। আর গ্রুপ করার জন্য কোন বাছ–বিচার নাই, যাকে পাচ্ছে তাকে নিয়ে নিজের শক্তি দেখাতে চায়। এরা আসে মধু খেতে। তারা ভাবে যে এখানে আসলে মামলা থেকে বাঁচতে পারবে। আর আসে কারা? যারা মনে করে ক্ষমতায় সাথে থাকতে পারলেই তো পয়সা বানাতে পারবো তারা। একটা সার্ভে আমরা সারা বাংলাদেশে করেছি, কাদের কাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, কারা আমার দলের। সেই তালিকা কিন্তু আমার কাছে আছে। কাজেই আমি বলবো, কেউ যদি তাদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, এখনই তাদের বিদায় করেন। কারণ তারা দুঃসময়ে থাকবে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্পদ গড়ার জন্য না। আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শ হচ্ছে জনগণের সেবা করা। জনগণের কাজ করা। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি, এটা মাথায় রাখতে হবে। কাজেই লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা যেন আবার ধ্বংসের মুখে না যায়।’ বিএনপি–জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ওরা ক্ষমতায় আসা মানেই জনগণের দুর্ভোগ। তাই জনগণের কাছে কথাগুলি আপনাদের পৌঁছে দিতে হবে। আমরা সারাদেশকে শুধু রাজধানী বা শহরকেন্দ্রিক নয় সমগ্র বাংলাদেশকে উন্নত করতে চাই। জনগণের কাছে এই কথাগুলোই নিয়ে যেতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যা ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা তার থেকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। কাজেই আওয়ামী লীগ যে কথা দেয়, আওয়ামী লীগ সেই কথা রাখে। সেই কথাটাই মনে রাখতে হবে। আর সেই কথাটাই বলতে হবে।
\দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ