নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এই শহরের বহুল আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী আবু নফর ও শাহাজাহান আনচারীর অতি কাছের পরিচিতজন নাম তোফায়েল আহাম্মদ। তিনি এখন নব্য কোটিপতি। কক্সবাজার সদর ঝিলংজা পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যিনি, মাত্র ১০বছর আগে চকরিয়া থেকে এখানে আসেন তোফায়েল নামে এই যুবক। তৎকালিন সময়ে কক্সবাজার এসে একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করেন তিনি। এখন বসবাস করেন ইয়ারকন্ডিশন যুক্ত কয়েক তলা আলিশান বাড়িতে। চলাফেরা যেন রাজার হালতে। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তোফায়েল এখন নব্য কোটিপতি। তবে এই কোটিপতি হওয়ার পেছনে রয়েছে বিশাল এক রহস্যজনক অধ্যায়। তার কাছে কোটিপতি হওয়ার জন্য দৃশ্যমান কোন বৈধ ব্যবসা না থাকলেও খোদ তার স্ত্রীর নামে কিছু দিন আগেও বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে জমি কিনেছে ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের। সদর উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে রয়েছে দুইটি দোকান, এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে সম্পদ কোটি কোটি টাকার । হঠাৎ করে এমন বদলে যাওয়ার রহস্যের পেছনে এলাকার সচেতন মহল দাবী করছেন তোফায়েল ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত। এই ঘটনায় নাম না প্রকাশ না করার শর্তে একব্যক্তি তোফায়লের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা করার অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানাগেছে। বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক, দুর্নীতি দমন কমিশন, র্যব৭ কক্সবাজার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কমান্ডিং অফিসার ডিজিএফআই,পুলিশ সুপার কক্সবাজার, র্যাবের মহপরিচালক বরাবরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে যখন মাদক অভিযান জোরদার হয়েছে তখন নিজেকে আড়াল করতে ওমরা করার জন্য দেশের বাইরে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নয় বলে জানান তোফায়েল আহাম্মদ। এত সম্পদের মালিক কিভাবে হয়েছে বললে তিনি উত্তর দেন তার ভাইয়ের ঠিকাদারীর ব্যবসা রয়েছে। সঠিক উত্তর দিতে না পারলেও তবে তিনি নিজেই সকল সম্পদের মালিক।
এলাকায় ভাল মানুষের আড়ালে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ব্যবসা করেছে তোফায়েল প্রশাসনেরর চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এমন কী? আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়ে অনেকটা জিরো থেকে হিরু বনে গেছে তিনি। এলাকায় কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না কালো টাকার গরমে প্রায় সময় নানা অপ্রীতিকর ঘটনা করে চলছে তিনি। ইয়াবার কালো টাকার বদলতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এখন তার নামে বে নামে কোটি কেটি টাকার সম্পদ রয়েছে। একেবারে জিরো থেকে হিরু বনে যাওয়া তোফায়েল এলাকায় এখন কোটিপতি। তার নিয়ন্ত্রণে চলছে এলাকার যত অপকর্ম। ভাল মানুষের মূখোশে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এইসব অপকর্ম করেন বলে জানান ভুক্তভোগিরা। সূত্রে জানায়, দুরন্ধর এই ইয়াবা ব্যবসায়ী কিছু দিন আগে রাজধানীতে ইয়াবাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে আটকা পড়লেও রহস্যজনক কারণে জেলে যেতে হয়নি তাকে। একদিকে দেশে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার, এর পরেও তেমে নেই ইয়াবার কাজ কারবার। নানা করণে তালিকায় নাম না আসা অসংখ্য মাদককারবারী বার বার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ী যে হউক না কেন পুলিশ কাউকে ছাড়বে না। একই কথা কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ খন্দকার ফরিদ উদ্দীনও বলেন।
0 মন্তব্যসমূহ