বিএন ডেস্কঃ
রাজধানীর আশুলিয়ায় পানির ট্যাঙ্কির দেয়াল ধসে পোশাক কর্মী সেলিনা বেগম
(৪০) ও তার শিশুপুত্র সিয়াম (৯) নিহত হয়েছেন। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন
সেলিনার ভাই টুটুল (৩০)। তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ পুলিশ আশুলিয়া থানায় নিয়ে গেছে।
আজ সোমবার ভোর সোয়া ৪টায় আশুলিয়ার বাংলাবাজার (গুমাইল) এলাকার একটি শ্রমিক কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পোশাক শ্রমিক সেলিনা বেগম গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন কামালের
পাড়া এলাকার মৃত মন্টু মিয়ার স্ত্রী। সেলিনা দুই ছেলে ও ভাইকে নিয়ে
আশুলিয়ার বাংলাবাজার এলাকার নুরুল হক পলানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত সেলিনার বড় ছেলে সেলিম বলেন, ঘটনার সময় মামা, ছোট ভাই সিয়াম ও মা
সেলিনা একই খাটে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ তাদের একচালা টিনের ওপর পানির ট্যাঙ্কির
একপাশের দেয়ার ধসে পড়ে। এতে ঘরের চাল ভেঙ্গে দেয়ালের বড় ৩/৪টি অংশ মা ও
ভাইয়ের উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।
তিনি আরো বলেন, তাদের ঘরের দেয়াল ঘেষে টয়লেট। টয়লেটের ছাদের উপরে ইট ও
বালু-সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ করে পানির ট্যাঙ্কিটি ছিল। ভোররাতে ট্যাঙ্কিটিতে
পানি তুলে ভর্তি করা হয়। ট্যাঙ্কিটিতে আনুমানিক পাঁচ হাজার লিটার পানি
ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এসময় খাটের এক কিনারে ঘুমে ছিল সে। বিকট আওয়াজে তার ঘুম
ভেঙ্গে যায়। দেখেন তার মা ও ভাই দেয়ালের চাপায় পড়ে রয়েছেন। মামা
আর্তচিৎকার করছেন। এসময় প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা এসে তাদের উদ্ধার করেন। আহত
টুটুলকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করা হয়েছে। তার
একটি হাত ভেঙ্গে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, এতবড় পানির ট্যাঙ্কি শুধুমাত্র ইট বালু ও সিমেন্ট দিয়ে
তৈরি করে কলোনীর ১০টি কক্ষের ভাড়াটিয়া ও বাজারের ২০টি কক্ষের লোকদের পানি
সাপ্লাই করা হতো। দূর্বল নির্মাণ এবং প্লান ছাড়াই ইট বালু ও সিমেন্ট দিয়ে
তৈরি ট্যাঙ্কিটি পানির লোড নিতে পারায় ধসে মর্মান্তিক এ মৃত্যু ঘটে। ঘটনায়
বাড়ির মালিকদের অবহেলা ও অপরিকল্পিত স্থাপনায় পানির ট্যাঙ্কি নির্মাণের ফলে
এমন ঘটনা ঘটে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা সেলিনা ও শিশুপুত্র সিয়ামের লাশ উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় টুটুল নামে একজনকে আহতাবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্রঃ ডি/এন
0 মন্তব্যসমূহ