বিএন ডেস্কঃ
খালেদা জিয়ার কোনো মাইল্ড স্ট্রোক হয়নি। তার রক্তের সুগার ফল করেছিল এবং চিকিৎসকরা মনে করলে কারাগারের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।
রোববার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সরকার অবগত রয়েছে। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে কি না, তা করতে আজ (রোববার) খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক সাময়িকভাবে চালু করার কথাও জানিয়েছেন।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক ঈদ পর্যন্ত খুলে দেয়া হবে। পরে এই সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার কাজ সম্পন্নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
আরো পড়ুন : খালেদা জিয়াকে দ্রুত চিকিৎসা দিন : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা না দিলে এবং তার বড় ধরণের ক্ষতি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিএনপি। একইসাথে ঈদের আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অতিদ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে দেশনেত্রীকে চিকিৎসার সুযোগ দিতে দাবি জানাচ্ছি। দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীকে দেশনেত্রীর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে রাজপথ হবে অগণিত মানুষের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত। তীব্র আন্দোলনের শপথ নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি অল্পসময়ের মধ্যেই রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া যে পড়ে গিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। আসলে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও অসুস্থতা নিয়ে কতটা অবহেলা করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল। কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে বলেই বন্দী খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অসুস্থার বিষয়ে গুরুত্বহীন থেকেছে-সেটিই প্রমাণিত হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। দেশনেত্রী কারাগারে অজ্ঞান হয়ে ৫-৭ মিনিট পড়েছিলেন, অথচ সেটি কারাকর্তৃপক্ষ জানে না, তার মানে এটাই প্রমাণিত হয়-বেগম জিয়া কারা কর্তৃপক্ষের কতখানি অবহেলার শিকার।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি কতটা অমানবিক তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে ওঠেছে। আমরা বারবার দেশনেত্রী অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তার কোনো কোনো বিষয়ে জরুরি চিকিৎসা দরকার সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আহবান জানালেও সরকার এবং কারা কর্তৃপক্ষ সব সময় এড়িয়ে চলছে, এ বিষয়ে এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা জেনে শুধু বিএনপিই নয় সারাদেশবাসীও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঘটনা শোনার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না করে বিষয়টি নিয়ে এখনো সরকার বা কারা র্কতৃপক্ষ অবগত নয় বলে যে কথা বলা হয়েছে সেটি দেশনেত্রীর অসুস্থতাকে আরো গুরুতর করে তাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুগভীর চক্রান্ত কিনা তা নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
রিজভী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে টালবাহানারই নামান্তর। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও এখনো তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিজি হাসপাতালের কথা বলছেন। দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেশনেত্রীর যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষার সুপারিশ করেছেন সেগুলো পিজিতে সম্ভব নয়। আধুনিক যন্ত্রপাতির সকল ব্যবস্থা ইউনাটেড হাসপাতালে রয়েছে। অতীতেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীসহ অনেক নেতাকে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দ মতো চিকিৎসা করতে না দেওয়া একজন বন্দীর প্রতি চরম মানবধিকার লঙ্ঘন নয় কী?
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ শেষে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা বেদনাদায়ক। তারা বলেছেন, ৫ই জুন দেশনেত্রী দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ৫-৭ মিনিট তিনি অজ্ঞান ছিলেন। বর্তমানে তার যে শারীরিক অবস্থা তাতে দ্রুত চিকিৎসা না দিলে তার বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা বারবার তার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছি। চিকিৎসকরাও সুচিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেই, কোনো প্রতিকার নেই। সরকারের এহেন নিমর্ম আচরণের আমরা ধিক্কার জানাই।
রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার একটি মূলত একটি নকল সরকার। নকল কখনো আসলের সমান হতে পারে না। তাই তারা আসল কাজ, ভাল কাজ, মানবিক কাজ করতে পারে না। অসুস্থ, সাজানো মামলায় বন্দী দেশনেত্রীকে নিয়ে তাদের অনঢ়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতা আরও বেশী মাত্রায় স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যেসব সুপারিশ করছেন এমনকি আগেও সরকারি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছিলেন সেগুলোও বাস্তবায়ন করা হয়নি। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা না দিলে তার বড় ধরণের ক্ষতি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বার্থান্ধতা, ঔদ্ধত্য, অসহিষ্ণুতা, সন্ত্রাস ও আকন্ঠ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ আর অলস বসে থাকবে না। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই-দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে যে নির্মমতা প্রদর্শন করা হচ্ছে তাতে ক্ষমতাসীনদের জন্য রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় হয়ে উঠবে না। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণকে আর কাবু করা যাবে না। দিল্লীর আয়নায় বিশ্বকে দেখতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ প্রতিবেশীর পদতলে ঠেলে দিয়ে সরকার নিজেকে নির্ভার মনে করলেও কোনো লাভ হবে না। নিজ দেশবাসীর অধিকারকে বিপন্ন করে জনগণের স্বার্থ যারা বিকিয়ে দেয় তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ ডি/এন
খালেদা জিয়ার কোনো মাইল্ড স্ট্রোক হয়নি। তার রক্তের সুগার ফল করেছিল এবং চিকিৎসকরা মনে করলে কারাগারের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।
রোববার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সরকার অবগত রয়েছে। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে কি না, তা করতে আজ (রোববার) খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক সাময়িকভাবে চালু করার কথাও জানিয়েছেন।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক ঈদ পর্যন্ত খুলে দেয়া হবে। পরে এই সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার কাজ সম্পন্নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
আরো পড়ুন : খালেদা জিয়াকে দ্রুত চিকিৎসা দিন : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা না দিলে এবং তার বড় ধরণের ক্ষতি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিএনপি। একইসাথে ঈদের আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অতিদ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে দেশনেত্রীকে চিকিৎসার সুযোগ দিতে দাবি জানাচ্ছি। দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীকে দেশনেত্রীর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে রাজপথ হবে অগণিত মানুষের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত। তীব্র আন্দোলনের শপথ নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি অল্পসময়ের মধ্যেই রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া যে পড়ে গিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। আসলে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও অসুস্থতা নিয়ে কতটা অবহেলা করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল। কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে বলেই বন্দী খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অসুস্থার বিষয়ে গুরুত্বহীন থেকেছে-সেটিই প্রমাণিত হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। দেশনেত্রী কারাগারে অজ্ঞান হয়ে ৫-৭ মিনিট পড়েছিলেন, অথচ সেটি কারাকর্তৃপক্ষ জানে না, তার মানে এটাই প্রমাণিত হয়-বেগম জিয়া কারা কর্তৃপক্ষের কতখানি অবহেলার শিকার।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি কতটা অমানবিক তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে ওঠেছে। আমরা বারবার দেশনেত্রী অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তার কোনো কোনো বিষয়ে জরুরি চিকিৎসা দরকার সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আহবান জানালেও সরকার এবং কারা কর্তৃপক্ষ সব সময় এড়িয়ে চলছে, এ বিষয়ে এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা জেনে শুধু বিএনপিই নয় সারাদেশবাসীও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঘটনা শোনার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না করে বিষয়টি নিয়ে এখনো সরকার বা কারা র্কতৃপক্ষ অবগত নয় বলে যে কথা বলা হয়েছে সেটি দেশনেত্রীর অসুস্থতাকে আরো গুরুতর করে তাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুগভীর চক্রান্ত কিনা তা নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
রিজভী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে টালবাহানারই নামান্তর। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও এখনো তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিজি হাসপাতালের কথা বলছেন। দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেশনেত্রীর যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষার সুপারিশ করেছেন সেগুলো পিজিতে সম্ভব নয়। আধুনিক যন্ত্রপাতির সকল ব্যবস্থা ইউনাটেড হাসপাতালে রয়েছে। অতীতেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীসহ অনেক নেতাকে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দ মতো চিকিৎসা করতে না দেওয়া একজন বন্দীর প্রতি চরম মানবধিকার লঙ্ঘন নয় কী?
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ শেষে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা বেদনাদায়ক। তারা বলেছেন, ৫ই জুন দেশনেত্রী দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ৫-৭ মিনিট তিনি অজ্ঞান ছিলেন। বর্তমানে তার যে শারীরিক অবস্থা তাতে দ্রুত চিকিৎসা না দিলে তার বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা বারবার তার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছি। চিকিৎসকরাও সুচিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেই, কোনো প্রতিকার নেই। সরকারের এহেন নিমর্ম আচরণের আমরা ধিক্কার জানাই।
রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার একটি মূলত একটি নকল সরকার। নকল কখনো আসলের সমান হতে পারে না। তাই তারা আসল কাজ, ভাল কাজ, মানবিক কাজ করতে পারে না। অসুস্থ, সাজানো মামলায় বন্দী দেশনেত্রীকে নিয়ে তাদের অনঢ়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতা আরও বেশী মাত্রায় স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যেসব সুপারিশ করছেন এমনকি আগেও সরকারি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছিলেন সেগুলোও বাস্তবায়ন করা হয়নি। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা না দিলে তার বড় ধরণের ক্ষতি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বার্থান্ধতা, ঔদ্ধত্য, অসহিষ্ণুতা, সন্ত্রাস ও আকন্ঠ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ আর অলস বসে থাকবে না। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই-দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও চিকিৎসা নিয়ে যে নির্মমতা প্রদর্শন করা হচ্ছে তাতে ক্ষমতাসীনদের জন্য রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় হয়ে উঠবে না। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণকে আর কাবু করা যাবে না। দিল্লীর আয়নায় বিশ্বকে দেখতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ প্রতিবেশীর পদতলে ঠেলে দিয়ে সরকার নিজেকে নির্ভার মনে করলেও কোনো লাভ হবে না। নিজ দেশবাসীর অধিকারকে বিপন্ন করে জনগণের স্বার্থ যারা বিকিয়ে দেয় তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ ডি/এন
0 মন্তব্যসমূহ