বৃষ্টিতে হাঁটু পানি বাঁশখালী পৌর এলাকায়

বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালী পৌরসভায় (জলদী) এলাকার ৪টি খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় ও পাহাড়ের ছরা বন্ধ করে মাছ চাষ করার ফলে গত শনি ও রবিবারের সামান্য বৃষ্টিতে বিভিন্ন পাড়ার সড়কে হাটু পরিমাণ পানি চলাচল করছে। কোন কোন পাড়ায় বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভায় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। ২০০২ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার হিরিক পড়ে যায়। জনসংখ্যার দিক দিয়ে দিন দিন বাড়তে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় খাল-নালা ভরাট করে দিনের পর দিন অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে থাকে। বাঁশখালী পৌরসভায় উত্তর জলদী ছরা, দক্ষিণ জলদী ছরা, পাইরাং ছরা, শীলকূপ ছরা ভরাট হওয়ার কারণে বিভিন্ন পাড়ার বসত বাড়ীতে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে পূর্ব জলদী পাহাড়ি এলাকায় ডেপুটি ঘোনা এলাকায় বন বিভাগের জায়গা উত্তর জলদী ছরার ওপর বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাহার উল্লাহ্ পাড়া, কেবল কৃষ্ণ মহাজন পাড়া, চুড়ামনি পাড়া, আস্কারিয়া পাড়া কিছু অংশ, রংগিয়াঘোনা ও পশ্চিম জলদী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা মাছ বাজার ও আদালত ভবনের সামনে ছরা ভেঙ্গে হাটু পরিমাণ পানি চলাচল করছে। দক্ষিণ জলদী আস্কারিয়া সড়ক ও ফরেষ্ট রোড় পানিতে বিভিন্ন অংশ তলিয়ে যায়।
পৌরসভার লোকজন জানান, প্রবাসীরা পৌরসভায় এসে জায়গা ক্রয় করে যেনতেনভাবে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে। এই সমস্ত পাকা ভবন তৈরিতে পৌরসভার স্থাপনা আইনের নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। এতে সামান্য বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে পৌরসভার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। এজন্য ভবনের নকশা অনুমোদনকারীকে দায়ী করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাহার উল্লার পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মেয়র, মহিলা কাউন্সিলর, কাউন্সিলর একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও এই ওয়ার্ডের দুরগতি যাচ্ছে না। প্রধান সড়কের পাশে পানি চলাচলের জন্য এক সময় নালা তৈরি করা হলেও পরে তা পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিকরা নালাটি ভরাট করে ফেলেছে।
বাঁশখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন বলেন, পৌরসভা এলাকার ছরা-নালাগুলি সংস্কার করা হলে কিছুটা দুর্ভোগ কমবে। পানি নিষ্কাশনের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকা করে স্থাপনাগুলো দেখতে হবে।
\দৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ