বিএন ডেস্কঃ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর মাত্র তিন
দিন বাকি। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে পাশাপাশি নির্বাচনী উত্তাপ বেড়েই চলছে। সেই
সঙ্গে বাড়ছে প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের ব্যস্ততা ও অস্থিরতা। নির্বাচনে
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি
মনোনীত মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে ১৪ দল ও ২০ দলীয় জোটের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয়
নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। গতকাল তারা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে
ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সকাল হতে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের
দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
বিএনপি : ২০ দলীয় ঐক্যজোট মেয়রপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার
শুক্রবার নগরীর বাসন ও টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ দিন বিএনপিসহ জোট
নেতারা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে তাদের প্রার্থী
আলহাজ হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে কর্মব্যস্ত দিন
কাটিয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ধানের শীষের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী
ড. মাজহারুল আলম জানান, ধানের শীষের প্রাথী হাসান উদ্দিন সরকার সকাল ৯টায়
বাসন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোগরখালে পথসভার মাধ্যমে তার শুক্রবারের নির্বাচনী
প্রচারণা শুরু করেন। পরে তিনি নগরীর যোগীতলা, চান্দনা মোশারফ স্কুল এলাকায়
প্রচার কাজ করেন।
মাঝে জুমার বিরতি নিয়ে তিনি টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদে জুমার নামাজ
আদায় করেন এবং মুসল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তিনি মুসল্লিদের কাছে
দোয়া চান। তিনি পর্যায়ক্রমে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের যোগীতলা নতুন বাজার, চান্দনা
মোশারফের স্কুল (দক্ষিণপাড়া), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ীয়ালী নগপাড়া মণ্ডল
বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীম উদ্দিন মার্কেট, ১৩ নম্বর
ওয়ার্ডের ইটাহাটা রাস্তার মাথা, হক মার্কেট ও কাউন্সিলর ফয়সাল সরকারের অফিস
প্রাঙ্গণে পথসভা করেন।
পথসভায় বক্তৃতায় হাসান সরকার বলেন, এটি সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়,
এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তাই জনগণের রায়কে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ
নেই। কাজেই গণগ্রেফতার বন্ধ করে ভোটের পরিবেশ বিভিন্ন করার জন্য তিনি সরকার
ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান।
শুক্রবার হাসান সরকারের সাথে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গাসিক
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন,
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মীর মো: নাসির উদ্দিন, গাজীপুর জেলা বিএনপির
সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন,
সদস্যসচিব কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয়
কমিটির সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম
সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা সুরুজ্জামান, বশির আহমেদ বাচ্চু,
ছাত্রনেতা মনির হোসেন, আতাউর রহমান, জিয়া পরিষদ নেতা আসাদুজ্জামান সোহেল,
কাপাসিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল খলিল, সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন
সেলিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল
ইসলামসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন।
এ ছাড়াও সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় ৫৭টি নির্ধারিত
টিম গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। এদের মধ্যে ৩১ নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন
যুবদল সাবেক সভাপতি রবার্ট পি কস্তা। নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডে প্রচারকাজ করেন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেস কাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ।
নগরীর ৪০ ও ৪২নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও
পেশাজীবী নেতা ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সাথে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয়
কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বেগম জাহানারা, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক
অর্পণা রায়, জিয়া ব্রিগেড সভাপতি আবুল হোসেন, পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার
ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, স্থানীয়
বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, সোলায়মান, হাজী রফিক প্রমুখ। ২৩ নং ওয়ার্ডে
প্রচারকাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ
সেলিম ভূঁইয়া, বাকশিস গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জাকির
হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। নগরীর ৫ নং
ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা: ফরহাদ
হালিম ডোনার। নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডে প্রচারকাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয়
সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। ২৭ নং ওয়ার্ডে
প্রচারকাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। নগরীর ২৪
নং ওয়ার্ডে প্রচারকাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ২৮ ওয়ার্ডে প্রচারকাজ
করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয়
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক
কাজী মাহবুবুল হক গোলাপ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান
এলিস, এম এইচ রহমান হাফিজ প্রমুখ। নগরীর ১ নং ওয়ার্ডে প্রচারকাজ করেন
বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, তার সাথে ছিলেন বিএনপি
নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দ দাস অপু, নির্বাহী সদস্য
দেবাষীশ রায় মধু। ৩২ নং ওয়ার্ডে প্রচারকাজ করেন সেলিম রেজা হাবিব,
ছাত্রদলের আনিছুর রহমান, তালুকদার খোকন প্রমুখ। নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ডে
প্রচারকাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির
সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ। নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডে প্রচারকাজ করেন
বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
আওয়ামী লীগ : ১৪ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী (নৌকা) মো:
জাহাঙ্গীর আলম শুক্রবার নিজ বাসভবনের সামনের উঠানে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি
এবং শতাধিক সাথী ভাইদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে গণসংযোগ শুরু করেন।
মতবিনিময়ে জাহাঙ্গীর আলেম-ওলামাদের দোয়া নেন এবং সবাইকে নিয়ে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার লক্ষ্যে ২৬ জুন নির্বাচনে সহযোগিতা এবং ভোট চান। তাবলীগের মুরব্বি মোনাজাতে জাহাঙ্গীরের সাফল্য প্রত্যাশা করে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
মতবিনিময়ে জাহাঙ্গীর আলেম-ওলামাদের দোয়া নেন এবং সবাইকে নিয়ে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার লক্ষ্যে ২৬ জুন নির্বাচনে সহযোগিতা এবং ভোট চান। তাবলীগের মুরব্বি মোনাজাতে জাহাঙ্গীরের সাফল্য প্রত্যাশা করে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
পরে দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম মহানগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড
কলাবাগানে পথসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন। পরে ২০ নম্বর মজলিশপুর, ২২ এ
বাংলাবাজার, ২১ এ বিপ্রবর্থা, ২৩ খালপাড়া পথসভায় ভোটারদের সহযোগিতা ও ভোট
চান। চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। বেলা
৩টায় বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ফটকের সামনে পথসভার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা
প্রচারণা শুরু করেন। পরে ১৬ এ আক্তার মার্কেট ১৮ তে টিঅ্যান্ডটি রোড, শাপলা
মেনশন ও অনুপম সুপার মার্কেটে পথসভার মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করেন। মাঝে
টঙ্গীতে মহানগর আওয়ামী লীগে যৌথসভায় যোগ দেন।
চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ আঙিনায় মুসল্লিদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহানগরীর মসজিদের খতিব, কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও তাবলীগ জামাতে মুরব্বিরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাকে নৌকা মার্কায় সমর্থন দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমাকে ভোট দেন নৌকাকে ভোট দেন। আমি কিন ও গ্রিন সিটি উপহার দিতে চাই। সবাইকে একটি বাসযোগ্য শহর দিতে চাই।’
চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ আঙিনায় মুসল্লিদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহানগরীর মসজিদের খতিব, কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও তাবলীগ জামাতে মুরব্বিরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাকে নৌকা মার্কায় সমর্থন দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমাকে ভোট দেন নৌকাকে ভোট দেন। আমি কিন ও গ্রিন সিটি উপহার দিতে চাই। সবাইকে একটি বাসযোগ্য শহর দিতে চাই।’
পথসভায় জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, এখানকার সমাজব্যবস্থায় সব
শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজন আছে। আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই।
আলেম-ওলামা, স্কুল-কলেজম, বিশ^বিদ্যায়ের শিক্ষক, চাকুরীজীবি, শ্রমিক,
সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক, কৃষক, নারী, যুবক, শিশু সবার উপযোগী একটি
প্যাকেজ তৈরি করেছি। আমাকে ভোট দেন। আমি আপনাদের সাথে নিয়ে একটি পরিকল্পিত
শহর গড়ে তুলব।’
প্রচারণায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল থেকে প্রার্থীর সাথে পথসভা ও গণসংযোগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতা ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সকালে টঙ্গীতে এবং চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর প্রচারণা চালান। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন বোখারী মহানগরীর ৪০ ও ৪১ নং পুবাইল এলাকায় গণসংযোগ করেন। টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলা চেয়ারম্যান মাজহুরুল ইসলাম তালুকদার টঙ্গীতে প্রচারণা চালিয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল থেকে প্রার্থীর সাথে পথসভা ও গণসংযোগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতা ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সকালে টঙ্গীতে এবং চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর প্রচারণা চালান। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন বোখারী মহানগরীর ৪০ ও ৪১ নং পুবাইল এলাকায় গণসংযোগ করেন। টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলা চেয়ারম্যান মাজহুরুল ইসলাম তালুকদার টঙ্গীতে প্রচারণা চালিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাদের একসঙ্গে প্রচারণা
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ফজলুল হক মিলন ও উভয় দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ একসাথে গাজীপুর জেলা শহরে একই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজের আগে তারা মুসল্লিদের সালাম দেন এবং নিজ দলের প্রার্থীদের জন্য দোয়া ও ভোট চান। নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে নেতৃবৃন্দ হাতে হাত ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করে একসাথে ক্যামেরাবন্দী হন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ফজলুল হক মিলন ও উভয় দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ একসাথে গাজীপুর জেলা শহরে একই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজের আগে তারা মুসল্লিদের সালাম দেন এবং নিজ দলের প্রার্থীদের জন্য দোয়া ও ভোট চান। নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে নেতৃবৃন্দ হাতে হাত ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করে একসাথে ক্যামেরাবন্দী হন।
নওফেল বলেন, এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ প্রমাণ করে বর্তমান সরকার একটি
নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।
গাজীপুরে একটি চমৎকার ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রয়েছে।
নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের হাতেহাত ধরে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়ের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভোটারগণ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের হাতেহাত ধরে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়ের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভোটারগণ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুহা: নাসির
উদ্দিন শুক্রবার সালনা বাজার এবং ২৩ নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ
করেন। এ সময় তিন বলেন, নগরবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে চাই। তাদের
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যেতে চাই। গাজীপুর সিটিতে বিদ্যমান
জনদুর্ভোগ, অপরিচ্ছন্নতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা দূর করতে কাজ করতে
চাই। গাজীপুরবাসী আমাকে সৎ, আমানতদ্বার সেবক হিসেবে সিটির উন্নয়নে সব সময়
তাদের পাশে পাবে।
সালনা বাজার এবং ২৩ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ শেষে তিনি চান্দনা চৌরাস্তা জামে
মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। একই মসজিদে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী
মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও নামাজ আদায় করেন।
প্রিন্সিপাল নাসির উদ্দিন বলেন, গাজীপুর সিটির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।
এরপর বিকেলে তিনি শহর শাখার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টীম জয়দেবপুরে গণসংযোগ করেন এবং ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মোজাহিদের নেতৃত্বে যুব আন্দোলনের একটি টিম কাশিমপুর সাংগঠনিক শাখায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।
এরপর বিকেলে তিনি শহর শাখার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টীম জয়দেবপুরে গণসংযোগ করেন এবং ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মোজাহিদের নেতৃত্বে যুব আন্দোলনের একটি টিম কাশিমপুর সাংগঠনিক শাখায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।
গাজীপুরে খুলনার মেয়র খালেক : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পে প্রচারণা চালিয়েছেন খুলনা সিটির নতুন
মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। শুক্রবার সকালে ছয়দানার এলাকায় জাহাঙ্গীরের
বাসা থেকে বের হয়ে তার সাথে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন দণি-পশ্চিমাঞ্চলের
নেতা তালুকদার খালেক।
গণসংযোগে অংশ নিয়ে খুলনার মেয়র তালুকদার খালেক আওয়ামী লীগের উন্নয়নের পে
ভোট দিতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ২২, ২৩ ও ২৪ জুন রাত ১২টা
পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন প্রচার চালানোর জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আহ্বান
জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণসংযোগের পর যে সময়টুকু আছে, সেই সময়ে আমাদের
নেতাকর্মী যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করছি আপনারা সবাই মানুষের বাড়ি বাড়ি
যাবেন, ভোটারদের কাছে যাবেন। প্রার্থী সম্পর্কে এবং গাজীপুর সিটি নির্বাচনে
আমরা কী চাই, তা তাদের বোঝাবেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলীম উদ্দিন বুদ্দিন, আব্দুল
শামীম হাদী, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
প্রার্থী খোরশেদ আলম প্রমুখ।
নিরাপত্তাব্যবস্থা : এ দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে। আর তিনটি ওয়ার্ড মিলে থাকছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশ, র্যাব আর আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মিলে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। অনাকাক্সিত পরিস্থিতি এড়াতে জোরদার করা হয়েছে প্রার্থীদের নিরাপত্তাব্যবস্থাও। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো মহল প্রশ্ন তুলতে না পারে এ জন্যই এমন কড়া নিরাপত্তা থাকছে বলে নির্বাচন কমিশন বলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুরো গাজীপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নির্বাচন-পরবর্তী সময়েও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিরাপত্তাব্যবস্থা : এ দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে। আর তিনটি ওয়ার্ড মিলে থাকছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিজিবি, পুলিশ, র্যাব আর আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মিলে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। অনাকাক্সিত পরিস্থিতি এড়াতে জোরদার করা হয়েছে প্রার্থীদের নিরাপত্তাব্যবস্থাও। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো মহল প্রশ্ন তুলতে না পারে এ জন্যই এমন কড়া নিরাপত্তা থাকছে বলে নির্বাচন কমিশন বলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুরো গাজীপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। নির্বাচন-পরবর্তী সময়েও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: তারিফুজ্জামান বলেন, আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আগামী ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা
থেকে সব ধরনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা
হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক)
আলহাজ অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয়
জোটের (ধানের শীষ) হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে। তাদের ছাড়াও মেয়র
প্রার্থীর তালিকায় আরও পাঁচ প্রার্থীর নাম রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে
ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করে
যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা
চষে বেড়াচ্ছেন। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের তরফ থেকে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের
দাবি করা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সেনা বাহিনী
মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন হবে না।
মোট ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠিত। ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭
হাজার ৭৩৬ জন। পুরুষ ও নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। ভোটকেন্দ্র
৪২৫টি। যার মধ্যে ৩৩৭টি গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ, যানবাহন যাতায়াতের সুবিধা-
অসুবিধা, আলোকিত রাখার ব্যবস্থা, স্থানীয় প্রভাবসহ নানা বিষয়কে বিবেচনায়
এসব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বলছে নির্বাচন কমিশন। আবার অনেকেই এসব
কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা একেবারেই
ভিত্তিহীন। অন্য ৮৮টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র।
গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, গাজীপুরের সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে। নির্বাচনের আগে ও
পরে মোট চার দিনে (২৪ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত) মোট ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন
(প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া
আরও ১০ জন অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব
পালন করবেন।
আর একই সময়ের জন্য প্রতি তিনটি ওয়ার্ড মিলে একজন করে মোট ১৯ জন বিচারিক
ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। সিটি নির্বাচনে এবার স্মরণকালের সর্বোচ্চ
নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন
নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি, পুলিশ, আনসার
ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে
গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৭টির প্রতিটিতে আনসার ও পুলিশ ২৪ জন করে এবং ৮৮টি সাধারণ
কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য ওই সংখ্যা হবে ২২ জন। সর্বমোট ১০ হাজার পুলিশ ও
আনসার মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া র্যাবের ৫৭টি ওয়ার্ডের ৫৭টি টিম এবং একটি
রিজার্ভ টিম থাকবে। যার প্রতিটি টিমে সদস্য সংখ্যা থাকবে ১০ জন করে। প্রতি
তিনটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১৯ প্লাটুন বিজিবি থাকবে, প্রতি প্লাটুনে
২০ জন করে বিজিবি সদস্য থাকবেন। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা এসব আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর ৪২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা, র্যাবের ৫৮ জন মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং
ফোর্স টিমের ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী
এলাকায় পেট্রোল, মোবাইল পার্টিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল টিম থাকবে।
রাসেল শেখ আরও জানান, চলতি বছরের ৩১ মার্চ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর
থেকেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,
মাদক কারবারিসহ অপরাধীদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। সেই অভিযানে
গ্রেফতার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি অপরাধী। এদের মধ্যে এক হাজারের বেশি মাদক
কারবারি। দুইজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। সেই
অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।
যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : ২৫ জুন দিবগত রাত ১২টা থেকে ২৬ জুন দিবাগত
রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাব, ব্যাবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস,
জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো ইত্যাদির ওপর বিধিনিষেধ আরওপ করা
হয়েছে।
মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৭ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরওপ করা হয়েছে।
মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৭ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরওপ করা হয়েছে।
বহিরাগতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা- বহিরাগতদের জন্য এলাকার বাসিন্দা নয় বা
ভোটার নয় তাদের ২৩ জুন দিবাগত রাত ১২টার আগেই নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে
হবে।
বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও নিষিদ্ধকরণ : গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯
জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সব আগ্নেয়াস্ত্র মালিকদের অস্ত্র বহন অথবা
অস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরওপ করেছেন জেলা প্রশাসক।
নির্বাচনী প্রচারণা নিষেধাজ্ঞা : আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ বজায় রাখতে ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৮ জুন দিবাগত মধ্য রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী জনসভা আহ্বান, কোনো অনুষ্ঠান, যোগদান, বা মিছিল বা কোনো শোভাযাত্রা সংগঠিত করতে পারবে না।
নির্বাচনী প্রচারণা নিষেধাজ্ঞা : আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ বজায় রাখতে ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৮ জুন দিবাগত মধ্য রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী জনসভা আহ্বান, কোনো অনুষ্ঠান, যোগদান, বা মিছিল বা কোনো শোভাযাত্রা সংগঠিত করতে পারবে না।
গুজবরোধে নজরদারি : এ ছাড়াও ভোট গ্রহণের দিন বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ কক্ষের
সমন্বয় সাধন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, জঙ্গি তৎপরতার গুজব রটানোরোধে
গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ