বিএন ডেস্কঃ
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। আজ
শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দুই
মেয়াদে নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের প্রসঙ্গটিও
সামনে আনেন।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে মার্ক ফিল্ড বলেন,
লন্ডনে বিএনপি প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থে দলটিও
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। যেখানে সব দল ভূমিকা রাখবে। যুক্তরাজ্যে
বসবাসরত বাংলাদেশিদের এখানকার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
তিনি মনে করেন, নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হবে তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে।
দুপুরের দিকে যুক্তরাজ্য হাইকমিশনারের বাসায় রোহিঙ্গা ইস্যুকে প্রাধান্য
দিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে বাংলাদেশের জাতীয় ও সদ্য সমাপ্ত সিটি
করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে মার্ক ফিল্ড বলেন,
লন্ডনে বিএনপি প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থে দলটিও
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। ওই আলোচনায় বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন
অনুযায়ী পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিলের প্রসঙ্গটি
এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের
মানবিক সংকট তৈরি করেছে। একদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়া এবং
অন্যদিকে তাদের উপর নির্যাতনকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাজ্যে
চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেন মার্ক ফিল্ড।
শনিবার ঢাকা আসছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ শনিবার দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। একই সময়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন ইয়ং কিমেরও ঢাকা আসার কথা রয়েছে। তারা দু’জনই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ শনিবার দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। একই সময়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন ইয়ং কিমেরও ঢাকা আসার কথা রয়েছে। তারা দু’জনই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের দায়িত্ব নেয়ার পর অ্যান্তোনিও গুতেরেজের এটিই প্রথম
বাংলাদেশ সফর। এক সময় তিনি জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর
প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউএনএইচসিআরের প্রধান থাকাকালে ২০০৮ সালে
একবার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুতেরেজ
আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন ইয়ং কিম দায়িত্ব নেয়ার পর
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আসছেন। গত বছর জুনে দারিদ্র্য বিমোচনে
বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে তিনি ঢাকা এসেছিলেন। এবারের সফরে কিম
রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের বড় অঙ্কের সহায়তা ঘোষণা করতে পারেন।
বাংলাদেশ সফরকালে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সাথে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এবং অর্থমন্ত্রীর সাথে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট
বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ ডি/এন
0 মন্তব্যসমূহ