বি,এন ডেস্কঃ
আইন আদালত বেশির ভাগ সময় আমার আস্থা অর্জন করতে পারে না। আইন আদালতকে বেশির ভাগ সময়ই আমি অন্ধ দেখি। দেখি ক্ষমতা আর অর্থের জোরে বেশির ভাগ সময় ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইতে।
তারপরেও আমি আস্থা হারাই না। তারপরেও আমি বিশ্বাস করি আইন আদালতের মাধ্যমেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বারবার সেই বিশ্বাস আমার ভাঙে।
তারপরেও আমার মুখ দিয়া বাইর হয় না, আইন আদালতের প্রতি আমার আস্থা নাই। প্রয়োজনে আমি দাঁতে দাঁত কামড়াইয়া থাকি। ক্ষুব্ধ হইয়া গালাগালি করি। কিন্তু আইন আদালতের প্রতি আস্থা হারাইতে ইচ্ছা করে না।
দেশটাতো আমারই। ন্যায় বিচারের জন্য আইন আদালতের উপর আস্থা না রাখিলে আস্থা রাখিবো কার উপর?
এই যাবত বিচার বহির্ভূত ভাবে যতো ক্রসফায়ার করা হয়েছে তার সবগুলাই আমার কাছে পরিকল্পিত খুন। কিন্তু কথিত এই ক্রসফায়ার নামক পরিকল্পিত একটা খুনেরও বিচার হয় নাই। তারপরেও আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়, আইন আদালত একদিন বিচার করবে। কিন্তু সেই একদিন কবে তা অবশ্য আমি জানি না!
জাতির পিতা হত্যার বিচার হবে একটা সময় কেউই বিশ্বাস করতো না কিন্তু হয়েছে। ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এটাও কেউ বিশ্বাস করতো না কিন্তু বিচার হয়েছে।
আমি আমার আশেপাশের মানুষদের কাছে প্রায় শুনি, এই দেশে ন্যায় বিচার নাই। সুযোগ পাইলে এই দেশ ছাইড়া চলে যাইতাম। দেশ স্বাধীন হইয়া কি লাভ হইলো! পাকিস্থান আছিলো দেশ ভালাই আছিলো! দেশ স্বাধীন হওয়ার পর খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ঘুষ আর দুর্নীতি বাড়ছে।
আমার মেজাজ মূহুর্তেই বিগড়াইয়া যায়। মাদারিচোদ চুদানিরপোয়া কইয়া গালি দিই। কারণ তারা কৌশলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা করছে।
কারণ তারা দেশটাকে নিজের মনে করে না। নিজের মা যদি বেশ্যা হয় কারো সন্তান কি বলতে পারে কখনো আমার মা খারাপ?
দেশটাতো আমাদের মা'-ই। কিন্তু ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির এবং তাদের আকিদার সকলেই দেশকে নিয়ে আপত্তিকর আপমানজনক মন্তব্য করে এবং যেকোন সুযোগে তারা দেশ ছাড়ার কথা বলে। যে সন্তান মা'কে ফেলে চলে যায় কিংবা যেতে চায় সেতো নষ্টবীর্য!
রক্তে আমার জাতির পিতা শেখ মুজিব। মগজে আমার ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা। বুকে আমার বাঙলাদেশ। কন্ঠে আমার জয় বাঙলা।- তাই বোধহয় আমি অন্যদের মতন শতশত বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরেও দেশের আইন আদালত কিংবা দেশের উপর থেকে আস্থা হারাই না।
0 মন্তব্যসমূহ