ডেস্ক রিপোর্টঃ কালামিয়া বাহিনীর নানান অপরাধ কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ বাঁশখালীর মানুষ।তাদের অপকর্মের শেষ নেই।সম্প্রতি এই বাহিনী বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নীরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও অস্ত্রের মাধ্যমে ফাঁসায়। এরই ধারাবাহিকতায় অগ্রযাত্রা'র বাঁশখালী প্রতিনিধিকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে এই বাহিনী। জাতীয় সাপ্তাহিক গবেষণামূলক পত্রিকা সাপ্তাহিক অগ্রাযাত্রা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটিজি সংবাদ.কম এ "বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের শত্রু ওরা ১০ জন" ও "বাঁশখালীতে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের নামের প্রতারণার ব্যবসা" শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কালামিয়া বাহিনী বাঁশখালীর সাংবাদিক মোঃ বেলাল উদ্দিনকে গাছ কাটার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, "স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের ডেকসীর কথা বলে কালামিয়া বাহিনী বিত্তশালী মানুষকে টার্গেট করে এলাকায় এনে প্রচন্ড মারধর করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে।শুধু তাই নয়,ছনুয়া উপকূলের লবণচাষীরাও নিরাপদ নয় এদের কাছ থেকে।চাঁদা দাবি করে আদায় না হলে লবণচাষীদের পলিথিন কেটে ফেলে।তিনি আরো বলেন,"এ ব্যাপারে আমি প্রতিবাদ করলে এই বাহিনীর সদস্য আবদুল গফুর তার এই(01837887383) নাম্বার থেকে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।তার লাগাতার হুমকিতে আমি এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হই।যার কারণে আমি ২৩/০৩/২০১৮ তারিখ থেকে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করেছি।তাদের হুমকি ও হয়রানিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমার মত ছনুয়ার অনেক নীরিহ মানুষ।"
এ বিষয়ে সাংবাদিক বেলাল বলেন, "সম্প্রতি কালামিয়া বাহিনী তাদের প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।এতে প্রতিপক্ষের উপর প্রচন্ড গুলি বর্ষণ করে কালামিয়া বাহিনীর সদস্যরা।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালামিয়া বাহিনী প্রতিপক্ষের শতাধিক ম্যালেরিয়া গাছ কেটে ফেলে।তারা প্রতিপক্ষের গাছ কেটে আবার তাদেরকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির চেষ্টা করে।এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও;তারা মিথ্যা মামলা করতে ব্যর্থ হয়। কারণ, তারা উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেনি। সর্বশেষ গত ৬জুন বুধবার স্থানীয় এক রাজনীতিবিদের তদবীরে থানায় মামলা করতে সক্ষম হয়।এতে আমাকেও আসামী করা হয়েছে। অথচ ২৩শে মার্চ থেকে আমি চট্টগ্রাম শহরে বন্ধুর বাসায় অবস্থান করেছি। এমনকি সংঘর্ষের সময়ও আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
"কালামিয়া বাহিনীর সাথে তার(সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন) পরিবারের পূর্বশত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,"আমার পরিবারের তাদের কোন ধরনের শত্রুতা নেই।এলাকার নীরিহ মানুষ তাদের অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।প্রতিনিয়ত নানান অজুহাতে তারা এলাকার মানুষ অত্যাচার করে।সচেতন কলম সৈনিক হিসেবে,কালামিয়া বাহিনী কর্তৃক বাঁশখালীর মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ার কথা আমি পত্রিকায় তুলে ধরি।মূলত পত্রিকায় তাদের অপকর্মের ব্যাপারে তুলে ধরার কারণে আমার বিরুদ্ধে গাছ কাটা মামলার আসামী করেছে।অথচ আমি ২৩শে মার্চ থেকে শহরে বন্ধুর বাসায় আছি ঘটনার দিনও আমি বাঁশখালীতে ছিলাম না।"
এদিকে এলাকার নীরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর কারণে ছনুয়ার সামাজিক রীতিনীতি বিষাদময় হয়ে ওঠেছে।নীরিহ মানুষকে মামলায় হয়রানির মিশন নিয়ে মাঠে নামা কালামিয়া বাহিনীর অত্যাচারে ছনুয়ার আইনশৃংখলার অবনতি ঘটছে প্রতিনিয়ত।স্বয়ং এলাকার চেয়ারম্যান পর্যন্ত তাদের কাছে অসহায়।এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছনুয়া স্বাম্বলী পাড়া এলাকার এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদকে বলেন,"এই বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যের নামে বাঁশখালী থানায় অর্ধ শতাধিক মামলা রয়েছে।এত মামলা থাকার পরও তারা এলাকায় দাফিয়ে বেড়াচ্ছে।তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আমরা অসহায় এই বাহিনীর কাছে।প্লিজ সাহেব,আমার নাম প্রকাশ করবেন না।আমার নাম প্রকাশ করলে তারা আমাকে গুলি করে মারবে।"
তাদের বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও;তারা কেমনে থানায় গিয়ে নীরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারে?এমন প্রশ্ন জনমনে।এনিয়ে এলাকার সর্বমহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছনুয়া সোলতান সিকদার পাড়া এলাকার এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন,"আইনের লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতেছি।কালামিয়া বাহিনীর সকল সদস্যদের আইনের আওতায় এনে ক্রসফায়ার দেওয়া হোক।তাদের অস্ত্র সরঞ্জাম উদ্ধার করা হোক।আপনারা তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করুন।বর্তমান সরকার অপরাধ দমনে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আপনারা যদি এদের আইনের আওতায় না আনেন,তাহলে সরকারের এই কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হবে।"
অভিযোগে জানা যায়, "স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের ডেকসীর কথা বলে কালামিয়া বাহিনী বিত্তশালী মানুষকে টার্গেট করে এলাকায় এনে প্রচন্ড মারধর করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে।শুধু তাই নয়,ছনুয়া উপকূলের লবণচাষীরাও নিরাপদ নয় এদের কাছ থেকে।চাঁদা দাবি করে আদায় না হলে লবণচাষীদের পলিথিন কেটে ফেলে।তিনি আরো বলেন,"এ ব্যাপারে আমি প্রতিবাদ করলে এই বাহিনীর সদস্য আবদুল গফুর তার এই(01837887383) নাম্বার থেকে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।তার লাগাতার হুমকিতে আমি এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হই।যার কারণে আমি ২৩/০৩/২০১৮ তারিখ থেকে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করেছি।তাদের হুমকি ও হয়রানিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমার মত ছনুয়ার অনেক নীরিহ মানুষ।"
এ বিষয়ে সাংবাদিক বেলাল বলেন, "সম্প্রতি কালামিয়া বাহিনী তাদের প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।এতে প্রতিপক্ষের উপর প্রচন্ড গুলি বর্ষণ করে কালামিয়া বাহিনীর সদস্যরা।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালামিয়া বাহিনী প্রতিপক্ষের শতাধিক ম্যালেরিয়া গাছ কেটে ফেলে।তারা প্রতিপক্ষের গাছ কেটে আবার তাদেরকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির চেষ্টা করে।এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও;তারা মিথ্যা মামলা করতে ব্যর্থ হয়। কারণ, তারা উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেনি। সর্বশেষ গত ৬জুন বুধবার স্থানীয় এক রাজনীতিবিদের তদবীরে থানায় মামলা করতে সক্ষম হয়।এতে আমাকেও আসামী করা হয়েছে। অথচ ২৩শে মার্চ থেকে আমি চট্টগ্রাম শহরে বন্ধুর বাসায় অবস্থান করেছি। এমনকি সংঘর্ষের সময়ও আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
"কালামিয়া বাহিনীর সাথে তার(সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন) পরিবারের পূর্বশত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,"আমার পরিবারের তাদের কোন ধরনের শত্রুতা নেই।এলাকার নীরিহ মানুষ তাদের অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।প্রতিনিয়ত নানান অজুহাতে তারা এলাকার মানুষ অত্যাচার করে।সচেতন কলম সৈনিক হিসেবে,কালামিয়া বাহিনী কর্তৃক বাঁশখালীর মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ার কথা আমি পত্রিকায় তুলে ধরি।মূলত পত্রিকায় তাদের অপকর্মের ব্যাপারে তুলে ধরার কারণে আমার বিরুদ্ধে গাছ কাটা মামলার আসামী করেছে।অথচ আমি ২৩শে মার্চ থেকে শহরে বন্ধুর বাসায় আছি ঘটনার দিনও আমি বাঁশখালীতে ছিলাম না।"
এদিকে এলাকার নীরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর কারণে ছনুয়ার সামাজিক রীতিনীতি বিষাদময় হয়ে ওঠেছে।নীরিহ মানুষকে মামলায় হয়রানির মিশন নিয়ে মাঠে নামা কালামিয়া বাহিনীর অত্যাচারে ছনুয়ার আইনশৃংখলার অবনতি ঘটছে প্রতিনিয়ত।স্বয়ং এলাকার চেয়ারম্যান পর্যন্ত তাদের কাছে অসহায়।এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছনুয়া স্বাম্বলী পাড়া এলাকার এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদকে বলেন,"এই বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যের নামে বাঁশখালী থানায় অর্ধ শতাধিক মামলা রয়েছে।এত মামলা থাকার পরও তারা এলাকায় দাফিয়ে বেড়াচ্ছে।তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আমরা অসহায় এই বাহিনীর কাছে।প্লিজ সাহেব,আমার নাম প্রকাশ করবেন না।আমার নাম প্রকাশ করলে তারা আমাকে গুলি করে মারবে।"
তাদের বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও;তারা কেমনে থানায় গিয়ে নীরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারে?এমন প্রশ্ন জনমনে।এনিয়ে এলাকার সর্বমহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছনুয়া সোলতান সিকদার পাড়া এলাকার এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে বলেন,"আইনের লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতেছি।কালামিয়া বাহিনীর সকল সদস্যদের আইনের আওতায় এনে ক্রসফায়ার দেওয়া হোক।তাদের অস্ত্র সরঞ্জাম উদ্ধার করা হোক।আপনারা তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করুন।বর্তমান সরকার অপরাধ দমনে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আপনারা যদি এদের আইনের আওতায় না আনেন,তাহলে সরকারের এই কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হবে।"
/সিটিজি সংবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ