বিএন ডেস্কঃ
সম্প্রতি যারা মালয়েশিয়ায় এসেছেন তারা জানিয়েছেন তাদের পরিবারকে এ জন্য
অনেক বড় ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে। মালয়েশিয়ায় আসতে ২০ হাজার রিঙ্গিত যোগাড়
করা এবং সেখানে কাজের ব্যবস্থা করতে অনেকে জমি বিক্রি করছেন। অনেকে হালের
গুরু বিক্রি করেছেন। আর অনেকে চড়া সূদে টাকা নিয়েছেন অন্যের কাছ থেকে।
মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দি স্টার অনলাইনে শনিবার কর্মরত
বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে এ তথ্য তুলে ধরা
হয়।
এর আগে গত শুক্রবার একই পত্রিকায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক
পাঠানোর বিষয়ে ব্যাপক দূর্ণীতি বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ
করে। তাতে বলা হয় বাংলাদেশী এক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে ১০টি মাত্র কোম্পানীর
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে এ অনিয়ম ঘটছে। যেখানে একজন
শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাঠাতে মাত্র ২ হাজার রিঙ্গিত খরচ হওয়ার কথা সেখানে তারা
গত দুই
বছর ধরে প্রতি শ্রমিকের কাছ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত নিয়েছে। এভাবে দুই বছরে এ চক্র বাংলাদেশী টাকায় ৪ হাজার ২শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেখানে যাওয়া ১ লাখ শ্রমিকদের কাছ থেকে। এ খবর প্রকাশিত হলে মালয়েশিয়া সরকার গত শুক্রবার অভিযুক্ত ১০ কোম্পানির কার্যক্রম স্থগিত করে। একই সাথে স্থগিত করেছে বর্তমান শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া।
বছর ধরে প্রতি শ্রমিকের কাছ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত নিয়েছে। এভাবে দুই বছরে এ চক্র বাংলাদেশী টাকায় ৪ হাজার ২শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেখানে যাওয়া ১ লাখ শ্রমিকদের কাছ থেকে। এ খবর প্রকাশিত হলে মালয়েশিয়া সরকার গত শুক্রবার অভিযুক্ত ১০ কোম্পানির কার্যক্রম স্থগিত করে। একই সাথে স্থগিত করেছে বর্তমান শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া।
যে বাংলাদেশীর নেতৃত্বে ১০টি কোম্পানীর সিন্ডিকেট এ অনিয়ম করছে তার
রয়েছে উভয় দেশে প্রভাব। আর শ্রমিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অতিরিক্ত টাকার
একটি অংশ তিনি বিতরণ করেন উভয় দেশের রাজনীতিবিদ এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাদের।
শনিবার স্টারে প্রকাশিত কেস স্টাডি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া
শ্রমিকদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয় অ্যাজেন্সির চাহিদামত অনেকে টাকা
পরিশোধের পরও তাদেরকে তিনি থেকে নয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে
মালয়েশিয়া পৌঁছাতে।
সূত্রঃ ডি/এন
0 মন্তব্যসমূহ