বিএন ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননা ও
ভুল তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় জামিন আবেদনের
শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৫ জুলায় আদালত আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর হাকিম
আহসান হাবীবের আদালতে জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলায় এবং জন্মদিন পালনের
মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয় আজ
বৃহস্পতিবার।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী
আবদুর রেজাক খান ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এসময় আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজী এ
জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, জায়নাল আবেদীন মেসবাহ, কায়সার কামাল,
গোলম মোস্তফা, ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শুনাশি শেষে উভয় আদালত ৫
জুলাই আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদেশের পর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ২৫ জুনের
মধ্যে এই দুই মামলার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। অথচ ম্যাজিস্ট্রেট
আদালত ৫ জুলই আদাশের তারিখ ধার্য করেছেন। এতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য
করা হয়েছে। আমরা এতে সংক্ষুব্ধ।
তিনি আরো বলেন, শুনানির সময় আদালত বলেছিলেন আমরা আদেশ দেব। কিন্তু পরে পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম আদেশ পড়ে শুনিয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, উভয় আদালত শুনানি শেষে জামিন
আবেদনের ওপর আদেশ দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরে আদালতের আরদালীর মাধ্যমে ৫
জুলাই আদেশের কথা জানানো হয়। এটা আইনজীবীদের জন্য অবমাননা কর।
গত ১৪ জুন এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে ২১ জুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
গত ৬ জুন প্রকাশিত হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস ১৫
আগস্টে ভুল তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায়
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর ও জামিন
নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। একইসাথে এ
সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে খালেদা জিয়ার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন
আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে
হাইকোর্ট বেঞ্চের এক লিখিত আদেশে এ মন্তব্য করেন। গত ৩১ মে খালেদা জিয়ার
জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন আদালত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ
বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে গ্রেফতার করে পুরান ঢাকার
সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন ওই কারাগারে আছেন।
সূত্রঃ ডি/এন
0 মন্তব্যসমূহ